বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগে দান করা হয়েছে। সন‌্জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পার্থ তানভীর বলেন, বেলা ১১টার দিকে মরদেহ হস্তান্তরপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে নিজের শরীর দানের সিদ্ধান্তটি সন্‌জীদা খাতুন ১৯৯৮ সালে নিয়েছিলেন।

মরদেহ দানের সময় সন‌্জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ, ছোট মেয়ে রুচিরা তাবাসসুম নভেদ, বড় মেয়ের স্বামী সাংবাদিক নিয়াজ মোরশেদ কাদেরী এবং ছোট মেয়ের দেবর অধ্যাপক মানজারে শামীম উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনশেষবারের মতো ছায়ান‌টে সন্‌জীদা খাতুন, ফু‌লেল শ্রদ্ধা২৬ মার্চ ২০২৫

পার্থ তানভীর নভেদ প্রথম আলোকে আরও জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগের পক্ষ থেকে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ গ্রহণ করা হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে নিজের শরীর দানের সিদ্ধান্তটি তাঁর মা ১৯৯৮ সালে নিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তখন একটি চুক্তিও করেছিলেন সন্‌জীদা খাতুন। সেই চুক্তি তিনি খামে ভরে রেখে দিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর গতকাল সেই খাম বের করা হয়েছে উল্লেখ করে পার্থ তানভীর নভেদ বলেন, ‘১৯৯৮ সালে চুক্তির সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মানজারে শামীম। আজ মরদেহ হস্তান্তরের সময়ও তিনি উপস্থিত ছিলেন।’

আরও পড়ুনসন্‌জীদা খাতুন আছেন আমাদের সঙ্গে২৬ মার্চ ২০২৫

গত মঙ্গলবার বেলা ৩টা ১০ মিনিটে মারা যান সন্‌জীদা খাতুন। সে দিন রাতে সন‌্জীদা খাতুনের মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে তাঁর কফিন নেওয়া হয় ছায়ানট ভবনে। সেখানে শেষবিদায় জানান ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে তাঁকে শেষবিদায় জানান শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ আবারও হিমঘরে রাখা হয়। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রবাসে থাকা পরিবারের সদস্যরা আসার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সন্‌জীদা খাতুনের নিজের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে বৃহস্পতিবার তাঁর পরিবার তাঁর মরদেহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে দান করে।

আরও পড়ুনএকনজরে সন্‌জীদা খাতুন২৫ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: খ ত ন র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

রুক্ষ-শুষ্ক চা বাগানে অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি

টানা তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত শ্রীমঙ্গলসহ মৌলভীবাজার উপজেলাগুলোর চা বাগানগুলো অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির স্পর্শে নির্মল সবুজের দেখা মিলেছে সেখানে। প্রথম দফা বৃষ্টির পরেই চা গাছগুলোতে নতুন কুঁড়ি উঁকি দিতে শুরু করেছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রচণ্ড তাপে ঝলসে গিয়েছিল বাগানের অধিকাংশ চা গাছ। অনেক স্থানে শুরু হয়েছিল লাল রোগের প্রাদুর্ভাব। চা উৎপাদন শুরুর মৌসুমে মৌলভীবাজার জেলার ৯২টি চা বাগানে কমে যায় উৎপাদনের গতি। চলতি সপ্তাহ ধরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে। বাগান রক্ষায় কৃত্রিম সেচের প্রয়োজন নেই। চলতি বছরে চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ