সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ১
Published: 27th, March 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বাবুল মোল্লা (৫৫) নামে এক নির্মাণ কন্ট্রাকটরকে মারধর করে আহত করেছে।
এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার খানপুর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করেন।
চিকিৎসা শেষে বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বাবুল মোল্লা তিন জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পূর্ব সানারপাড়, মৌচাক ওসমান গণি রোড এলাকার মো.
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, আহত বাবুল মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে চুক্তিতে লেবার দ্বারা বিল্ডিংসহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজ করে আসছেন। এর সুবাধে পূর্ব সানারপাড়, মৌচাক ওসমান গণি রোড এলাকার মো. করিম, মো. আসলাম ও মো. জহিরদীর্ঘদিন যাবত চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা বাবুল মোল্লাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদানসহ আমার ক্ষয়ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ইফতারের পূর্বে অভিযুক্তরা তাকে মৌচাক ওসমান গণি রোডস্থ হারুন সাহেবের বাড়ীর সামনে তাকে ডেকে নিয়ে প্রথমে ২০ হাজার পরে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। বাবুল মোল্লা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন।
আহত বাবুল মোল্লা জানান, অভিযুক্তরা উগ্র, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। তারা দীর্ঘদিন যাবত অত্র এলাকার অসহায় মানুষদের জিম্মি করে তাদের নিকট থেকে চাঁদা দাবি করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। তিনি তাদের তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃংখলা বাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই সোহেল রানা জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মোটরসাইকেল চোরকে থানায় এনে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে
জয়পুরহাটের কালাইয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মোটরসাইকেল চোরকে ধরার পর থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কালাই থানার ওসি জাহিদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে মোটরসাইকেলের মালিক কালাই পৌরশহরের থুপসাড়া মহল্লার আব্দুল খালেকের ছেলে আবু ইউসুফ নিজেই সাংবাদিকদের অভিযোগ করেছেন।
আবু ইউসুফ জানান, শনিবার রাতে চোরকে তার বাড়ি থেকে ধরে এনে থানা হাজতে সারারাত রেখে টাকা নিয়ে রোববার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আটক মনোয়ার হোসেন উপজেলার পুনট ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের মৃত কাছেম উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মার্চ বিকেলে কালাই পৌরশহরের থুপসাড়া মহল্লার আবু ইউসুফ নিজ বাড়ির রাস্তার পাশে তার ব্যবহৃত পালসার মোটরসাইকেলটি রেখে ভিতরে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর বাড়ির বারান্দা থেকে মোটরসাইকেলের পাশে দুইজন অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখতে পান তিনি। সন্দেহ হলে বাড়ির পিছন গেট হয়ে বাইরে আসামাত্র মোটরসাইকেলটি ওই দুই ব্যক্তি নিয়ে যায়। তখন মোটরসাইকেলের মালিকও তাদের পিছনে ধাওয়া করে ধরার চেষ্টা করেন, কিন্তু ধরতে পারেননি। এরপর তিনি পার্শ্ববর্তী একটি অফিসের সিসিটিভি থেকে ভিডিও সংগ্রহ করেন এবং তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ওইদিনের ভিডিও ও চোরের ছবি পোস্ট করেন। সেই সঙ্গে কালাই থানায় সরবরাহ করেন।
ফেসবুক পোস্টের জেরে গত ২৯ মার্চ স্থানীয় লোকজন ওই ছবি শনাক্ত করেন এবং মোটরসাইকেল মালিককে জানান। এরপর ইউসুফ শনিবার সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন এবং ইন্সপেক্টর তদন্ত এসএম কামাল হোসাইনকে চোর শনাক্তের বিষয়ে জানান। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল মালিক আবু ইউসুফ বলেন, চোরকে শনাক্তের পর আটক করতে আমি নিজেই পুলিশকে সহযোগিতা করেছি। রাতে যখন চোর মনোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, তখন আমি থানায় গিয়েছি। তখন ওসি আমাকে বলেন, ‘রাত অনেক হয়েছে, রোববার সকালে আসো, মামলা নিয়ে চোরকে জেল-হাজতে পাঠানো হবে।’ কিন্তু সকালে থানায় গিয়ে শুনি চোরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ কেন ছেড়ে দিল? তাকে থানায় এনে যদি ছেড়ে দেওয়া হবে, তাহলে নিয়ে আসা হলো কেন? এ নিয়ে আমি হতাশ।
আবু ইউসুফের বাবা আব্দুল খালেক বলেন, এত প্রমাণ দেওয়ার পরও ওসি কীভাবে একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানায় এনে ছেড়ে দেয়। আবার বলেছেন, ‘ছেড়ে দিয়েছি তো কী হয়েছে, তদন্ত করছি, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিনহাজুল ইসলাম চৌধুরি টোপন বলেন, সিসিটিভি ভিডিওতে যে ছবি দেখা যাচ্ছে, সেই ব্যক্তি মনোয়ার, এতে কোনো ভুল নেই। ছবি দেখেই গত রাতে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সকালে শুনলাম রাতেই তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান, অভিযোগকারীর দেওয়া ছবি সরবরাহের ভিত্তিতে একজন ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল, পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় তদন্ত চলমান।
মুঠোফোনে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব জানান, এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।