সংগীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেও আসিফ আকবর একজন ক্রিকেটার ও ক্রিকেটপাগল মানুষ। প্রেম-বিয়ে-সংসার তাকে নানা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নিয়ে গেছে। ফলে আসিফের আর জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট খেলা হয়নি। তার কাছে ক্রিকেট মানেই আকুলতা। আরো একবার স্মৃতিবেদনায় ভাসলেন এই তারকা।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আসিফ আকবর। তাতে স্মৃতি হাতরে এই গায়ক বলেন, “ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলাম কৈশোরের উচ্ছ্বল সময়টায়। এসএসসি পরীক্ষার সময়ই ঢাকা লীগে অভিষেক হয়ে যেত, বাধা হয়ে দাঁড়াল বোর্ড পরীক্ষা। কুমিল্লার প্লেয়ারদের চিটাগং লীগে খেলতে হলে ঢাকার আগে সেখানে রেজিস্ট্রেশন করতে হতো, তখন সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশ বিমানে রেজিস্ট্রেশনের। এভাবে গেল আরো একটি বছর, সফলতার সাথে চিটাগং লীগ খেললাম বার্ডস শিপিং করপোরেশনে। ৯১/৯২ সেশনে এসে আবার খড়গ নেমে এলো এইচএসসি পরীক্ষার, প্রেম করে বিয়ে করে ফেললাম ৯২ সালে।”

ক্রিকেটার আসিফের পরিচয়পত্র

আরো পড়ুন:

ফের একসঙ্গে বালাম-ন্যানসি

ঢাকায় পাকিস্তানি গায়ক মুস্তফা জাহিদের কনসার্ট

পরের ঘটনা বর্ণনা করে আসি আকবর বলেন, “তারপর অনার্স পড়তে গিয়ে ঢাকায় প্রতিষ্ঠার রণে ভঙ্গ দিতেই হলো। একই সাথে হারিয়ে গেল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে যোগদানের সুযোগ এবং ইচ্ছেটাও। পড়াশোনা, সংসার, সন্তান আর প্রতিষ্ঠা পাবার সংগ্রামে কেটে গেল আরো বেশ কিছু বছর। দুঃসহ সব সময় পেরিয়ে প্রতিষ্ঠা পেলাম গানে, অথচ এই গানের জায়গাটাতেই আমি সবচেয়ে বেশি দুর্বল।”

৩ দশক আগের ক্রিকেটার আসিফ আকবরের পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। যা দেখে আপ্লুত এই তারকা। আসিফ আকবর বলেন, “দীর্ঘদিন পর ক্রিকেট পাগল বন্ধু আসাফের মাধ‍্যমে খুঁজে পেলাম ক্রিকেটার হিসেবে নিজের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার। আসাফ অনেক চেষ্টার পর হোয়াটসঅ‍্যাপে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে ক্রিকেটার পরিচয়পত্র। কৈশোরের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বিলীন হয়ে গেলেও এই ছোট্ট পরিচয়পত্রটি আপ্লুত করেছে আমায়, মনে হলো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি এখন আমার দখলে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে আমার আইডি নাম্বার— ৩৩৮৯। ভাই বন্ধু আসাফের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা, ক্রিকেট নিয়ে দীর্ঘ আড্ডায় আমাদের ছবিই তোলা হয়নি।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সংঘর্ষ ও খুনের পর মিরসরাই বিএনপির তিন কমিটির কার্যক্রম স্থগিত

সংঘর্ষ ও খুনের পর চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত তিনটি কমিটির কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌরসভা ও বারিয়ারহাট পৌরসভার তিনটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত বিএনপির কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিশেষ একটি পক্ষ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে এলাকায় জনগণকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একজন নিরীহ মানুষ হত্যার শিকার হন এবং ১৫ জন গুরুতরভাবে জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাম্প্রতিক উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মিরসরাইয়ের জনগণের পাশে থাকার লক্ষ্যে অনুমোদিত তিন কমিটির কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হলো।

কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, কমিটির বিষয়ে পরবর্তী করণীয় বসে ঠিক করা হবে। কমিটি গঠনের পর হত্যাসহ নানা নৈরাজ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৮ মার্চ মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৪ মার্চ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌরসভা ও বারিয়ারহাট বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নতুন ঘোষিত বিএনপির উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিতে আবদুল আওয়াল চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও আজিজুর রহমান চৌধুরীকে সদস্যসচিব মনোনীত করা হয়। ঘোষিত এই কমিটির বিরোধিতা করে ২৫ মার্চ দুপুরে মিরসরাই উপজেলা সদরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে ঝাড়ুমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের অনুসারীরা। সেই ঝাড়ুমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নতুন আহ্বায়ক কমিটিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিএনপির দুই পক্ষের এমন উত্তেজনা শুরু হলে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ফুল দিতে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতার শঙ্কায় ২৬ মার্চ সকালে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য মিরসরাই উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। সেদিন বেলা ১১টায় মিছিল গণজমায়েত করে প্রশাসনের দেওয়া ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শহীদ মিনারে এসে ফুল দিয়ে যান মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের অনুসারীরা। এরপর উপজেলার বারিয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মইনুদ্দিন লিটনের বাড়ির সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মোহাম্মদ জাবেদ নামের এক যুবক নিহত হন। সংঘর্ষের সেই ঘটনায় বিএনপির আরও অন্তত ১৩ নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংঘর্ষ ও খুনের পর মিরসরাই বিএনপির তিন কমিটির কার্যক্রম স্থগিত
  • তোষামোদ থামাতে ১২ নির্দেশনা