বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরাদের জন্য খাদ্য সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে জনপ্রতি মাসিক ১২ ডলার বরাদ্দ দিচ্ছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। বৃহস্পতিবার রাতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক ১২ ডলার ও ভাসানচরে অবস্থানরতদের জন্য ১৩ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ডব্লিউএফপি এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

‘ডব্লিউএফপি নিশ্চিত করেছে যে তহবিল সংকট স্বত্ত্বেও খাদ্য সহায়তা একইরকম থাকছে। এ সিদ্ধান্ত রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান ঠিক রাখতে সহায়তা করবে’, বলেন তিনি।

এদিকে মার্চের শুরুতে ডব্লিউএফপি তহবিল সংকটের উল্লেখ করে জরুরি নতুন তহবিল পাওয়া না গেলে রোহিঙ্গাদের মাসিক রেশন জনপ্রতি সাড়ে ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলারে নামিয়ে আনার কথা জানিয়েছিল। রোহিঙ্গাদের পূর্ণ রেশন চালিয়ে যেতে এপ্রিলেই জরুরিভাবে দেড় কোটি ডলার এবং এ বছরের শেষ নাগাদ মোট ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার প্রয়োজন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সরকারের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। মিয়ানমারে সামরিক অভিযান ও সহিংসতার মুখে তাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সব দেশে শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

সব দেশে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার এয়ার ফোর্স ওয়ান-এ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন।

ধারণা করা হচ্ছিল, বড় অর্থনীতির যে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ভারসাম্য নেই, কেবল সেসব দেশের পণ্যের ওপর ট্রাম্প কর আরোপ করবেন। তবে রবিবার ট্রাম্পের ঘোষণা, সেই ধারণাকে ভুল বলে প্রমাণ করলো।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, ২ এপ্রিল তার দীর্ঘ প্রত্যাশিত শুল্কের ঘোষণাটি সব দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে।

তিনি বলেন, “আমরা সব দেশ দিয়ে শুরু করব। বিশেষ করে আমরা যেসব দেশ নিয়ে কথা বলছি।”

হোয়াইট হাউস অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা কেভিন হাসেট চলতি মাসের শুরুর দিকে জানিয়েছিলেন, মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতির জন্য দায়ী ১০ থেকে ১৫টি দেশের দিকে নজর দেওয়া হবে।

ফক্স বিজনেসের সাথে সাক্ষাৎকারে হাসেট বলেছিলেন, “এখানে ১০০ টিরও বেশি দেশ রয়েছে যেগুলো সত্যই আমাদের উপর কোনো শুল্ক ধার্য্য করে না এবং কোনো শুল্কের বাধা নেই।”
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ