বুধবার সকালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন রাফিনিয়া। সেই ম্যাচের পর আজ রাতে ফের বার্সেলোনার হয়ে ওসাসুনার বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচে মাঠে নামার কথা ছিল তাঁর। বলা বাহুল্য, এত তাড়া নিয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ ছিল না বার্সার হয়ে দারুণ ছন্দে থাকা রাফিনিয়ার।

ফলে বাধ্য হয়েই স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়েছে তাঁকে। শুনতে অবাক করার মতো হলেও ফুটবলের নতুন বাস্তবতা এমনই। শুধু এটুকুই নয়, বার্সা ৯ দিনের মধ্যে খেলবে ৪ ম্যাচ। কিছুটা অবিশ্বাস্য ও অসম্ভব মনে হলেও এটাই এখন বাস্তব।

আজ রাতে বার্সা-ওসাসুনা ম্যাচের কথা তো আগেই বলা হয়েছে। এই ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল ৮ মার্চ। কিন্তু বার্সেলোনা দলের চিকিৎসকের মৃত্যুতে স্থগিত হয় সেই ম্যাচটি, যা মাঠে গড়াবে আজ রাতে।

আরও পড়ুনঘুরে দাঁড়ানো কাকে বলে দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা১৭ মার্চ ২০২৫

এরপর ৩০ মার্চ রাত ৮টা ১৫ মিনিটে আবার মাঠে নামবে বার্সা। লা লিগার সেই ম্যাচে বার্সার প্রতিপক্ষ জিরোনা। এরপর ২ এপ্রিল রাতে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বার্সা খেলবে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। হাইভোল্টেজ সেই ম্যাচের পর ৫ এপ্রিল আবার মাঠে নামবে কাতালান ক্লাবটি। সেই ম্যাচটিতে তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল বেতিস।

অর্থাৎ ২৮ থেকে ৫ এপ্রিল—এই ৯ দিনের মধ্যে বার্সাকে খেলতে হবে ৫ ম্যাচ। বেশ চ্যালেঞ্জিংই বটে। বিশেষ করে মৌসুমের শেষ দিকে এসে অল্প সময়ের ব্যবধানে চারটি ম্যাচ খেলা সহজ নয়। এ ম্যাচগুলোর জন্য খেলোয়াড়দের ফিট রাখা, মানসিকভাবে সেরা অবস্থায় রাখা এবং জয়রথ ধরে রাখা বেশ কঠিনই বটে।

আরও পড়ুনযে ক্লাসিকোয় বার্সার কাছে ৬৩ গোল খেয়েছে রিয়াল০৭ মার্চ ২০২৫

লা লিগায় এবার দেখা যাচ্ছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ২৭ ম্যাচ শেষে রিয়ালকে টপকে বার্সা শীর্ষে থাকলেও দুই দলের পয়েন্ট কিন্তু সমান। শুধু হেড টু হেডের কারণে রিয়ালের ওপরে আছে বার্সা। অর্থাৎ এ মুহূর্তে প্রতিটি ম্যাচই একরকম ফাইনালের মতো। ফলে এমন পরিস্থিতিতে টানা এতগুলো ম্যাচ খেলা মোটেই আদর্শ কিছু নয়।

এমন ঠাসা সূচি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি নন বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। ওসাসুনার ম্যাচের আগে তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার প্রতিক্রিয়া নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমার মনে হয়, এটা ভালো নয়। খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের হয়ে কেবলই খেলেছে। কিন্তু এখন আমাদের এই ম্যাচটি খেলতে হচ্ছে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদ-নিরাপত্তার বিষয়ে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান

ঈদে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চি করতে সেনাবাহিনী গ্রহণ করা বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় রবিবার সাক্ষাৎ করে সেনাবাহিনী প্রধান আসন্ন ঈদে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা; লঞ্চ টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডগুলোর নিরাপদ সেবা নিশ্চিত করাহ সব সড়কে নিরবিচ্ছিন্ন যান চলাচলের বিষয়ে অবহিত করেন।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে: তারেক রহমান

সেনাবাহিনী সব সময় জুলাই আন্দোলনে আহতদের পাশে থাকবে: সেনাপ্রধান

শিল্পাঞ্চলের মালিকদের সঙ্গে শ্রমিকদের বোঝাপড়ার ব্যবস্থা করা এবং সেনাবাহিনীর চলমান বিবিধ কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন ওয়াকার-উজ-জামান।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সম্মানে দেশের সব সেনানিবাসে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন এবং আহত যোদ্ধা ও শহীদ যোদ্ধাদের পরিবারকে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছা জানান সেনাবাহিনী প্রধান।

প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ