লক্ষ্মীপুরে নার্সের ভুলে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
Published: 28th, March 2025 GMT
লক্ষ্মীপুর নার্সের ভুল ইনজেকশন পুশের কারণে রেহানা বেগম (৪৫) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহরের আধুনিক হাসপাতালে (প্রাঃ) এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নার্সের নাম ফারজানা আক্তার। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহত রেহানা সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী।
নিহতের বড় মেয়ে শাবনুর আক্তার বলেন, মঙ্গলবার বুকে ব্যথা উঠলে নোভা মেডিকেলে চিকিৎসক মাহবুবুর রহমানকে দেখানো হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে আধুনিকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক মাহবুবের তত্ত্বাবধানেই তার চিকিৎসা চলছিল। ব্যথা উঠলে ক্যানালাতে ইনজেকশন পুশ করলে কমে যায়। পরে মা স্বাভাবিক থাকতেন। ঘটনার আগে মায়ের ব্যথা উঠে। এজন্য আমি ছোট বোনকে বলি নার্সকে ডেকে আনার জন্য। ডাকতে গেলে নার্স আমার বোনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। উনি মোবাইল চালাচ্ছিলেন, এছাড়া অন্য একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। পরে তিনি এসে ক্যানালাতে ইনজেকশন না দিয়ে বাহুতে দেয়। আমি তখন বাথরুমে ছিলাম। আমার মা চিৎকার দিয়ে উঠে। আমি দ্রুত বের হয়ে এসে জিজ্ঞেস করি কে ইনজেকশন দিছে তাকে ডেকে আনেন। নার্স এসে আমাকে ধমক দেয়। নার্স বলে ইনজেকশন দিতেছি মহিলা এখন ঘুম যাচ্ছে। কি ইনজেকশন দিয়েছে আমার মা জনমের ঘুম ঘুমাই গেছে? চোখ বড় করে চটপট করতে করতে আমার মা মারা গেছে। তবে এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কেউই কোন কথা বলতে রাজি হননি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মোনাফ বলেন, রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ শুনেছি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র ইনজ কশন
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’
ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’
ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী