স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংর্বধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলামের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে হইচই ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে তার ওই বক্তব্য বুধবার রাতে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতারা ভিডিও পোস্ট করে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার (২৬ মার্চ) পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়োমের ওই অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক উল্লেখ করে বক্তব্য দেন। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলাম তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক উল্লেখ করে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ব্যাখা দিতে শুরু করেন। এ সময় উপস্থিত দু-একজন তাকে বক্তব্য বন্ধ করতে বলেন। তিনি বক্তব্য চালিয়ে যেতে থাকেন। এরপর কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা এবং মঞ্চে উপস্থিত কয়েকজনের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক সাবেত আলীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

পঞ্চগড় পৌর প্রশাসক সীমা শারমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সাবতে আলী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক প্রধান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জেলা জামায়াতের আমীর ইকবাল হোসাইন বক্তব্য দেন।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়খুল ইসলাম বলনে, ‘আমি স্বাধীনতার ঘোষণা ও জিয়াউর রহমানের ঘোষণা নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিচ্ছিলাম। কাউকে কটুক্তি করিনি। এসময় মুক্তিযোদ্ধা নয়, এমন কিছু ব্যক্তি হইচই করে এর বিরোধিতা করেন। পরে আর বলা হয়নি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব ধ নত র রহম ন ল ইসল ম ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

হইচই ফেলে দেওয়া সিরিজটি কেন সব মা-বাবার অবশ্যই দেখা উচিত

সন্তানের শূন্য বিছানা, ঘর খালি। ডুকরে কেঁদে ওঠেন বাবা; তাঁর হাহাকার চলতেই থাকে। শেষের এ দৃশ্যটি দেখার আগেই সিরিজটির সঙ্গে জুড়ে গেছেন আপনি, পর্দায় বাবার কান্না তাই আপনাকেও ছুঁয়ে যেতে বাধ্য। শেষ করার পরও অনেক দিন ধরেই সিরিজটির কথা মনে পড়বে, চরিত্রগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন সংলাপও আপনাকে তাড়া করে ফিরবে; কে জানে হয়তো জাগিয়ে তুলবে অপরাধবোধও। সিনেমা-সিরিজের খোঁজখবর যাঁরা রাখেন, এতক্ষণে হয়তো বুঝে গেছেন হচ্ছিল ‘অ্যাডোলেসেন্স’-এর কথা। ১৩ মার্চ নেটফ্লিক্সের মুক্তির পর কার্যত সারা দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে চার পর্বের মিনি সিরিজটি। স্ট্রিমিংয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে, অন্তর্জালে ঢুঁ মারলেই চোখে পড়ছে ‘অ্যাডোলেসেন্স’ নিয়ে এন্তার লেখা। কিন্তু এত কিছু না হলেও সিরিজটির গুরুত্ব এতটুকু কমত না। নির্মাতারা বিষয় হিসেবে এমন কিছুকে বেছে নিয়েছেন, যার সঙ্গে সারা দুনিয়ার মানুষ আরও নির্দিষ্ট করে বললে মা-বাবারা নিজেদের মেলাতে পারেন। কিন্তু কী এমন আছে এই সিরিজে? কেন সমালোচকেরা একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন, ‘অ্যাডোলেসেন্স’ সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম সেরা সিরিজ?

একনজরে
সিরিজ: ‘অ্যাডোলেসেন্স’
ধরন: ড্রামা
পর্বসংখ্যা:
রান টাইম: ৫১-৬৫ মিনিট
স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স
ক্রিয়েটর: জ্যাক থোর্ন ও স্টিফেন গ্রাহাম
অভিনয়ে: স্টিফেন গ্রাহাম, ওয়েন কুপার, অ্যাশলি ওয়ালটারস

১৩ বছরের কিশোর জেমি মিলার তারই এক সহপাঠীকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার হয়। বিশাল এক বাহিনী নিয়ে বাড়িতে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ যে ভয়াবহ, জেমি ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে সহপাঠী কেটিকে খুন করেছে! জেমি তো বটেই, ওর মা-বাবা, বড় বোন সবাই হতবাক। থানায় নেওয়ার পর জেমি অভিযোগ অস্বীকার করে। তাঁকে সহায়তার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়, আসেন মনোবিদ। জেমি কি সত্যিই খুন করেছে—এমন প্রশ্ন নিয়ে এগিয়ে যায় গল্প।

গল্প শুনে আবার ভাববেন না এটি থ্রিলার, জেমি খুন করেছে কি না, সেটা এই সিরিজে আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসলে সে কী করেছে, শুরুর কিছুক্ষণ পর সেটা আপনিও বুঝে যাবেন। আবার কিশোর গ্যাং নিয়ে পুলিশি তদন্ত সিরিজও এটা নয়। এই গল্পের পরতে পরতে রোমাঞ্চ নেই, নেই ধাক্কা দেওয়ার মতো চমকও।

‘অ্যাডোলেসেন্স’-এর দৃশ্য। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কী দেখবেন, কোথায় দেখবেন
  • হইচই ফেলে দেওয়া সিরিজটি কেন সব মা-বাবার অবশ্যই দেখা উচিত