ময়মনসিংহের ভালুকায় ডাকাত আতঙ্কে রাতভর বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে রাস্তায় নামেন সাধারণ মানুষ। এতে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেখা দেয় চরম উৎকণ্ঠা।
শুক্রবার রাত ১২ টার পর বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয় ডাকাত প্রতিহত করার জন্য। এতে সাধারণ মানুষ লাঠি হাতে রাস্তায় নামেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল হুদা খান।
ওসি সমকালকে জানান, কে বা কারা উপজেলার ৮ থেকে ১০ টি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয় এলাকায় ডাকাত পড়েছে। এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে মুহূর্তেই খবরটি পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দেখে এবং মসজিদের ঘোষণা শুনে অনেকেই বিচলিত হয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন এলাকায় জনতা লাঠি নিয়ে পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ডাকাতের কোন অস্তিত্ব এখনও খুঁজে পাইনি। এটা সম্পূর্ণ গুজব। তবে এলাকাবাসী সজাগ রয়েছে। পুলিশের তিনটি ইউনিট বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে আমরা বিষয়টি মনিটরিং করছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আতঙ ক মসজ দ মসজ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে অনুমতির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি বুধবার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার ঘটনায় করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে—ঢাকা মহানগর পুলিশের এমন সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট শুনানির জন্য আগামী বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
শুনানির জন্য বিষয়টি উত্থাপন করা হলে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই দিন ধার্য করেন।
৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এই আদেশের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন। আজ সকালে আদালতে রিটের বিষয়টি উত্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রিট আবেদনকারী মো. জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট২২ ঘণ্টা আগেপরে আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিটের বিষয়টি উত্থাপন করা হলে আদালত ২৩ এপ্রিল শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।’
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, ৯ এপ্রিলের অফিস আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়। রুল হলে বিচারাধীন অবস্থায় অফিস আদেশের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, ডিবি প্রধান, সিআইডি প্রধান, এসবি প্রধানসহ সাতজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে১২ এপ্রিল ২০২৫