বিদেশে কোম্পানি খুলতে ১০ হাজার ডলার নেওয়া যাবে
Published: 28th, March 2025 GMT
বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে স্টার্টআপ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। স্টার্টআপ কোম্পানি বিদেশে শুধু একটি কোম্পানি গঠন করতে পারে এবং এ জন্য ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমতুল্য বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাঠাতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে। বিদেশি অর্থ পাঠানোর অনুমতি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭–এর অধীন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিবাসী প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে ব্যাংকে আবেদন করে বিদেশে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার জন্য রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্র অনুযায়ী, ব্যক্তি পর্যায়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের একই পদ্ধতিতে বিদেশে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের উদ্ভাবনী ধারণা থাকতে হবে, যা বিদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণসহ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও আয় নিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলছে, ছোট আকারের বিনিয়োগের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক নিবাসী কোম্পানিগুলোকে তাদের নিজস্ব শেয়ার ও সিকিউরিটিজের সঙ্গে বিদেশি কোম্পানির শেয়ার সোয়াপের মাধ্যমে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছে। এ পদ্ধতিতে বিদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নগদ অর্থের প্রয়োজন হবে না। এ পদ্ধতিতে বিদেশে বিনিয়োগ প্রস্তাব বিবেচনার ক্ষেত্রে শেয়ার ও সিকিউরিটিজের সোয়াপ অনুপাত বিশ্বব্যাপী উত্তম চর্চার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, এটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মূলধনি হিসাবের লেনদেন উন্মুক্ত করার প্রথম পদক্ষেপ।
ব্যবসায়িক সূত্রগুলো বলছে, নতুন বিধিব্যবস্থা বিদেশে স্থাপিত কোম্পানির মাধ্যমে দেশে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। নতুন বিধি দেশে বিনিয়োগপ্রবাহ বৃদ্ধি করবে, যা বিদেশে বিনিয়োগ বাবদ প্রেরিত অর্থের তুলনায় বেশি হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি: এটিআই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা
দেশের এটিআই (কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট) শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন এ তথ্য জানান ।
তিনি বলেন, “এটিআইয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা। পরে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা”।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি-দাওয়া পূরণে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এর আগে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমাদের কাজ পড়াশোনা করা। তোমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের ওপর ছাড়, আমরা দেখব। তোমাদের দাবি পূরণে সরকার আন্তরিক।”
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা তাদের আট দফা দাবির মধ্যে বিধিসম্মত উপায়ে বাস্তবায়নযোগ্য দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকারের আশ্বাসের ওপর আস্থা রেখে চলমান আন্দোলন বন্ধ করে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, শিক্ষক নিয়োগ, পরীক্ষা, চাকরি গ্রেড, ইন্টার্ন ভাতা, ফাউন্ডেশন ট্রেনিং, উচ্চ শিক্ষায় প্রবেশগম্যতাসহ বিবিধ বিষয়ের দাবি সরকার আন্তরিকভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এটিআইগুলোতে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা সরকারকে জানানোর জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং প্রাপ্ত সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় দ্রুত সময়ে কাজ করবে বলে শিক্ষার্থীদের জানানো হয়।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. জাকির হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল ইসলাম এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে আবু নাঈম সিদ্দিক, আসাদুজ্জামান কবির, মুসা প্রধান, মুনতাসির রহমান ও রায়ন উদ্দিম শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের এটিআইগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের ৮ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কাজ চলছে।
ঢাকা/এএএম/এসবি