সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
Published: 27th, March 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ বৃহস্পতিবার এ মামলা হয়। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাব্বি আলমসহ ৭২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা। সম্প্রতি ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে শেখ হাসিনাসহ অন্যরা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেন।
ওমর ফারুক ফারুকী আরও বলেন, বিষয়টি জানার পর সিআইডির একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে আদালতে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলাটি সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি বলেছে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অনলাইন মিটিংয়ে জয় বাংলা ব্রিগেড গঠন করে শেখ হাসিনাকে ফের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আসামিরা। ওই মিটিংয়ে ৫৭৭ জন অংশ নেন।
সিআইডি বলেছে, নেতা-কর্মীদের কথোপকথনের ভয়েস রেকর্ড পর্যালোচনায় জয় বাংলা ব্রিগেড নামক প্ল্যাটফর্মে দেশ–বিদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীরা বৈধ সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনা করতে দেবে না বলে আলোচনা করেন। তাঁরা বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার জন্য গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দেন, যেখানে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের সুস্পষ্ট উপাদান রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে: শামসুজ্জামান দুদু
বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বর্তমান সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সেই উদ্যোগ না নিলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখা কঠিন হবে। সে জন্যে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় মানুষকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। মানুষের পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার ক্ষমতা দিতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যা শুধু দেশকে রক্ষা করতে পারবে এবং মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারবে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ভারতে মুসলিম নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশ’–এ তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সব অর্থে ভারতের ক্রীতদাসে পরিণত করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভারত আমাদেরকে নানাভাবে উসকানি দিচ্ছে।’
শেখ হাসিনাকে ভারতের আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত একজন ফ্যাসিস্টকে জায়গা দিয়ে নিজেকেও ফ্যাসিস্ট প্রমাণ করেছে। ভারতকে আমরা বন্ধুরাষ্ট্র মনে করি। কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে বন্ধুরাষ্ট্র মনে করে কি না’, সেই প্রশ্ন রাখেন তিনি।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। তিনি ভারতকে উদ্দেশ করে বলেন, বাংলাদেশ কখনো ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। ভারতেরও বাংলাদেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপত্বিতে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান প্রমুখ।