ময়মনসিংহে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ৫ জন গ্রেপ্তার
Published: 28th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহে দেশি অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে একটার দিকে সদর উপজেলার চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের রাঘবপুর (গাংপাড়) এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গৌরীপুর উপজেলার চূরালী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মেহেদি হাসান (২৫), সদর উপজেলার চর রঙরামপুর গ্রামের মৃত হাসান মিয়ার ছেলে রুমান মিয়া (২৪), চর কালীবাড়ি এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মো.
গোপন সূত্রে র্যাব খবর পায়, সদর উপজেলার চর নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের রাঘবপুর (গাংপাড়) এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে একদল দুর্বৃত্ত। র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামসুজ্জামানের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
মো. সামসুজ্জামান বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে অবস্থান করা দলটির খবর পেয়ে ওই পাঁচজনকে হাতেনাতে ধরা হয়। মামলা করার পর তাঁদের কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে৷ ঈদ ঘিরে অপরাধী চক্রের অপতৎপরতা বন্ধে র্যাব মাঠে আছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড ক ত র প রস ত ত র উপজ ল র চ
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমিকম্প মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ সতর্কবার্তা, ঝুঁকিতে ৪ অঞ্চল
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশেও ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চল উচ্চঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি দেশে ভূমিকম্প মোকাবিলায় সকল পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির জন্য ৯টি বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে শুক্রবার পরপর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুটি’র মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৪। এতে দেশ দুটি বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চল উচ্চঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সকল পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
(১) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ
(২) ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ
(৩) সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার
(৪) ইউটিলিটি সার্ভিস যেমন গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত
(৫) ভূমিকম্প চলাকালীন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা
(৬) জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নম্বর ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা
(৭) ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা
(৮) জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট বা কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পড়লে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায় এবং
(৯) সকল পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রেখেছে। যেকোনো তথ্যের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের এই নম্বর ০১৭২২৮৫৬৮৬৭, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হটলাইন নম্বরে (১০২) যোগাযোগ এবং ফায়ার সার্ভিসের ওয়েবসাইট www.fireservice.gov.bd থেকে তথ্য সংগ্রহের আহ্বান জানানো হয়েছে।