ঈদের বাকি মাত্র কয়েক দিন। ঈদের কেনাকাটায় পছন্দের পোশাকের পাশাপাশি অনেকের তালিকায় থাকে স্মার্টফোন। ব্যবহার ও প্রয়োজন ভেদে এসব স্মার্টফোনের চাহিদাও হয় ভিন্ন রকমের। ঈদে স্মার্টফোনের বাজারে ৩০ হাজারের মধ্যে ভালো মানের কয়েকটি ফোনের খোঁজ নেওয়া যাক।

ওয়ালটন জেনন এক্স ২০

এই ফোনের দাম ২০ হাজার ৪৯৯ টাকা। ১২৮ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ১৬ গিগাবাইট র‍্যাম রয়েছে। ৬.

৮ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির সামনে ৩২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকায় সহজেই ভালো মানের সেলফি তোলা যায়। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটির পেছনে ৫০ ও ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরা রয়েছে।

রিয়েলমি সি৬৫

৬.৬৭ ইঞ্চি পর্দার এই ফোনের দাম ২০ হাজার ৫৭৯ টাকা। ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ৮ গিগাবাইট র‍্যাম রয়েছে। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত এই ফোনের পেছনে ৫০ ও ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।  

আরও পড়ুনঈদের বাজারে ১৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন২৬ মার্চ ২০২৫স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৩৫

এই ফোনের দাম ২১ হাজার ৮০০ টাকা। ১২৮ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ৬ গিগাবাইট র‍্যাম রয়েছে। পেছনে ৫০, ৮ ও ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাযুক্ত ফোনটির সামনে ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকায় সহজেই ভালো মানের সেলফি তোলা যায়। ৬.৬ ইঞ্চি পর্দার ফোনটিতে ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিও রয়েছে।

ভিভো ওয়াই ২৯

১২৮ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ৮ গিগাবাইট র‍্যাম রয়েছে। ৬.৬৮ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির পেছনে ৫০ ও ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ৬ হাজার ৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত এই ফোনের দাম ২১ হাজার ৯৯৯ টাকা।

আরও পড়ুন১০ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন২৩ মার্চ ২০২৫টেকনো ক্যামন ৩০

এই ফোনের দাম ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা। ৬.৭৮ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির ধারণক্ষমতা ২৫৬ গিগাবাইট। ৮ গিগাবাইট র‍্যামযুক্ত ফোনটির পেছনে ৫০ ও ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি রয়েছে ফোনটিতে।

রিয়েলমি সি৭৫

৬.৭২ ইঞ্চি পর্দার এই ফোনের দাম ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা। ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ৮ গিগাবাইট র‍্যাম রয়েছে। ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত এই ফোনের পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।  

অনার এক্স৭সি

এই ফোনের দাম ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা। ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ৮ গিগাবাইট র‍্যাম রয়েছে। পেছনে ১০৮ ও ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাযুক্ত ফোনটির সামনে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকায় সহজেই ভালো মানের সেলফি তোলা যায়। ৬.৭৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটিতে ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিও রয়েছে।

অপ্পো এ৫ প্রো

এই ফোনের দাম ২৩ হাজার ৯৯০ টাকা। ৬.৬৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির ধারণক্ষমতা ১২৮ গিগাবাইট। ৮ গিগাবাইট র‍্যাম ও ৫ হাজার ৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত ফোনটির পেছনে ৫০ ও ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।

ওয়ানপ্লাস নর্ড সিই৪ লাইট

৬.৬৭ ইঞ্চি এফএইচডিপ্লাস পর্দার এই ফোনের দাম ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। ৫ হাজার ১১০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত এই ফোনের পেছনে ৫০ ও ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ২৫৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ফোনটিতে ৮ গিগাবাইট র‍্যাম রয়েছে।

শাওমি রেডমি নোট ১৪ প্রো

৫ হাজার ৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত এই ফোনের পেছনে ২০০, ৮ ও ২ মেগাপিক্সেলের তিনটি ক্যামেরার পাশাপাশি সামনে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। এর ফলে সহজেই ভালো মানের ছবি তোলা যায়। ৬.৬৭ ইঞ্চি পর্দার ফোনটির দাম ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৫০ ও ২ ম গ প ক স ল র দ ট র এই ফ ন র দ ম র য ক ত ফ নট র হ জ র ৯৯৯ ট ক ৮ গ গ ব ইট র সহজ ই ভ ল

এছাড়াও পড়ুন:

এনবিআরকে প্রতিদিন গড়ে ২২৭৫ কোটি টাকা আদায় করতে হবে

চলতি অর্থবছরের শেষ তিন মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। এ বছরের সংশোধিত লক্ষ্য অর্জনে শেষ তিন মাসে এমন চাপে থাকবে এনবিআর।

চলতি অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) এনবিআরকে ২ লাখ ৭ হাজার ১৩ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য আছে। চলতি অর্থবছরের পুরো সময়ের জন্য এনবিআরের সংশোধিত শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য হলো ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ৯ মাসের শুল্ক-কর আদায়ের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এই সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে অর্থবছরের শেষ তিন মাসের রাজস্ব আদায়ের চাপের চিত্রটি উঠে এসেছে।

ঋণের শর্ত হিসেবে শুল্ক-কর আদায় বাড়ানোর জন্য শর্ত দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দেশের কর-জিডিপি অনুপাত ৭ দশমিক ৪ থেকে বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরের মধ্যে ৭ দশমিক ৯-এ উন্নীত করার কথা বলেছে আইএমএফ। কিন্তু এনবিআর এ বছরও বড় ধরনের ঘাটতির মুখে পড়তে যাচ্ছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ঘাটতি হয়েছে ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। এই সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আদায় করেছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। এই সময়ে ৩ লাখ ২২ হাজার ১৫২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ছিল।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে গড়ে প্রতিদিন সাড়ে নয় শ কোটি টাকার মতো আদায় হয়। এখন পুরো বছরের লক্ষ্য অর্জনে প্রতিদিন আগের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি শুল্ক কর আদায় করতে হবে।

চলতি অর্থবছরে এনবিআরে জন্য মূল লক্ষ্য ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আদায় না হওয়ায় লক্ষ্য কমানো হয়।

এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে। এ ছাড়া অর্থনীতি তথা ব্যবসা-বাণিজ্য শ্লথগতিও রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে পড়ার কারণ। আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট আদায় বিঘ্ন হয়েছে। আয়কর কর কম আদায় হয়েছে। তাঁরা আরও বলেন, প্রতিবছর এনবিআরের ওপর যৌক্তিকভাবে বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে। এ জন্য লক্ষ্য অর্জিত হয় না।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-মার্চ মাসে আমদানি, ভ্যাট ও আয়কর—এই তিন খাতের মধ্যে কোনোটিতেই সাত মাসের লক্ষ্য পূরণ হয়নি।

পরিসংখ্যান

জুলাই-মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি আয়কর খাতে। এই খাতে লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা। এই সময়ে আদায় হয়েছে ৮৬ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। আয়করে ঘাটতি হয়েছে ২৯ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা।

অন্যদিকে ৯ মাসে আমদানি খাতে ৯০ হাজার ৭২৭ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে ৭৪ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এই খাতে ঘাটতি হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।

গত জুলাই-মার্চ সময়ে ভ্যাট খাতে আদায় হয়েছে ৯৫ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। এই সময়ে এই খাতে লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা। এ খাতে ঘাটতি হয়েছে সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ