সয়াবিনের দাম লিটারে ১৮ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা
Published: 27th, March 2025 GMT
বোতলজাত সয়াবিনের দাম একলাফে লিটারে ১৮ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা; আর খোলা সয়াবিনের দাম বাড়াতে চান লিটারে ১৩ টাকা। ভোজ্যতেলের কর–সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরদিন আগামী ১ এপ্রিল থেকে এই দর কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছেন ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীরা।
ভোজ্যতেল পরিশোধনের কারখানাগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা সরকারকে জানিয়েছে। দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তের কথা এদিন সংগঠনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছে।
রোজার আগে দাম সহনীয় রাখতে সরকার ভোজ্যতেলের শুল্ক–করে যে রেয়াতি সুবিধা দিয়েছিল, তার মেয়াদ ৩১ মার্চ শেষ হচ্ছে। সেই হিসাবে শুল্ক–কর অব্যাহতির সুবিধা আর চার দিন পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সরকার এখনো এই অব্যাহতির সুবিধা বাড়াবে কি না, সেই ঘোষণা দেয়নি। তার আগেই দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকেরা। ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ সময়ে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো হলে দাম আগের মতোই থাকবে। আর যদি শুল্ক–করের রেয়াতি এই সুবিধা উঠে যায়, তাতে আমদানির খরচ বাড়বে, তখন দাম বাড়ানো ছাড়া আর উপায় থাকবে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শুল্ক–কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মূল্য সমন্বয়ের কথা বলা হয়েছে সংগঠনটির চিঠিতে। চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে সয়াবিন ও পাম তেল বাজারজাত করতে হবে। এ অবস্থায় মূল্য সমন্বয় করে পাম ও সয়াবিনের দাম উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
বোতলজাত সয়াবিনের দাম সর্বশেষ গত ৯ ডিসেম্বর বাড়ানো হয়েছিল। তখন লিটারপ্রতি দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৫ টাকা। আগামী ১ এপ্রিল থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৩ টাকা। সেই হিসাবে লিটারে দাম বাড়ছে ১৮ টাকা। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৩৫ টাকা।
একইভাবে খোলা সয়াবিন ও খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১৭০ টাকা। এখন সরকার–নির্ধারিত দাম লিটারপ্রতি ১৫৭ টাকা। এ হিসাবে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ছে লিটারপ্রতি ১৩ টাকা।
রোজার আগে দাম সহনীয় রাখতে গত বছরের নভেম্বর–ডিসেম্বরে কয়েক দফায় ভোজ্যতেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ছাড় দেয় সরকার। এসব সুবিধার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত উন্নীত করা হয়েছিল। অবশ্য ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে আমদানি পর্যায়ের অব্যাহত শুল্ক-কর রেয়াত ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে এ–সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে। তবে এখন পর্যন্ত শুল্ক–করের সুবিধা অব্যাহত রাখার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি এনবিআর। এ অবস্থায় ঈদের ছুটির আগে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টি কে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার প্রথম আলোকে বলেন, ১ এপ্রিল থেকে সয়াবিন ও পাম তেল বাজারজাত করার পর থেকে আগের মতোই মূল্য সংযোজন কর দিতে হবে। মূল্য সংযোজন কর বাবদ এই খরচ সমন্বয় করে ভোজ্যেতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ জ যত ল র ব যবস য় র শ ল ক কর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই রেভ্যুলুশনারি এলায়েন্সের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ এবং চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত, সুন্দর ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে জুলাই রেভ্যুলুশনারি এলায়েন্সের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী এক বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হিসেবে দাযূত্ব গ্রহণ করেছেন সালেহ মাহমুদ রায়হান এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ফয়সাল মাহমুদ।
এছাড়া সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন আহমেদ সামরান। যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন মিরাজুল হক রেজন। যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন ফরহাদ হোসেন সেতু, ফয়সাল কবির অনিক, যুগ্ম সদস্য সচিব আতিকুর রহমান আসিফ।
সংগঠনটির মুখপাত্র হয়েছেন ফানতাসির মাহমুদ। সহ মুখপাত্র স্বর্না সরকার এবং শিমু আহমেদ। মুখ্য সংগঠক হয়েছেন আল মাহমুদ আবির। যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হয়েছেন সালাউদ্দিন ইউসুফ, নাহিদ রায়হান, রায়া ওয়াসিফা, নূরে আলম নয়ন, শাহাদাত খান, মুস্তাইন বিল্লাহ, আব্দুল মমিন আশিক।
সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মুস্তাফিজ আবির, তাওহীদুল ইসলাম, আনাস ইবনে রহমান, মাহমুদুল হাসান, এনামুল কবির, মেহেদী হাসান ইমাম, আব্দুর রহমান নাবিল, ফাহিম মোরশেদ আলফি, মাহাথির মেসুত হিমেল, চৈতি ইসলাম বৃষ্টি, মিশকাতুন নূর তাহসিন, মুশতাক তাহমিদ, নূর মোহাম্মদ, সৈয়দ সামিউল ইসলাম, ফারাহাত সাজিদ, নাইমুর রহমান আশিক, সাব্বির রহমান, মো. আতিকুর রহমান।
যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হয়েছেন শাহাদাত খান, মুস্তাইন বিল্লাহ, আব্দুল মমিন আশিক।
আইটি সম্পাদক হয়েছেন মো. সাব্বির আহমেদ, সহকারী আইটি সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম ও আরিয়ান আহমেদ।
কার্যকরী সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- ফারজানা জাহান নিলা, সিরাজুম মনির শিরিন সুলতানা মাফি, ওয়ালিদুর রহমান, মো. মেহেদী হাসান, রাইসুল রহমান রাতুল, আদিত্য চৌধুরী, সারাফাত রহমান, সরদার রিয়াদ, তানভীর হাসান, মো. আল ইমরান, রাসেল হোসেন, আবরার হানিফ, রিয়াদ আহনাফ, ইমন রহমান ফরহাদ, আবিদ মাসুম, ইঞ্জি. মো. নাসরুল্লাহ (আহত), ফজলে রাব্বি।