ভবন নির্মাণে সরকারি কালভার্টের মুখ ভরাট
Published: 27th, March 2025 GMT
যশোরের কেশবপুরে ভবন নির্মাণের জন্য সরকারি কালভার্টের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপের পরও এর মুখ খুলে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যশোর-চুকনগর সড়কে কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল আমতলা এলাকার কালভার্ট দিয়ে এলাকার পাঁচটি বিলের পানি নিষ্কাশন হয় বলে জানা গেছে।
কালভার্টটি বন্ধ হলে বলধালি, হাবাসপোল ও মধ্যকুল এবং মনিরামপুরের হাসাডাঙ্গা ও আটঘরা বিলের পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হবে। এতে বর্ষা মৌসুমে এলাকার ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। তাদের অভিযোগ, এলাকার প্রভাবশালী একটি মহলের ইন্ধনে পাশের জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য মাটি ভরাট করে কালভার্টের মুখ বন্ধ করা হয়েছে। এতে বর্ষা মৌসুমে বিলের পানি সরতে পারবে না।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রধান সড়কের পাশে কালভার্টের সামনে ট্রাকে করে মাটি এনে ভরাট করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর সামনের জমি চিনাটোলা এলাকার শিমুল হোসেনসহ কয়েকজন কিনে ভবন নির্মাণ করতে মাটি দিয়ে ভরাট করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কালভার্টের আশপাশ গত বর্ষা মৌসুমে প্রায় ছয় মাস জলাবদ্ধ ছিল। এতে মধ্যকুল ও হাবাসপোল গ্রামের মানুষের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকে সড়কে আশ্রয় নেন।
মধ্যকুল গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় দুশ্চিন্তা হচ্ছে। বর্ষাকালে কালভার্ট দিয়ে পানি সরতে না পারলে বাড়িঘর তলিয়ে যাবে। তখন আবার রাস্তায় টংঘর বানিয়ে থাকতে হবে।’
জমির মালিক শিমুল হোসেনের ভাষ্য, এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। ভরাট শেষ হলে নতুন কালভার্ট করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ নেওয়াজ বলেন, ঘটনাস্থলে পৌর ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে কালভার্টের মুখ খুলে দিতে বলা হয়েছে। মুখ না খোলা পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভবন ম ল ক ভবন ন র ম ণ র ট কর এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ফেরিওয়ালা খুন
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক ফেরিওয়ালা খুন হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পীরের বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নীপেশ তালুকদার (৪২)। তাঁর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সুনামপুর গ্রামে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গতকাল রাত ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নীপেশের গ্রামের বাড়ি দিরাইয়ে হলেও সিলেট নগরের জালালাবাদ থানার তেমুখী এলাকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তিনি প্রতিদিন বাইসাইকেল দিয়ে হাটবাজারে পান, সুপারি ও সিগারেট ফেরি করে বিক্রি করতেন। গতকালও একইভাবে বিক্রি শেষে সন্ধ্যায় তিনি পীরের বাজার এলাকা দিয়ে ফিরছিলেন। বাজারের পশ্চিম পাশে আসামাত্রই কিছু ছিনতাইকারী নীপেশের পথরোধ করে এবং একপর্যায়ে তাঁর বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী গতকাল রাত ১২টায় প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।