ইয়ো, জোলসহ দক্ষিণ আফ্রিকার যেসব নতুন শব্দ ঠাঁই পেল অক্সফোর্ড অভিধানে
Published: 27th, March 2025 GMT
‘ইয়ো! আ’ম সো জাটফোল অব দিস জোকি অ্যান্ড নিড আ জোল টু হ্যান্ডেল দিস মোগাই পিপল।’
না, এটা কোনো ব্যাকরণজনিত ভুল নয়। অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির (ওইডি) সর্বশেষ সংযোজনে জায়গা করে নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলের কিছু শব্দ এ বাক্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
বাক্যটির অর্থ: ওয়াও, আ’ম সো অ্যানয়েড বাই দিস প্রিজন অ্যান্ড নিড টু স্মোক সাম মারিজুয়ানা টু হ্যান্ডল দিস ইরেশনাল পিপল (ও, আমি এ কারাগার নিয়ে অনেক বিরক্ত এবং এসব অযৌক্তিক মানুষকে সামাল দেওয়ার জন্য কিছু মারিজুয়ানা প্রয়োজন)।
ওইডি-এর ব্যাখ্যায়, নতুন সংযোজিত এ শব্দগুলো অনুবাদযোগ্য নয়।
অভিধানের নতুন সংযোজনে ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও আয়ারল্যান্ড থেকেও কিছু শব্দ যুক্ত হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ১২টি দাপ্তরিক ভাষা আছে। এর কয়েকটি থেকে কিছু শব্দ অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতে যুক্ত হয়েছে। এসব শব্দ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ইয়ো: এটি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জনপ্রিয় শব্দ। এটি দিয়ে মনের আবেগ–অনুভূতি প্রকাশ করা হয়ে থাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি ভাষা আফ্রিকানস ও ইসিক্সহোসা থেকে শব্দটি এসেছে। অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির তথ্য অনুসারে, এ শব্দটির উৎপত্তি ১৮৫৫ সালে। বিভিন্ন আবেগ–অনুভূতি যেমন বিস্ময়, প্রশংসা, কষ্ট—এসব বোঝাতে এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
জাটফোল: আফ্রিকানস ভাষা থেকে উৎপত্তি হওয়া এ শব্দটি হতাশা ও রাগের অনুভূতি প্রকাশের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির তথ্য বলছে, শব্দটির উৎপত্তি ১৯৮০ সালে। বিশেষণবাচক এ শব্দটি দিয়ে বোঝানো হয় যে চলমান কোনো পরিস্থিতি নিয়ে একজন ব্যক্তি অত্যন্ত বিরক্ত, অখুশি বা একঘেঁয়ে হয়ে উঠেছে।
দ্য হেল-ইন: এটি একটি কথ্য বাক্যাংশ। আফ্রিকানস ভাষার এ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হলো ‘নরকে’।
জোকি: এটিও একটি কথ্য শব্দ। ১৯৭৭ সালে উৎপত্তি হওয়া এ শব্দটি দিয়ে কারাগারকে বোঝানো হয়। অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির তথ্য বলছে, ভারত থেকে আসা ইংরেজিভাষী প্রবাসীদের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এ শব্দটি পরিচিতি পায়। তবে আফ্রিকানস ভাষার মাধ্যমেই এটি দক্ষিণ আফ্রিকার ইংরেজি ভাষার মধ্যে ঢুকেছিল।
সে সিবেসিবে বা সিবেসিবে: দক্ষিণাঞ্চলীয় সেসোথো ভাষার এ শব্দটি দিয়ে একধরনের প্রিন্ট করা সুতির কাপড়কে বোঝায়। ওইডির তথ্য বলছে, এ ধরনের কাপড় একসময় শুধু নীল রঙের হতো। তবে এখন বিভিন্ন রঙের কাপড় পাওয়া যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহ্যবাহী পোশাক বা অন্য অনুষঙ্গগুলোতে সে সিবেসিবে নকশা ব্যবহার করা হয়।
মাকারাপা: এ শব্দটির উৎপত্তি ১৯৯৯ সালে। এটি দিয়ে নির্মাণশ্রমিক কিংবা খনিশ্রমিকদের মাথায় ব্যবহৃত শক্ত ধরনের হ্যাটকে বোঝানো হয়ে থাকে। ওইডির তথ্যমতে, এ শব্দটি এখন ক্রীড়া অনুরাগীরা বিশেষ করে ফুটবল অনুরাগীরা বেশি ব্যবহার করে থাকে। ক্রীড়া অনুরাগীরা পতাকা, শিং এবং ব্যাজ দিয়ে এই টুপিগুলো রং করে এবং সাজায়। প্রিয় দলের প্রতি সমর্থন জানাতে খেলার সময় তারা এগুলো পরে থাকে।
জোল: এ শব্দটির উৎপত্তির বিষয়টি অজানা। অক্সফোর্ড ডিকশনারির তথ্য বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এ শব্দটি দিয়ে মারিজুয়ানা মাদক কিংবা মারিজুয়ানাভর্তি হাতে মোড়ানো সিগারেটকে বোঝানো হয়ে থাকে।
মোগাই: এ বিশেষণটির উৎপত্তি নিশ্চিত করে জানা যায়নি। ধারণা করা হয়, এর উৎপত্তি ১৯৮৪ সালে। অক্সফোর্ড ডিকশনারির তথ্য বলছে, শব্দটি দিয়ে এমন কিছু বোঝানো হয় যা ‘অত্যন্ত অযৌক্তিক বা যা বাস্তবতার সংস্পর্শে নেই’।
শার্প-শার্প: অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির সর্বশেষ সংযোজনে স্থান পাওয়া এ বাক্যাংশটির উৎপত্তি ১৯৯১ সালে। সাউথ আফ্রিকান ইংলিশ ভাষায় স্বাগত বা বিদায় জানাতে শাপ-শার্প ব্যবহার করা হয়।
কারও স্টাইলের প্রশংসা করতে বা তারা কতটা চমৎকার বা অসাধারণ তা নিয়ে মন্তব্য করতেও শার্প-শার্প ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা থেকে যুক্ত হওয়া সব শব্দের একটি তালিকা অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, পুলিশের নীরবতায় ক্ষুব্ধ এনসিপি
খুলনায় ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা জেলা শাখার’ ব্যানারে মিছিল করে। তবে মিছিলে দলের নগর, জেলা বা ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার পদ-পদবীধারী কাউকে দেখা যায়নি।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খুলনায় এটাই আওয়ামী লীগের প্রথম কোনো কর্মসূচি পালিত হলো। মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ভিডিও এবং ছবি থেকে দেখা যায়, একদল লোক ব্যানার নিয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ করছেন। ব্যানারে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি আছে। এ সময় ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনা ফিরবে আবার বীরের বেশে’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
আ.লীগের ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া মুরাদ রিমান্ডে
গাইবান্ধার সাবেক এমপি সারোয়ার কবির কারাগারে
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তবে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘‘আমাদের নির্দেশনা ছিল মিছিলে পরিচিত কোনো মুখ থাকবে না। এ কারণে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অপরিচিত নেতা–কর্মীদের দিয়ে মিছিল করানো হয়েছে।’’
এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল বাশার বলেন, হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে গেছে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। সকালের দিকে হওয়ায় সেই সময় রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা ছিল। পুলিশ মিছিলকারীদের আটক করতে তৎপর আছে।
গণহত্যা ও গুম, খুনসহ বিভিন্ন অভিযোগে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন এ দলটি প্রকাশ্যে মিছিল করা এবং পুলিশের নীরব ভূমিকার প্রতিবাদে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি- এনসিপি। আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলের খুলনার সংগঠক আহাম্মদ হামিম রাহাত।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল