কুষ্টিয়ায় আবরার হত্যার রায় কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 27th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর ও পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা স্কুলের প্রাক্তন, অধ্যয়নরত ছাত্র ও অভিভাবকরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করতে হবে। আদালতের দেওয়া রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করা হলেও এখনো চারজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা বিচার ব্যবস্থার প্রতি অবহেলার প্রমাণ। বিশেষ করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমির কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রশাসনিক ব্যর্থতার নজির।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ভগ্নিপতিকে হত্যায় সম্বন্ধি গ্রেপ্তার
মাদারীপুরে শ্রমিকদল সভাপতিকে হত্যা, বিচার দাবিতে বিক্ষোভ
মানববন্ধনে আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ (বুলু), ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম উল হাসান অপুসহ কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সেখানে পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং রায় কার্যকরের দাবি জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ।
আবরার হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ২০ বুয়েট শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি বাধ্যতামূলক পর্যালোচনার জন্য হাইকোর্টে পাঠানো হয়। হাইকোর্ট পূর্বের রায় বহাল রাখেন। দণ্ডিত ২৫ জন বন্দির মধ্যে ২১ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আবর র ফ হ দ র ব ব ক র যকর আবর র ফ
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি অধ্যাপক মোহান্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলা পাদদেশ থেকে মিছিল শুরু হয়ে প্রধান ফটক সংলগ্ন কুয়েট উড পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল করে। এরপর সেখান থেকে তারা মশাল মিছিল সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে শেষ করে।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাজের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম, ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ জাহিদ ও একই ব্যাচের শিক্ষার্থী গালিব রাহাত।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
গাজীপুরে ওসির প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘বুধবার (১৭ এপ্রিল) কতিপয় শিক্ষক আমাদের বিরুদ্ধে কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের সংগ্রাম আমাদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নয়। তারা আমাদের পিতৃতুল্য। আমাদের যদি ভুল হয়ে থাকে আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। কিন্তু আমরা ব্যথিত আজ দুই মাস ধরেও আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে যারা হামলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মানববন্ধন করলেন না। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা হলো তাও আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করলেন না। আর এখন আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে কীভাবে গেলেন? যেখানে সারা দেশ আমাদের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে।’’
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ‘‘আমরা ব্যথিত। কারণ ৫৮ দিন পরও অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দিকে এখনো তাকাচ্ছে না। আমাদের ক্যাম্পাসে রামদা, চাপাতি; এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে গুলি করা হলেও সরকার নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে। আমাদের নামে মামলা, বহিষ্কার হওয়ার পরও তারা আমাদের দিকে তাকায়নি। যেই আসিফ মাহমুদের জন্য আমরা রাস্তায় নেমে রক্ত দিয়েছি। ওই আসিফ মাহমুদ আমাদের দিকে তাকাননি। আমরা কিন্তু এখনো রাজপথ ছাড়িনি।’’
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল