যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার বিরোধ সমাধানের জন্য ইরান সব দরজা বন্ধ করেনি এবং ওয়াশিংটনের সাথে তেহরান পরোক্ষ আলোচনার জন্য প্রস্তুত। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা কামাল খারাজি বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

চলতি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, তেহরানকে হয় চুক্তি করতে হবে, নইলে সামরিক পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। তবে ইরান এই হুমকি প্রত্যাখ্যান করেছে। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বার্তাটিকে প্রতারণামূলক বলে অভিহিত করেছেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, ওয়াশিংটন তার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি পরিবর্তন না করলে আলোচনা অসম্ভব।

বৃহস্পতিবার কামাল খারাজি বলেছেন, “ইসলামী প্রজাতন্ত্র সব দরজা বন্ধ করেনি। অন্য পক্ষের মূল্যায়ন, নিজস্ব শর্তাবলী এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনার জন্য প্রস্তুত।”

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি জানিয়েছেন, ইরান শিগগিরই ট্রাম্পের চিঠির জবাব দেবে। তেহরান তার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্পের হুমকি এবং সুযোগ উভয়ই বিবেচনা করবে।

২০১৭-২১ মেয়াদে তার প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। এরপরেই তিনি ইরানের ওপর ব্যাপক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি আরো জোরদার করে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

হাজারো আফগানকে বহিষ্কার পাকিস্তানের

পাকিস্তান চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। ৩০ এপ্রিল সময়সীমার আগেই ৮০ হাজারের বেশি আফগান পাকিস্তান ছেড়েছে; এরাও তাদের মধ্যে আছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

নথিবিহীন আফগান ও যাদের অবস্থান করার অস্থায়ী অনুমতি ছিল, তাদের বহিষ্কার করার পদক্ষেপ জোরদার করেছে ইসলামাবাদ। অতিরিক্ত শরণার্থীর চাপ তারা আর বহন করতে পারছে না বলে ইসলামাবাদ জানিয়েছে। তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ পরিবারকে ফেরত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ২০ লাখ আফগান শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার শনিবার কাবুল যান। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির কান মুত্তাকি শরণার্থী আফগানদের ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন। রয়টার্স।

সম্পর্কিত নিবন্ধ