নাটোরের লালপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নাটোর-পাবনা সড়কের গোধড়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

নিহতরা হলেন– বগুড়া সদরের কইতলা এলাকার শাহরিয়ার শাকিল ও তার দুই বছরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। এ ঘটনায় শাকিলের স্ত্রী আয়শা আক্তার রুমী ও প্রাইভেটকার চালক গুরুতর আহত হয়েছেন।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মো.

ইসমাইল হোসেন জানান, সকালে প্রাইভেটকারটি যশোর থেকে বগুড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। গাড়িটি নাটোর-পাবনা সড়কের গোধরা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই শাহরিয়ার শাকিল ও তাঁর মেয়ে মারা যান। স্ত্রী ও প্রাইভেটকার চালককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ওসি আরও জানান, নিহত বাবা ও মেয়ের লাশ ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করে বনপাড়া হাইওয়ে থানায় আনা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’

ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।

দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।

ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্‌যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।

ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’

ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী

সম্পর্কিত নিবন্ধ