রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা কমছে না, জনপ্রতি ১২ ডলারই থাকছে
Published: 27th, March 2025 GMT
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরাদের জন্য খাদ্য সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে জনপ্রতি মাসিক ১২ ডলার বরাদ্দ দিচ্ছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। বৃহস্পতিবার রাতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক ১২ ডলার ও ভাসানচরে অবস্থানরতদের জন্য ১৩ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ডব্লিউএফপি এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
‘ডব্লিউএফপি নিশ্চিত করেছে যে তহবিল সংকট স্বত্ত্বেও খাদ্য সহায়তা একইরকম থাকছে। এ সিদ্ধান্ত রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান ঠিক রাখতে সহায়তা করবে’, বলেন তিনি।
এদিকে মার্চের শুরুতে ডব্লিউএফপি তহবিল সংকটের উল্লেখ করে জরুরি নতুন তহবিল পাওয়া না গেলে রোহিঙ্গাদের মাসিক রেশন জনপ্রতি সাড়ে ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলারে নামিয়ে আনার কথা জানিয়েছিল। রোহিঙ্গাদের পূর্ণ রেশন চালিয়ে যেতে এপ্রিলেই জরুরিভাবে দেড় কোটি ডলার এবং এ বছরের শেষ নাগাদ মোট ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার প্রয়োজন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সরকারের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। মিয়ানমারে সামরিক অভিযান ও সহিংসতার মুখে তাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স দুটির সনদের মান স্নাতকের (পাস) সমান করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার সকালে রংপুর নগরীতে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিভিন্ন নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নগরীর সাধারণ ডিপ্লোমা নার্সিং, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ও ইন্টার্ন শিক্ষার্থীরা স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন। এরপর সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন জেলা শাখার সভাপতি রেজওয়ান হোসেন, শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক (পাস) কোর্সের সমমানের স্বীকৃতির জন্য দাবি জানিয়ে আসছি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৯ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ২০ আগস্ট স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এ যৌক্তিক দাবির পক্ষে নীতিনির্ধারকরা সহমত পোষণ করলেও
এখন পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের দাবি মানা না
হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয় কর্মসূচি থেকে।