ঈদের বাকি আর মাত্র তিনদিন। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে গাজীপুরের দুই মহাসড়কে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পরিবহনের আধিক্য দেখা গেছে। তবে, কোথাও বড় ধরনের যানজটের সৃষ্টি হয়নি। ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরতে পারছেন যাত্রীরা। 

এদিকে, রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে সকাল থেকে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে।

আরো পড়ুন:

পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি

খুলে দেওয়া হলো ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের ১৮ কিলোমিটার

এই রেল স্টেশনে দৌঁড়াদৌঁড়ি করে ও ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে উঠে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে যাত্রীদের। স্টেশনে দুপুরের পর ঘরমুখো মানুষের চাপ আরো বাড়বে বলে জানান স্টেশন মাস্টার আবুল খায়ের চৌধুরী।

গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে জেলা, মেট্রোপলিটন ও হাইওয়ে পুলিশের চার হাজার সদস্য।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রায় যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উত্তরবঙ্গগামী একপাশে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। শুক্রবার সকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও উপজেলার সফিপুর উড়াল সড়ক থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যানবাহনের  দীর্ঘ জটলা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি চন্দ্রায় যানবাহনের চাপ থাকায় চন্দ্রা মোড়ে ধীরগতিতে গাড়ি চললেও যানজট পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। 

অপরদিকে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা, বোগরা বাইপাস, বোর্ডবাজার, সালনা ও টঙ্গী কলেজগেট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিল। 

শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরে ২১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানা রয়েছে। এরমধ্যে ১১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করেন লাখ লাখ কর্মী। কারখানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার অধিকাংশ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণার কথা রয়েছে। বিকেলের দিকে মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যান্য ঈদের থেকে এবার ঈদে তুলনামূলক বেশি ছুটি থাকায় অধিকাংশ মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন। 

নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের ওসি রইচ উদ্দিন বলেন, “মহাসড়কের নিরাপত্তা রক্ষায় জেলা, মেট্রোপলিটন ও হাইওয়ে পুলিশের চার হাজার সদস্য কাজ করছেন। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ঈদ উৎসব ঈদ

এছাড়াও পড়ুন:

কোনো কথা না বলেও অনেক কথা বললেন সুনেরাহ্

লিখনের মুখে কোনো কথা নেই। তবে চোখ আর অভিব্যক্তিতে হাজারও কথা। কথা বলতে না পারা চরিত্রটিকে কড়ায়–গন্ডায় পড়তে পেরেছেন দর্শক। চরিত্রটির নির্বাক চাহনিতে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। পর্দা থেকে দর্শকের হৃদয়জুড়ে মায়া ছড়িয়েছেন লিখন; কখনো হাসিয়েছেন, কখনো ভাবিয়েছেন।

লিখন চরিত্রটিকে প্রাণ দিয়েছেন সুনেরাহ্। ক্যারিয়ারে প্রথমবার বাক্প্রতিবন্ধী চরিত্রে অভিনয় করেছেন, প্রথমবারই লেটার মার্ক নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ লিখছেন, চরিত্রটির মায়ায় পড়ে গেছেন তাঁরা।

প্রস্তাবটা পাওয়ার পর ভাবতে সময় নেননি সুনেরাহ্। লিখনের জন্যই যেন অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তিনি, ‘ক্যারিয়ারে এমন কিছু চরিত্র করে যেতে চাই। ফলে ভাবতে সময় নিইনি। চলচ্চিত্রের গল্পটাও দারুণ।’

‘ন ডরাই’–এর কথা নিশ্চয়ই মনে আছে! চলচ্চিত্রে আয়েশা চরিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সুনেরাহ্। ‘অন্তর্জাল’ চলচ্চিত্রে প্রিয়াম চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মশারি’-তেও অভিনয় করেছেন। বরাবরই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে নজর কেড়েছেন তিনি।

‘দাগি’ চলচ্চিত্রে বাক্‌প্রতিবন্ধী চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুনেরাহ্

সম্পর্কিত নিবন্ধ