বন্দরে মাটি ও বালু খেকোদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ফসলী জমি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি এবং অবৈধ ভাবে নদীতে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।এছাড়া অবৈধ ইট ভাটা ও সরকারি জায়গায় স্থাপনার উপর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

গত বুধবার (২৬ মার্চ) ঐতিহ্যবাহী বন্দর প্রেসক্লাব আয়োজিত প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট জনদের সন্মানে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

বন্দর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ  মোঃ তরিকুল ইসলাম-পিপিএম, বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ছালেহ আহাম্মদ পাঠান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোবারক হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন খান, বন্দর বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আজিজুর রহমান, সোনাকান্দা ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী ও বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, আহবায়ক কমিটির অভিভাবক সদস্য এরিক, ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মোঃ কুদ্দুস।ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা সরদার মোঃ আলিম, আতাউর রহমান, মোঃ কবির হোসেন, সহ সভাপতি মোঃ মেহেবুব হোসেন, সহ সাধারন সম্পাদক জি.

এম. সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান রিপন, ক্রিড়া সম্পাদক দ্বীন ইসলাম দীপু, প্রচার সম্পাদক শাহ জামাল, নির্বাহী সদস্য নূরজ্জামান মোল্লা, মাহফুজুল আলম জাহিদ, স্থায়ী সদস্য লতিফ রানা, ইকবাল হোসেন, মেহেদী হাসান মুন্না প্রমুখ।#

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইউএনও র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

আ’লীগ নেতাদের নিয়ে ঈদ উপহার বিতরণ ইউএনওর

ধর্মপাশায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ নিয়ে নানা মহলে চলছে সমালোচনা।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য পাঠানো ঈদ উপহার বিতরণ করেন ইউএনও জনি রায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোজাম্মেল হক ও সেলবরষ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক গোলাম ফরিদ খোকা। মোজাম্মেল হক পাইকুরাটি ইউপির ও গোলাম ফরিদ খোকা সেলবরষ ইউপির চেয়ারম্যান। এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি বা অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের নিয়ে শুধু এ উপহার বিতরণই নয়, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সরকারি প্রতিটি কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকে রাখা হয়েছে সামনের সারিতে। এসব অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা বিতর্কের সৃষ্টি করে।
ধর্মপাশা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নারীদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ৪৫০টি শাড়ি বরাদ্দ পায় উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এসব শাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণের আয়োজন করে প্রশাসন। ওই অনুষ্ঠানের অতিথি মঞ্চে ইউএনওর পাশাপাশি আসন গ্রহণ করেন উল্লিখিত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা।
ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হক ও যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম রহমত বলেন, ধর্মপাশায় গত ৪ আগস্ট যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে এবং নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের প্রাধান্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসন সরকারিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে, যা দুঃখজনক। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, যদি আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পায়, তাহলে জুলাই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ম্লান হবে।
ইউএনও জনি রায় বলেন, ওই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের দাওয়াত করে আনা হয়নি। তারা অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে চলে আসেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আ’লীগ নেতাদের নিয়ে ঈদ উপহার বিতরণ ইউএনওর