সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে ছেলের হাতে খুন হয়েছেন বাবা। আজ বৃহস্পতিবার ইফতারের সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলে সুলতান আহমদ তার বাবা দুলু মিয়াকে গলা কেটে হত্যা করে।
ঘটনার পর সুলতানকে আটক করেছে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ। দুলু মিয়া ওই গ্রামের মৃত কুটি মিয়ার ছেলে। নিহত দুলু মিয়ার পরিবার ‘প্রবাসী পরিবার’ বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছেলে সুলতান গত ছয় মাস আগে ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেন। দুলু মিয়ার আরও দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন বলে জানা গেছে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সুলতান দেশে ফেরার পর অনেকটা একা থাকতেন। কারো সাথে বেশি কথা বলতেন না। তার মানসিক সমস্যা রয়েছে।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম মোল্লা জানিয়েছেন, ঠিক কী কারণে ছেলে তার পিতাকে খুন করেছে প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি। ঘটনার পর সুলতানকে আটক ও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ব ক হত য ব ব ক ক প য় হত য
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে তিন ঘণ্টার পথ পাড়ি, শুধু এক জোড়া পা দেখার জন্য
লোকটাকে সবাই ‘এল লোকো’ বলে ডাকে। বাংলায় যার মানে ‘পাগল’। আর্জেন্টিনায় অবশ্য নামটা অপমানজনক বা বিরল কিছু না। বলা হয়ে থাকে, সে দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই বাকি অর্ধেককে ‘এল লোকো’ বলে ডাকে। তবে মার্সেলো বিয়েলসার ক্ষেত্রে এই নামটা কতটা যথার্থ, সেটার প্রমাণ পাওয়া যাবে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, কার্লোস তেভেজ, হাভিয়ের মাচেরানো, হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন ও অ্যান্ডার হেরেরার মতো তাঁর অনেক বিখ্যাত শিষ্যদের গল্পগুলো শুনলে।
পেপ গার্দিওলা, মরিসিও পচেত্তিনো ও ডিয়েগো সিমিওনের মতো বিখ্যাত ফুটবল কোচদের আদর্শিক গুরু তিনি এবং মনে করা হয়, ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম উদ্ভট চরিত্র ও প্রহেলিকার নাম বিয়েলসা।
আর্জেন্টাইন এই ফুটবল কোচের পাগলামির অনেক বিখ্যাত গল্প আছে, যেগুলোর সন্ধান পাওয়া যাবে ব্রিটিশ ক্রীড়া সাংবাদিক টিম রিচের লেখা ‘দ্য কোয়ালিটি অব ম্যাডনেস: আ লাইফ অব মার্সেলো বিয়েলসা’ বইয়ে।
কীভাবে বিয়েলসা কিশোর পচেত্তিনোকে খুঁজে বের করেছিলেন এবং তাঁকে নিউয়েলস ওল্ড বয়েজে নিয়ে গিয়েছিলেন, পাঠকদের আজ বলা হবে সেই গল্পটা, যা আছে ‘দ্য কোয়ালিটি অব ম্যাডনেস: আ লাইফ অব মার্সেলো বিয়েলসা’ বইয়ের ‘দ্য রোড টু মারফি’ নামের অধ্যায়ে—
পাগলামির গল্প১৯৮৭ সাল, শীতকালের মাঝামাঝি। ঘড়িতে রাত একটা।
জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাওয়া রাস্তায় পথ হারানো একটা সাদা ফিয়াট ১৪৭ গাড়ি হঠাৎ একটা সার্ভিস স্টেশন খুঁজে পেয়ে থামল। কাউকে পথের দিশা জিজ্ঞেস করতে গাড়ি থেকে দুজন লোক বেরিয়ে এলেন। তাঁরা যাবেন মারফি নামের একটা ছোট শহরে, এক কিশোরের খোঁজে। যে কিশোরের এ সময় অবশ্যই ঘুমিয়ে থাকার কথা।
মরিসিও পচেত্তিনিও নামে সেই কিশোরের স্কুলে যাওয়ার জন্য ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠতে হয়। স্কুলে সে কৃষিবিজ্ঞান পড়ে। সার্ভিস স্টেশন থেকে পথের দিশা নিয়ে আবার গাড়িতে গিয়ে বসলেন দুই যাত্রী—মার্সেলো বিয়েলসা ও হোর্হে গ্রিফা।
খেলোয়াড় পচেত্তিনোকে আবিস্কার করেছিলেন মার্সেলো বিয়েলসা