ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে রয়েছে চাপ, নেই যানজট
Published: 27th, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে ঈদপূর্ব যানবাহনের চাপ বাড়ছে। বিকেল থেকে যানবাহনের চাপ বাড়লেও সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল মোড় থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত অংশের কোথাও যানজট বা ধীরগতি নেই।
এদিকে মহাসড়কের শৃঙ্খলারক্ষায় বগুড়া রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) মো শহিদুল্লাহ'র নেতৃত্বে হাটিকুমরুল ও শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের বেশ কয়েকটি দল মাঠে রয়েছে।
অন্যদিকে যমুনা সেতু পশ্চিম থানাসহ জেলা ও ট্রাফিক পুলিশ তৎপর রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড় গোল চত্বরে টানা দু’ঘণ্টা অবস্থান করেও যানজট দেখা যায়নি।
সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড়, যমুনা সেতু পশ্চিম পাড় থেকে চান্দাইকোনা হয়ে বগুড়ার শেরপুর, বনানী, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ীসহ মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের ডজনখানেক নিরাপত্তাশেড তৈরি করা হয়েছে। সড়কের সুশৃঙ্খলা রক্ষায় সেসব সেড থেকে চালক-যাত্রীদের উদ্দেশ্যে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে।
যমুনা সেতুর পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
তিনি আরও জানান, ‘জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা মহাসড়কের নিরাপত্তা ও ডাকাতির সংবাদ পরিবেশন করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তৎপর হওয়ার নতুন করে আর কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি।’
এদিকে বৃহস্পতিবারও হাটিকুমরুল মোড়সহ সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার মহাসড়কের নিরাপত্তা পরিদর্শনে আসেন বগুড়া রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. শহিদুল্লাহ।
আজ বিকেলে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড়ে অবস্থানকালে বলেন, ‘সিরাজগঞ্জের নলকা থেকে বগুড়ার রহবার পর্যন্ত মহাসড়কের শৃঙ্খলতায় ৪২২ জন ঈদের আগে দিনরাত দায়িত্ব পালন করছেন। ঈদের আগে ট্রাক চলাচল বন্ধের বিষয়ে নির্দেশনা থাকলেও ট্রাক মালিক-শ্রমিক সংগঠন সাড়া না দেওয়ায় বাড়তি ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে।’
সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি ও জেলা বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর কায়েম সবুজ বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে বর্তমানে আমি অনেকটা দূরে সরে আছি।’ বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজগঞ্জ শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহিদ আলম সমকালের মুঠোফোনে সাড়া দেননি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পর্যবেক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আনায়ারুল কবির পাভেল বলেন, ‘ঢাকা থেকে লক্কর ঝক্কর ও ফিটনেসবিহীন বাসের সংখ্যা বাড়ায় সেসব নিয়ন্ত্রণে ঝামেলায় রয়েছি। তবে যানবাহনের চাপ বাড়ছে।’
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সওজের সাউথ এশিয়া রিজিওনাল কো-অপারেশন সম্প্রসারণ প্রকল্পের (সাসেক) পরিচালক ডক্টর অলিউর রহমান আজ বিকেলে সমকালকে বলেন, ‘এবারের রাস্তাঘাটে কোনো সমস্যা নেই। আশা করছি, সুশৃঙ্খলভাবে উত্তর অঞ্চলের লোকজন ঘরে ফিরতে পারবেন।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ স র জগঞ জ র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক এড়াতে তৎপর ভারত, অর্ধেকের বেশি পণ্যে শুল্ক কমাতে রাজি
আগামী ২ এপ্রিল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের সব দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। অর্থাৎ যে দেশ মার্কিন পণ্যে যত শুল্ক আরোপ করে, যুক্তরাষ্ট্রেও সেই দেশের পণ্যে ঠিক সেই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে। সেই পরিস্থিতি এড়াতে প্রাণান্ত চেষ্টা করছে ভারতসহ যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ বাণিজ্য সহযোগীরা।
ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের হাত থেকে বাঁচতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য যেমন কাঠবাদাম ও ক্র্যানবেরিতে আরও শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব দিয়েছে। এর আগে তারা অবশ্য রয়টার্সের আরেক সাংবাদে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ২৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের মধ্যে ৫৫ শতাংশের ওপর শুল্ক কমাতে রাজি হতে পারে ভারত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সদ্ভাব থাকলেও ট্রাম্প সব সময় ভারতের শুল্কনীতির কট্টর সমালোচক। এর আগে তিনি অনেকবারই বলেছেন, ভারত শুল্কের রাজা। তিনি ভারতের সভ্যতা ও নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করার পাশাপাশি কখনোই ভারতের শুল্কনীতির সমালোচনা করতে রাজি হননি। কিন্তু এবার ট্রাম্প রীতিমতো পণ করেছেন, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষতি করছে, তাদের ছাড়া হবে না—কানাডা, মেক্সিকো, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত—কাউকে না। তিনি মনে করেন, এসব দেশ এত দিন যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থনৈতিকভাবে ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়েছে, এখন থেকে তা আর হতে দেওয়া হবে না।
তবে ভারত এ ক্ষেত্রে বেশ কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে ২৬ মার্চ চার দিনের নয়াদিল্লি সফরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডেন লিঞ্চের নেতৃত্বাধীন ওই প্রতিনিধিদল ভারতে আসার পরই শুল্ক প্রশ্নে ইতিবাচক ও নমনীয় বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
২৬ মার্চ লোকসভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারতের গড় আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ করা হয়েছে। বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ এক প্রশ্নের জবাবে জানান, ২০২৩ সালে ভারতের সরল গড় শুল্কহার ছিল ১৭ শতাংশ। ২০২৫-২৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের পর সরল গড় শিল্প শুল্ক ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
সম্প্রতি লোকসভায় অর্থ বিল পাসের সময়ে ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য যে ৬ শতাংশ করারোপ করা হতো, সেটাও তুলে নেওয়া হয়েছে। মূলত ইলন মাস্কের এক্স, গুগল ও মেটার ওপর এই শুল্ক আরোপ করা হতো। বার্তা পরিষ্কার, সুর নরম করেছে নয়াদিল্লি।
এ ছাড়া চলতি বছরের বাজেটে মার্কিন মোটরসাইকেলে শুল্ক হ্রাস করে ভারত। তখন মার্কিন ব্র্যান্ড হারলে ডেভিডসনের আমদানিতে ভারত আরও ১০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস করে। এর আগে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত হারলে ডেভিডসনের ওপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছিল। এবারের বাজেটে যা আরও কিছুটা কমানো হয়।