রোহিঙ্গাদের খাদ্যসহায়তা বরাদ্দ আগস্ট পর্যন্ত কমছে না, আশ্রয়শিবিরে স্বস্তি
Published: 27th, March 2025 GMT
কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাসিক খাবারের বরাদ্দ (রেশন) কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। আগামী ১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজার উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবিরে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাথাপিছু মাসিক খাদ্যসহায়তা ১২ মার্কিন ডলার এবং নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গাদের জন্য ১৩ ডলার করে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ডব্লিউএফপির এক চিঠিতে এ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এর আগে খাদ্যসহায়তা সাড়ে ১২ ডলার থেকে ছয় ডলারে কমিয়ে আনার ঘোষণায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় আশ্রয়শিবিরে স্বস্তি ফিরেছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ডব্লিউএফপির চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ডব্লিউএফপি বৃহস্পতিবার তাঁকে চিঠি দিয়ে সহায়তা কমানো সিদ্ধান্ত বদলের কথা জানিয়েছেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক ১২ ডলার (আগে ছিল সাড়ে ১২ ডলার) এবং ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য ১৩ ডলার (আগে ছিল ১৫ ডলার) বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত একই ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে রোহিঙ্গারা দুশ্চিন্তামুক্ত হলেন। এই সহায়তা রোহিঙ্গাদের খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টিমান ধরে রাখতে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুনতহবিল না পেলে রোহিঙ্গাদের রেশন অর্ধেকের বেশি কমাতে হবে: ডব্লিউএফপি০৭ মার্চ ২০২৫বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি। এর মধ্যে ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে স্থানান্তর করা হয় ৬০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। ১৩ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ৮ লাখ এসেছে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে। গত আট বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছে আরও ৬০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশ এলাকা (২৭০ কিলোমিটার) দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) দখলে রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ৫ মার্চ ডব্লিউএফপি তহবিল–সংকটের কথা উল্লেখ করে নতুন তহবিল না পাওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের মাসিক রেশন জনপ্রতি সাড়ে ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলারে নামিয়ে আনার কথা জানিয়েছিল। তখন রোহিঙ্গাদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছিল। কারণ, সাড়ে ১২ ডলারের ওই খাদ্যসহায়তায় একজন রোহিঙ্গার এক মাস দূরের কথা, ১৫ দিন চলত না। তখন রোহিঙ্গা তরুণ–যুবকেরা মাদক চোরাচালানসহ সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। এখন আগে সিদ্ধান্ত বদল অপরিবর্তিত রাখায় রোহিঙ্গারা খুশি এবং অনেকটা দুশ্চিন্তামুক্ত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর দ দ
এছাড়াও পড়ুন:
‘সুপার সানডেতেও’ পারল না ধোনির চেন্নাই, হাসারাঙ্গার ঘূর্ণিতে রাজস্থানের স্বস্তি
বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ‘শুক্রবার রাতের ব্লকবাস্টারে’ অসহায় আত্মসমপর্ণ করেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। সেই ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারের নয় নম্বরে নেমে সমালোচিত হয় ধোনি ও চেন্নাইয়ের টিম ম্যানেজমেন্ট।
কাল অবশ্য নিজের স্বচ্ছন্দ্যের পজিশন সাতেই ফিরেছেন ধোনি। কিন্তু একটি করে চার ও ছক্কায় তাঁর ১১ বলে ১৬ রান কোনো কাজে আসেনি। ‘সুপার সানডেতে’ চেন্নাইও পেরে ওঠেনি। ম্যাচ কিছুটা জমিয়ে তোলার আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৬ রানে হেরে গেছে।
গুয়াহাটিতে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৮২ রান করে রাজস্থান। চেন্নাই ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে থামে। বোলিংয়ে রাজস্থানের নায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। লঙ্কান এই লেগ স্পিনার ৩৫ রানে ৪ উইকেটে নিয়ে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন। তবে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের (৩৬ বলে ৮১ রান) সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা হাসারাঙ্গার সতীর্থ নীতীশের হাতে উঠেছে।
এবারের আইপিএলে এটিই রাজস্থানের প্রথম জয়। আর চেন্নাইয়ের টানা দ্বিতীয় হার। আজকের জয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে তলানিতে নামিয়ে পয়েন্ট তালিকার নয়ে উঠে এসেছে রাজস্থান। চেন্নাই আছে সাতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোররাজস্থান রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৮২/৯
(নীতীশ ৮১, পরাগ ৩৭, স্যামসন ২০, হেটমায়ার ১৯; নুর ২/২৮, পাতিরানা ২/২৮, খলিল ২/৩৮, জাদেজা ১/১০)।
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১৭৬/৬
(রুতুরাজ ৬৩, জাদেজা ৩২*, ত্রিপাঠি ২৩, দুবে ১৮, ধোনি ১৬; হাসারাঙ্গা ৪/৩৫, আর্চার ১/১৩, সন্দ্বীপ ১/৪২)।
ফল: রাজস্থান রয়্যালস ৬ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নীতীশ রানা।