আইপিএলের এবারের আসরে রাজস্থান রয়্যালসের শুরুটা মোটেও সুখকর হয়নি। দলীয় অধিনায়কত্বে পরিবর্তন এনে প্রথম তিনটি ম্যাচে নেতৃত্বের ভার দেওয়া হয় রিয়ান পরাগকে। কিন্তু তার অধীনে টানা দুটি পরাজয় দলের উপর চাপ বাড়িয়েছে। ঠিক এই সময়েই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। মাঠে ঢুকে এক ভক্ত রিয়ান পরাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

অবশ্য ক্রিকেট বিশ্বে তারকাদের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিতে মাঠে ঢুকে পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সেই একবার বিরাট কোহলির এক ভক্ত মাঠে ছুটে গিয়ে তাকে প্রণাম করেছিলেন। এরপর অবশ্য পুলিশ সেই ভক্তকে আটক করেছিল। এবার ঠিক তেমনই এক দৃশ্য দেখা গেল বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে। তবে এবার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন রিয়ান পরাগ। গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালিন এক ভক্ত নিয়ম ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন এবং রিয়ানের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় ওঠে।

নেটিজেনদের একাংশ এই ঘটনাকে স্বাভাবিকভাবে নিলেও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, রিয়ানের মতো তুলনামূলক কম জনপ্রিয় খেলোয়াড়ের জন্য কেউ কেন মাঠে ঢুকবে? এমনকি কিছুজন দাবি করছেন, এটি পরিকল্পিত! এক ব্যক্তি রসিকতা করে লিখেছেন, “১০ হাজার টাকা দিয়ে ভক্ত ভাড়া করে মাঠে ঢোকালেন রিয়ান! তিনি চিরকাল লাইমলাইটে থাকতে ভালোবাসেন।”

আরো পড়ুন:

কিউদের বদলি অধিনায়ক ল্যাথামও চোটে

‘সতর্কতার সঙ্গে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে তামিমকে’

এই বিতর্কের সূত্র ধরেই রিয়ানকে ট্রোল করা শুরু হয়।  

উল্লেখ্য, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৫ বলে ২৫ রান করেন রিয়ান। তবে বল হাতে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। তার পারফরম্যান্সের চেয়ে এখন বেশি আলোচনায় সেই বিতর্কিত ঘটনাই!

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের ঠেলে পাঠানো ১৫ জন আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আজ রোববার ভোরে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এ সম্পর্কে বিজিবির ১৬ ব্যাটালিয়নের বিভীষণ সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাঁরা যশোর, নড়াইল, খুলনা ও মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্য ২ জন শিশু, ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ।

আবদুল মান্নান বলেন, আজ ভোরে সীমান্তে টহলের সময় ওই ১৫ জনকে দেখতে পান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তাঁদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। তাঁদের গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বারিক বলেন, পুশ-ইনের শিকার বাংলাদেশি নাগরিকেরা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ