বনানীতে বাস উল্টে ৪২ পোশাক শ্রমিক আহত
Published: 28th, March 2025 GMT
রাজধানীর বনানীতি একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে উল্টে গেছে। এ ঘটনায় বাসটিতে থাকা ৪২ জন পোশাক শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজনকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভোর সাড়ে ৬টার বনানী আর্মি স্টেডিয়াম ও নৌবাহিনীর হেডকোয়ার্টারের মাঝামাঝি স্থানে ঘটনাটি ঘটে।
ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীনরা হলেন- রাশেদা( ২৮), লাকি আক্তার (৩৫), পারভিন বেগম (৩৪), নিলুফা আক্তার (৩০), হোসনেয়ারা (৩৫) ও রাশেদা আক্তার (৩১)। তাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, যুবক নিহত
চট্টগ্রামে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ফয়সাল আহমেদ বলেন, “আহত নারী শ্রমিকরা গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল অ্যাপারেল লিমিটেডে নামে পোকাশ কারখানায় কাজ করেন। আজ ভোরে ডিউটি শেষে তারা ঢাকায় ফিরছিলেন। পথে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি আর্মি স্টেডিয়াম ও নৌবাহিনীর মাঝামাঝি স্থানে উল্টে যায়। আমরা খবর পেয়ে আহতদের কুর্মীটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে গুরুতর সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে। তারা এখন চিকিৎসাধীন।”
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের বাস উল্টে আহত সাতজন শ্রমিককে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের কারো মাথায়, কারো শরীরে ও পায়ে-হাতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলমান। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
বনানী থানার ওসি রাসেল সরোয়ার বলেন, বনানীতে বাস দুর্ঘটনায় ৪২ জন আহত হন।
ঢাকা/মাকসুদ, বুলবুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত বন ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারের হাসপাতালে বাড়ছে আহতদের ভিড়, সেবা দিতে হিমশিম
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে আহতদের ভিড়। বিপুল সংখ্যক রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। খবর এএফপির।
স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার দেশটির রাজধানী নেপিদোতে অবস্থিত এক হাজার শয্যার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আহতদের লম্বা সারি দেখা গেছে। কিছু আহত ব্যক্তি ব্যথায় ছটফট করছেন, অন্যরা শঙ্কিত অবস্থায় পড়ে আছেন। স্বজনেরা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কারও কারও হাতে ইনট্রাভেনাস ড্রিপ লাগানো ছিল।
হাসপাতালটিতে বানের জোয়ারের মতো আসছেন আহতরা- কেউ গাড়িতে, কেউ পিকআপে, আবার কাউকে স্ট্রেচারে করে আনা হচ্ছে। তাদের শরীর রক্তাক্ত এবং ধুলোতে আচ্ছাদিত।
হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এএফপিকে বলেন, আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। ভীষণ ক্লান্ত।
হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, শত শত আহত মানুষ আসছে, কিন্তু এখানে জরুরি ভবনও ধসে পড়েছে।
আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং।
আজ দুপুরে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প, যার কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে। এর তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন ও থাইল্যান্ডে।