Prothomalo:
2025-04-20@07:21:05 GMT

ঈদযাত্রায় সতর্কতা

Published: 28th, March 2025 GMT

ঈদ মুসলমানদের প্রধান উৎসব। ঈদ উপলক্ষে লাখ লাখ মানুষ শহর ছেড়ে গ্রাম বা মফস্‌সলে নিজ পরিবারের কাছে চলে যান। এ বছর ঈদের দীর্ঘ ছুটির কারণে গ্রামমুখী মানুষের ভিড় আরও বেশি। এ দীর্ঘ ঈদযাত্রায় সুস্থ থাকতে কিছু বিষয়ে সতর্কতা মেনে চলা ভালো।

ব্যাগ গোছানোর সময় খেয়াল করুন পর্যাপ্ত ওষুধ নিয়েছেন কি না। ঈদে সবখানে ওষুধের দোকান খোলা না–ও থাকতে পারে আর গ্রামগঞ্জে সব ওষুধ না–ও মিলতে পারে। তাই যাঁরা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল ইত্যাদির জন্য নিয়মিত ওষুধ খান, তাঁরা যথেষ্ট পরিমাণে ওষুধ সঙ্গে নিন। যাঁরা ইনহেলার বা ইনসুলিন ব্যবহার করেন, তাঁরাও দেখে নিন পর্যাপ্ত আছে কি না। বাস বা ট্রেনযাত্রায় ইনসুলিন একটি বরফ দেওয়া ফ্লাস্কে নেওয়া ভালো; যাতে নষ্ট না হয়। সঙ্গে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে কিছু গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, বমির ওষুধ, খাওয়ার স্যালাইনের প্যাকেট ও ফার্স্ট এইড সামগ্রী নিতে পারেন।

ঈদযাত্রার আগে ভারী খাবার না খাওয়া ভালো। এতে পথে বমি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পথে যদি ইফতার বা সাহ্‌রি করতে হয়, সঙ্গে হালকা শুকনা খাবার, যেমন মুড়ি, বিস্কুট, খই, স্যান্ডউইচ, বাদাম ও ফলমূল নিতে পারেন। সাহ্‌রি বা ইফতারে পথের কেনা খাবার খাবেন না। বিশুদ্ধ পানি রাখুন। শিশুদের খাবার আলাদা করে সঙ্গে নিন। যানজট থাকলে রান্না করা ঝোল-মসলাযুক্ত খাবার নষ্ট হতে পারে, তাই শুকনা খাবার নেওয়া ভালো।

অনেকের বাস বা ট্রেনে মাথা ঘোরে, বমি হয়। সে ক্ষেত্রে বাস বা গাড়ির ফ্রন্ট সিটে বসা ভালো। বাতাস আসে এমন জায়গায় বসুন। মনোযোগ সরাতে বাইরের দিকে না তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখবেন বা ভালো কিছু শুনবেন। পলিথিন ব্যাগ সঙ্গে রাখুন। যাত্রার আগে সাহ্‌রি বা ইফতারে বমির ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।

ঈদের সময় অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য বাড়ে। তাই সতর্ক থাকুন।

বাস বা গাড়ি গ্যাস স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার সময়, ফেরিতে ওঠানামার সময় নেমে পড়াই ভালো। এমন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ওঠানামা বা রাস্তা পেরোনোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। বাসচালক অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করলে যাত্রীদের উচিত প্রতিবাদ করা। লঞ্চ বা বাসে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে যাবেন না। ট্রেন-বাসের ছাদে কখনো ভ্রমণ করবেন না।

ঈদযাত্রায় শিশুদের দিকে বিশেষ নজর দিন। কখনো শিশুদের কোথাও একা ছাড়বেন না। অপরিচিত কারও কাছে দেবেন না। পথে টয়লেটে যেতে হলে নিজে সঙ্গে থাকুন। ধুলাবালু বা গাড়ির ধোঁয়া থেকে বাঁচতে মাস্ক পরা ভালো অথবা বারবার ভেজা টিস্যু বা রুমাল দিয়ে চোখ-মুখ মুছে দিন। শিশুদের কিছু খাওয়ার আগে হাত ধুয়ে দিন। সঙ্গে হ্যান্ডওয়াশ রাখা ভালো।

অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ, ইমেরিটাস অধ্যাপক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঈদয ত র র সময় সতর ক

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের এমন সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ রোববার রিটটি দায়ের করা হয়।

৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন–সংক্রান্তে দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন রিটটি দায়ের করেন।

পরে আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের ওপর আগামীকাল (সোমবার) শুনানি হতে পারে।’

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, ৯ এপ্রিলের ওই সিদ্ধান্ত (অফিস আদেশ) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে বিচারাধীন অবস্থায় ওই অফিস আদেশের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবিপ্রধান, সিআইডিপ্রধান, এসবিপ্রধানসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের হেডকোয়ার্টার্স থেকে কমিশনারের পক্ষে ৯ এপ্রিল ‘অফিস আদেশ’ জারি করেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন।

অফিস আদেশের ভাষ্য, বৈষম‍্যবিরোধী আন্দোলন–সংক্রান্তে দায়ের করা মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ