ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও চুরির মতো ঘটনায় অপরাধীদের শনাক্তে নোয়াখালী পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয় ১০২টি সিসিটিভি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার বেশির ভাগই ভাঙচুরসহ নানা কারণে অচল হয়ে পড়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কারণে পৌর শহরে অপরাধ কমে এসেছিল। তবে এখন সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট হয়ে পড়ায় আবারও অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি সরেজমিন শহরের মোহাম্মদীয়া মোড়, সুধারাম থানার সামনে, হাসপাতাল সড়ক, মাইজদী বাজার, নতুন বাসস্ট্যান্ড, টাউন হল মোড়, জেলা জামে মসজিদ মোড়, পৌর বাজার, বিশ্বনাথ ও মফিজ প্লাজা, স্টেডিয়াম পাড়া, নাপিতের পোলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা হয়। এসব এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর বেশির ভাগই ভাঙা কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন। এসব ক্যামেরা এখন আর তেমন কোনো কাজেই আসছে না।

আশপাশের এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা জানান, ২০২২ সালে এসব ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। গত বছর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার সময় অন্তত এক-তৃতীয়াংশ ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়াও নানা কারণে অকেজো হয়ে পড়ে বেশ কিছু ক্যামেরা। ভেঙে ফেলা কিংবা অকেজো হয়ে পড়া ক্যামেরাগুলো আর সচল করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

জেলা পুলিশ ও সুধারাম থানা সূত্রে জানা গেছে, শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে জেলা পুলিশের উদ্যোগে রাজনৈতিক দলের নেতা, শহরের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের সহায়তায় প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। এসব ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণকক্ষ ছিল সুধারাম মডেল থানায়। একজন পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরায় নজর রাখতেন। এতে শহরে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা অনেকটাই কমে আসে।

শহরের টাউন হল মোড় এলাকার ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার কারণে অপরাধীরা আগে আতঙ্কের মধ্যে থাকতেন। এখন ক্যামেরা নষ্ট হওয়ায় সেই ভয় তাদের আর নেই। পুনরায় এসব ক্যামেরা সচল করতে পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

শহরের মাইজদী বাজার এলাকার বাসিন্দা মো.

হাসান বলেন, কেবল চুরি-ছিনতাই নয় নারী ও স্কুলগামী ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার ঘটনাও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কারণে কমে এসেছিল। এখন আবার নতুন করে শহরে চুরি-ছিনতাইসহ নানা ঘটনা ঘটছে।

নোয়াখালী শহর বণিক সমিতির সভাপতি এ কে এম সাইফ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, শহরকে নিরাপদ করার জন্য পুনরায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো প্রয়োজন। এতে শহরের ব্যবসা-বাণিজ্যও ভালোভাবে চলবে। কেনাকাটা করতে এসে কাউকে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হবে না।

জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লা আল ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অচল সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। অচল ক্যামেরা সচল করে আগের মতো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকির ব্যবস্থা করা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এসব ক য ম র র ব যবস ছ নত ই শহর র অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে যানজট নেই, তবে আছে ধীরগতি

ঢাকার অদূরে সাভার ও ধামরাই উপজেলায় শিল্পকারখানার সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৮০০টি। পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন উপলক্ষে এসব শিল্পকারখানায় পর্যায়ক্রমে ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। ছুটি ঘোষণার পর গত দুই-তিন দিনের তুলনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। মহাসড়ক দুটিতে চাপ বাড়লেও যানজটের অস্বস্তি নেই বললেই চলে। তবে কয়েকটি স্থানে যানবাহনের ধীরগতি আছে।

মূলত এ দুটি মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, শিল্পকারখানাগুলোতে ধাপে ধাপে ছুটি ঘোষণা করা এবং সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা যানজট নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করায় মহাসড়কে যানজট নেই বলে মনে করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের অনেকে অভিযোগ করে বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে সড়ক পুরোপুরি যানজটমুক্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাঁদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। এ ছাড়া কিছু পরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

আজ শুক্রবার মহাসড়ক দুটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল আটটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে বিশমাইল পর্যন্ত এলাকাটিতে যানবাহন থেমে থেমে চলছিল। তবে সাড়ে নয়টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ‍যায়। সকাল ১০টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড ও হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে নিরবচ্ছিন্নভাবে গাড়ি চলাচলের লেনটি স্বাভাবিক থাকলেও সার্ভিস লেনে যানবাহনগুলোকে ধীরগতিতে চলতে দেখা যায়। এ ছাড়া সকাল সাড়ে আটটার দিকে নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানবাহন চলে থেমে থেমে। প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আরও পড়ুনগাজীপুরে দুই মহাসড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ, তবে যানজট নেই১০ ঘণ্টা আগে

আজ বিকেল পাঁচটার দিকে নবীনগর দূরপাল্লার বাস টার্মিনালে ঘরমুখী মানুষের ভিড় দেখা যায়। এ ছাড়া টার্মিনাল সংলগ্ন মহাসড়কের সার্ভিস লেনে যাত্রী পরিবহনের বাসগুলো সারিবদ্ধভাবে এবং কয়েকটি বাসকে সড়ক আটকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তবে নিরবচ্ছিন্নভাবে গাড়ি চলাচলের লেনটি ছিল স্বাভাবিক। মহাসড়ক দুটির নবীনগর ও বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

সকালে কিছুটা ভোগান্তি

ঢাকা থেকে প্রাইভেট কারে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলে যাচ্ছিলেন মো. রাজিব। সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিশমাইল এলাকায় পৌঁছালে গাড়িগুলো থেমে থেমে চলতে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন তাঁরা। এ সময় তিনি বলেন, ‘ভোগান্তির কথা বলে শেষ নেই। প্রতিবছর ঈদের সময় একই ঘটনা ঘটে। এগুলো দেখার কেউ নেই, শোনারও কেউ নেই। যানজট নিরসনে প্রশাসনের লোকজনকে এখনো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখিনি।’

আজ শুক্রবার নবীনগর দূরপাল্লার বাস টার্মিনালে ঘরমুখী মানুষের ভিড় দেখা যায়। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রংপুরের প্রধান ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় 
  • টাঙ্গাইলে ঈদের মা‌ঠে সংঘর্ষ এড়া‌তে ১৪৪ ধারা জা‌রি
  • ঈদযাত্রা: শেষ মুহূর্তে সদরঘাটে স্বস্তির হাসি
  • ‘রাহাজানিময়’ কেন নয় ‘বেবাক’ বাংলাদেশ
  • পাঁচ স্তরের নিরাপত্তায় প্রস্তুত শোলাকিয়া ঈদগাহ, থাকছে বিশেষ ট্রেনও
  • ঈদে র‌্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
  • নির্দেশনার পাশাপাশি তৎপরতাও বাড়াতে হবে
  • যৌথ অভিযানে এক সপ্তাহে গ্রেপ্তার ২৮০, জানাল আইএসপিআর
  • ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে যানজট নেই, তবে আছে ধীরগতি