গ্যাসপ্রমকে বাংলাদেশে আরো অনুসন্ধান চালানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
Published: 27th, March 2025 GMT
রাশিয়ার জ্বালানি সংস্থা গ্যাসপ্রমকে বাংলাদেশের উপকূল ও সমতলে আরো বেশি অসুন্ধান চালানোর আহ্ববান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) চীনের হাইনান প্রদেশের বোয়াও শহরে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনের ফাঁকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সেই ওভারচুক।
চার দিনের সফরে চীনে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীরা।
আরো পড়ুন:
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সড়ক সেতু নির্মাণ করবে রাশিয়া
ইউক্রেন ইস্যুতে সৌদি আরবে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া
বৃহস্পতিবার বোয়াও সম্মেলেনে পার্শ্ব বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ও আলেক্সেই ওভারচুক দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। যার মধ্যে জ্বালানি অনুসন্ধান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গম ও সার আমদানি এবং রাশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রাশিয়ার বৃহৎ জ্বালানি সংস্থা গ্যাজপ্রমকে অফশোর ও অনশোরে আরো বেশি অনুসন্ধান কার্যক্রম দেখতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে দেখা দেওয়া অনিশ্চয়তা কেটে গেছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে অর্থসংক্রান্ত বিষয়গুলো সমাধান হয়েছে এবং বাংলাদেশ ঢাকায় একটি অ্যাকাউন্টে অর্থ পরিশোধ করছে।
তিনি জানান, রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র এই বছরের শেষের দিকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারে।
এ সময় আলেক্সেই ওভারচুক বাংলাদেশে আরো বেশি গম ও সার রপ্তানির আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাশিয়া থেকে আরো বেশি গম ও সার আমদানি করবে বাংলাদেশ।
আলেক্সেই ওভারচুক দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আরো বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রাশিয়ায় পড়াশোনা করতে যাক, সেটি আমরা দেখতে চাই।”
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ও প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ড.
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৬ থেকে ২৯ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল চীনে সরকারি সফরে রয়েছে। বোয়াও সম্মেলনে ২৭ মার্চ পেনিং প্ল্যানারিতে অংশগ্রহণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।