আড়াই মাস পর বাংলাবান্ধা দিয়ে ভূটানের পাথর আমদানি শুরু
Published: 27th, March 2025 GMT
টানা আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আবারো শুরু হয়েছে ভূটান থেকে পাথর আমদানি। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে স্থলবন্দর এলাকা জুড়ে।
বন্ধ থাকার পর পরীক্ষামূলক আমদানির প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভূটান থেকে ৪টি পাথর বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত ও ভূটানের মধ্যে চলা অভ্যন্তরীণ জটিলতায় (স্লট বুকিয় দ্বন্দে) ভূটান থেকে পুরো দমে বোল্ডার পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। এর মাঝে গেল বছর (২০২৪) নানা সমস্যায় নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই মাস ভারতের পাথর আমদানি বন্ধ ছিল।
এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের পাথর আমদানি শুরু হলেও ভূটান থেকে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। কারণ হিসেবে ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরা ভুটানের পাথর বোঝাই ট্রাকগুলোকে স্লট বুকিং (সুবিধা অ্যাপস বা অনলাইনে ফি দিয়ে নিবন্ধন) এর আওতায় আনার দাবিতে আন্দোলন করলে ভূটান পাথর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে স্থবিরতা নেমে আসে পুরো বন্দর এলাকা জুড়ে।
আড়াই মাস পর ভূটান ভারতের সুবিধা অ্যাপসের আওতায় এসে ভূটান থেকে ৪টি পাথর বোঝাই গাড়ি বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ভারত ও ভূটানের অভ্যন্তরীণ জটিলতায় ভূটান থেকে পাথর আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার সকল সমস্যা কাটিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে পাথর আসা শুরু করেছে। প্রথম দিনে ভূটানের ৪টি পাথরের ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আশা করি কোন সমস্যা না হলে ঈদের বন্দের পর থেকে যথারীতি প্রতিদিন ভূটান থেকে পাথর আমদানি হবে।”
ঢাকা/নাঈম/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা নয়দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে। তবে স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণকারীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
শুক্রবার বিকেলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহীন ৯ দিন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভারত, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে টানা ৯ দিনের জন্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ঈদ উদযাপনের জন্য বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ এলাকায় চলে যাবেন। অন্যদিকে আমদানিকারকরা ঈদের ছুটি পাচ্ছেন, ফলে এই সময়ে কোনো পণ্য খালাস করা হবে না। আবার আগামী ৬ এপ্রিল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিসহ সব ব্যবসা কার্যক্রম চালু করা হবে।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ফিরোজ কবীর জানান, ঈদের ছুটিতে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। এই সময়ে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণকারীদের যাতায়াত কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।