নিজের মূর্তি দেখে বিস্মিত এমবাপ্পে, ‘এটা আমি!’
Published: 27th, March 2025 GMT
লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘরে নিজের নতুন মোমের মূর্তি দেখে বিস্মিত হয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। উচ্ছ্বসিত হয়ে এই ফরাসি ফুটবল তারকা বলেছেন, ‘‘এটা তো আমি! অবিশ্বাস্য, চমৎকার!’’
আগামী ৪ এপ্রিল থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে এই মূর্তিটি। মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে এমবাপ্পের জাতীয় দলের জার্সিতে তার চিরচেনা ‘বাহু ক্রস করে বুকের ওপর রাখা’ ভঙ্গিতে।
মূর্তিটি দেখে অভিভূত এমবাপ্পে বললেন, ‘‘শিল্পীরা অসাধারণ কাজ করেছেন। চুল, ভঙ্গি—সবকিছু এত নিখুঁত যে মনে হচ্ছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এটা যেন অবিশ্বাস্য বাস্তবতা!’’ মূর্তির পোশাক থেকে শুরু করে জুতার ডিজাইন পর্যন্ত প্রতিটি সূক্ষ্ম কাজের প্রশংসা করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ
“ইনশাআল্লাহ জুনে ফিরে আসব”
প্যারিসের ‘মিউজে গ্র্যাঁভাঁ’ এবং বার্লিনের ‘মাদাম তুসো’ জাদুঘরে ইতোমধ্যেই এমবাপ্পের দুটি মোমের মূর্তি রয়েছে। এবার লন্ডনের এই নতুন সংযোজন নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি, ‘‘এটা সত্যিই দারুণ সম্মানের বিষয়। আমি খুব খুশি। আমার জন্য এটি একটি বিশেষ দিন।’’
এই মূর্তি তৈরিতে কয়েক মাস ধরে এমবাপ্পে এবং জাদুঘরের শিল্পীরা একসঙ্গে কাজ করেছেন। নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে তার শত শত মাপ নেওয়া হয় এবং অনেকবার সংশোধন করা হয় যাতে তার শক্তি ও ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে।
এই সফরে এমবাপ্পে লন্ডন শহরের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথাও জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমি লন্ডনে আসতে খুব পছন্দ করি। এখানকার খাবার, সংস্কৃতি—সবকিছু দারুণ। এটি সত্যিই বিশ্বের অন্যতম সেরা শহর।’’
বার্লিনের মাদাম তুসো জাদুঘরে নিজের আগের মূর্তি দেখার সময় এমবাপ্পে মজা করে বলেছিলেন, ‘‘এটা এমবাপ্পের চেয়েও বেশি এমবাপ্পে!’’ তার এই হাস্যরসাত্মক মন্তব্য ভক্তদের বেশ আনন্দ দিয়েছিল।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক ল য় ন এমব প প এমব প প জ দ ঘর
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতায় ঈদের নামাজের আগে স্বাধীন ফিলিস্তিনির দাবিতে মিছিল
সারা ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাতে সামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রেড রোডে। নামাজে ইমামতি করে কাজি ফজলুর রহমান। লাখো মুসল্লি এতে অংশ নেন। এছাড়াও নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, পার্ক সার্কাস, ময়দান, খিদিরপুরসহ রাজ্যের অসংখ্য মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষেই একে অপরকে আলিঙ্গন, কুশল বিনিময় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
তবে ঈদের নামাজ শুরুর আগেই স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দাবি করে কলকাতায় সংহতি মিছিলে অংশ নেন মুসল্লিরা। হাতে ব্যানার এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখর ছিল মিছিলটি। বিশাল মিছিল নিয়ে কলকাতার রেড রোডে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। বড়দের পাশাপাশি অনেক বাচ্চারাও সেই মিছিলে শামিল হয়।
ওই মিছিলে অংশগ্রহণকারী শেখ আমির নামে এক মুসুল্লি জানান, ‘আজকে আমাদের খুশির দিন, আনন্দের দিন। কিন্তু ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনেদের সঙ্গে যে অন্যায় হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারাও যেন শান্তিতে থাকতে পারেন। আমরা যেভাবে পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করছি, ঠিক সেভাবে তারাও যেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ পালন করতে পারেন। আমি যেমন আমার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে এসে নামাজ আদায় করছি, ঠিক তারাও যেমন এ রকম করতে পারেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে অত্যাচার এবং জুলুম হচ্ছে। নিরপরাধ বাচ্চাদের হত্যা করা হচ্ছে সেটা কি অপরাধ নয়? ইসরায়েলের উচিত ওই বাচ্চাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা। ইসরায়েলের আক্রমণে যেসব বাচ্চারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি।’
পরে রেড রোডের ঈদের নামাজে অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মমতার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা প্রমুখ।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঈদ পালিত হচ্ছে দিল্লি, লখনৌ, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, জম্মু-কাশ্মীর, ভোপাল, পাটনাসহ দেশের প্রতিটি শহরে। দিল্লির জামা মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নেন।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে দুইটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল নাগপুর, মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে। নাশকতা এড়াতে দিল্লিসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শহরেই ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি।
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেও দেখা যায়।