আবাসন খাতে যাত্রা শুরু করল ভিস্তানেক্স হোল্ডিংস লিমিটেড
Published: 28th, March 2025 GMT
ভিস্তানেক্স হোল্ডিংস লিমিটেড (ভিএইচএল) আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়েল এস্টেট বা আবাসন খাতে প্রবেশ করেছে। সম্প্রতি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজস্ব কার্যালয়ে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোম্পানিটি এই ঘোষণা দেয়।
এ সময় ভিএইচএলের লোগো উন্মোচন করেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মো. শরীফুল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শেখ আসিফুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক আবু আল মোতালিব রাজু, রাজিব রায়হান, শেখ আশিকুর রহমান, ব্যবসায়িক ইউনিটের প্রধান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য অতিথি।
ভিএইচএল আবাসন খাতে উদ্ভাবনী, টেকসই ও গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আধুনিক, দক্ষ, যুগোপযোগী ও পরিবেশবান্ধব আবাসনের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, ভিএইচএল সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এমন প্রকল্প নিয়ে আসছে, যা আধুনিক জীবনধারার প্রয়োজনীয়তা পূরণসহ নিশ্চিত করবে পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা। যারা আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে উচ্চ মানের উপকরণ ব্যবহার করতে চান এবং সময়মতো প্রকল্প হস্তান্তর বা নিখুঁত নির্মাণশৈলী নিয়ে ভাবেন, ভিএইচএল তাদের সেবা দিতে চায়।
অনুষ্ঠানে ভিএইচএলের চেয়ারম্যান মো.
ভিএইচএলের নতুন যাত্রা দেশের আবাসন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। পরিবেশবান্ধব, জ্বালানিবান্ধব ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর আবাসন তৈরির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশের আবাসন খাতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চমূল্যের পার্সেল পাঠানো স্থগিত করল ডিএইচএল
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি চালুর পর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বিভাগে কড়াকড়ি বেড়ে যাওয়ায় বহুজাতিক পণ্য ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল এক্সপ্রেস ৮০০ ডলারের বেশি দামি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো সাময়িকভাবে বন্ধ করছে।
পণ্য দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ডিএইচএল বলেছে, আজ সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্বের যেকোনো দেশের প্রতিষ্ঠান থেকে মার্কিন ভোক্তাদের কাছে পাঠানো চালান তারা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখবে।
তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতর বা ‘বিজনেস টু বিজনেস’–এর আওতায় থাকা চালানগুলো এখনো চালু রাখবে তারা। তবে সেগুলোর ক্ষেত্রেও পণ্য পৌঁছাতে দেরি হতে পারে।
এর আগে ২ হাজার ৫০০ ডলার পর্যন্ত মূল্যের পণ্য কাগজপত্রের সামান্য ঝামেলা পেরিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারত। তবে চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্পের নতুন শুল্ককাঠামো ঘোষণার পর এ সীমা কমিয়ে আনা হয়।
ডিএইচএল বলেছে, ‘এ পরিবর্তনের ফলে শুল্ক বিভাগে আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। আমরা দিনরাত সেগুলো সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
তারা জানিয়েছে, আমরা এ অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে উৎস যে দেশেই হোক না কেন, ৮০০ ডলারের বেশি মূল্যের চালান পৌঁছাতে কয়েক দিন দেরি হতে পারে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা ৮০০ ডলারের কম মূল্যের চালানগুলো আগের মতোই যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবে এবং ন্যূনতম কাগজপত্রের বাধা পেরিয়ে সেগুলো ছাড় পাবে বলে আশা করছে।
তবে ৮০০ ডলারের কম মূল্যের পণ্যের ওপরও কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউস। বিশেষ করে চীন ও হংকং থেকে পাঠানো চালানগুলোর ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হচ্ছে। ২ মে এ–সংক্রান্ত আইনি ফাঁকফোকর বন্ধ করে দেবে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে কম মূল্যের পণ্যও শুল্ক ছাড়া আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
‘ডি মিনিমিস’ নামের ওই তথাকথিত নিয়ম বাতিল ফাস্ট ফ্যাশন ব্র্যান্ড শিইন এবং স্বল্প মূল্যের রিটেইল জায়ান্ট টেমুর জনপ্রিয়তায় প্রভাব ফেলবে।
শিইন ও টেমু—উভয়ই এ বিষয়ে সতর্ক করে জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যনীতিমালা ও শুল্ক পরিবর্তনের কারণে তাদের পণ্যের দাম বাড়াবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, চীনে অবস্থানরত ‘অনেক ব্যবসায়ী’ অবৈধ পণ্য লুকিয়ে প্রকৃত তথ্য গোপন করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান।
এক নির্বাহী আদেশে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তাদের এসব পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো ‘সিনথেটিক অপিওয়েডের (রাসায়নিকভাবে তৈরি একধরনের ব্যথানাশক) সরবারহশৃঙ্খলকে মোকাবিলা করা। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এ সংকট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চীনের পাঠানো অপিওয়েড।
চীনে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর মাদকবিরোধী আইন রয়েছে উল্লেখ করে বেইজিং জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের যে ফেন্টানিল সমস্যার কথা বলছে, সেটা তাদের ‘অভ্যন্তরীণ সংকট’।
গত সপ্তাহে হংকং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হংকং থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সমুদ্রপথে পণ্য পাঠানো স্থগিত করা হচ্ছে। ২৭ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী কোনো পণ্য তারা পৌঁছে দেবে না। হংকং পোস্ট দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যে শুল্ক আরোপ করেছে, তা অযৌক্তিক, নীপিড়নমূলক ও আপত্তিকর।