ট্রেন দেখতে গিয়ে প্রাণ গেল নানা-নাতনির
Published: 27th, March 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় নানা-নাতনির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাঘইল উত্তরপাড়া এলাকার মৃত রহমত সরদারের ছেলে বাবুল হোসেন সরদার (৫৫) ও উপজেলার চর-মিরকামারী গ্রামের ইসমাইল হেসেনের মেয়ে মুনতাহা (৫)। সম্পর্কে তারা নানা-নাতনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদ করার জন্য সম্প্রতি মুনতাহা নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। আজ ইফতারের আগ মুহূর্তে নানার কাছে ট্রেন দেখার আবদার করে শিশুটি। নাতনির ইচ্ছা পূরণে রাজি হয়ে যান নানা। নিয়ে যান বাড়ির পার্শ্ববর্তী রেললাইনের কাছে। সে সময় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের দিক থেকে একটি ট্রেনের ইঞ্জিন আসতে দেখে মুনতাহা রেললাইনের ওপর উঠে যায়। এসময় নাতনিকে বাঁচাতে বাবুল হোসেন সরদারও রেললাইনে উঠেন। পরে ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় দুজন রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বাবুল হোসেন সরদারকে মৃত অবস্থায় পান। আহতাবস্থায় মুনতাহাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, ‘‘পরিবারের সদস্যদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’’
ঢাকা/শাহীন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম নত হ সরদ র
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতায় ঈদের নামাজের আগে স্বাধীন ফিলিস্তিনির দাবিতে মিছিল
সারা ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাতে সামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রেড রোডে। নামাজে ইমামতি করে কাজি ফজলুর রহমান। লাখো মুসল্লি এতে অংশ নেন। এছাড়াও নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, পার্ক সার্কাস, ময়দান, খিদিরপুরসহ রাজ্যের অসংখ্য মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষেই একে অপরকে আলিঙ্গন, কুশল বিনিময় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
তবে ঈদের নামাজ শুরুর আগেই স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দাবি করে কলকাতায় সংহতি মিছিলে অংশ নেন মুসল্লিরা। হাতে ব্যানার এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখর ছিল মিছিলটি। বিশাল মিছিল নিয়ে কলকাতার রেড রোডে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। বড়দের পাশাপাশি অনেক বাচ্চারাও সেই মিছিলে শামিল হয়।
ওই মিছিলে অংশগ্রহণকারী শেখ আমির নামে এক মুসুল্লি জানান, ‘আজকে আমাদের খুশির দিন, আনন্দের দিন। কিন্তু ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনেদের সঙ্গে যে অন্যায় হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারাও যেন শান্তিতে থাকতে পারেন। আমরা যেভাবে পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করছি, ঠিক সেভাবে তারাও যেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ পালন করতে পারেন। আমি যেমন আমার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে এসে নামাজ আদায় করছি, ঠিক তারাও যেমন এ রকম করতে পারেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে অত্যাচার এবং জুলুম হচ্ছে। নিরপরাধ বাচ্চাদের হত্যা করা হচ্ছে সেটা কি অপরাধ নয়? ইসরায়েলের উচিত ওই বাচ্চাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা। ইসরায়েলের আক্রমণে যেসব বাচ্চারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি।’
পরে রেড রোডের ঈদের নামাজে অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মমতার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা প্রমুখ।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঈদ পালিত হচ্ছে দিল্লি, লখনৌ, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, জম্মু-কাশ্মীর, ভোপাল, পাটনাসহ দেশের প্রতিটি শহরে। দিল্লির জামা মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নেন।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে দুইটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল নাগপুর, মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে। নাশকতা এড়াতে দিল্লিসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শহরেই ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি।
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেও দেখা যায়।