ইউসেপ অ্যাসোসিয়েটস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি পারভীন মাহমুদ
Published: 27th, March 2025 GMT
ইউসেপ অ্যাসোসিয়েটস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (ইউএএমসিএসএল) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পারভীন মাহমুদ। ইউএএমসিএসএলের আয়োজনে ২০ মার্চ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে পারভীন মাহমুদ সমিতির সভাপতি হিসেবে আগামী তিন বছরের জন্য নিযুক্ত হন।
পারভীন মাহমুদ ২০০৪ সাল থেকে ইউসেপ বাংলাদেশের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। তিনি ২০১৯-২০২২ সাল পর্যন্ত ইউসেপ বোর্ড অব গভর্নরস এর পঞ্চদশ চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউসেপ বাংলাদেশের বোর্ড অফ গভর্নরসের ভাইস-চেয়ারপারসন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
সামাজিক উদ্ভাবন, টেকসই উন্নয়ন ও পেশাদার অ্যাকাউন্টিং ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন তিনি। ২০১১ সালে আইসিএবি’র প্রথম মহিলা সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি কাউন্সিলে তাঁর তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সার্কের শীর্ষ অ্যাকাউন্টিং পেশাদার সংস্থা সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অফ অ্যাকাউন্ট্যান্টস এর প্রথম মহিলা বোর্ড সদস্যও ছিলেন। সিএ ফিমেল ফোরাম-উইমেন ইন লিডারশিপ কমিটি, আইসিএবি-এর চেয়ারপারসন এবং সাফার উইমেন ইন লিডারশিপ কমিটির ভাইস চেয়ারপারসনও ছিলেন। তিনি অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
পারভীন মাহমুদ ২০১৮ সালে আরটিভি থেকে ‘জয়া আলোকিত নারী’ পুরস্কার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) থেকে ‘উইমেন অ্যাট ওয়ার্ক’ পুরস্কার ২০১৭ এবং বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন ফর লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বোল্ড) থেকে ‘উইমেন অব ইনস্পিরেশন অ্যাওয়ার্ড ২০১৭’ পেয়েছেন। এছাড়া, ২০০৬ সালে নারীকণ্ঠ ফাউন্ডেশন থেকে ‘বেগম রোকেয়া শাইনিং পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন, যা নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
তাঁরা তিন ভাই: একজন বাংলাদেশে, একজন ভারতে, একজন পাকিস্তানে
‘আমরা তিন ভাই; কিন্তু আছি তিন দেশে’—কারেন ভাইয়েরা মজা করে এই কথা বলতেই পারেন।
পেশাগত কারণে অনেককেই তো বিদেশবিভুঁইয়ে থাকতে হয়। বেন কারেন, স্যাম কারেন ও টম কারেনও ক্রিকেটীয় কারণে আছেন তিন দেশে। তবে তিন ভাইয়ের বর্তমান ঠিকানা প্রতিবেশী তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে এসেছে জিম্বাবুয়ে দল। সিলেটে প্রথম টেস্ট শুরু আগামী রোববার। কারেন ভাইদের মেজ জন বেন জিম্বাবুয়ে দলের সঙ্গে এই মুহূর্তে সিলেটে আছেন।
এই তিন ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ স্যাম এখন আছেন ভারতে। আইপিএলে খেলছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। আর বড়জন টম কারেন আছেন পাকিস্তানে। পিএসএলে তাঁকে নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। অর্থাৎ, টম এখন বাংলাদেশের লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেনের সতীর্থ।
আপাদমস্তক ক্রিকেট পরিবার বলতে যা বোঝায়, কারেন পরিবার তেমনই। এই পরিবারের তিন প্রজন্ম ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কারেন ভাইদের দাদা প্যাট্রিক কারেন ছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার, বাবা কেভিন কারেন জিম্বাবুয়ের হয়ে ১১টি ওয়ানডে খেলেছেন। তবে টম কারেন ও স্যাম কারেন ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে দুজন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন—২০১৯ সালে টম জিতেছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২২ সালে স্যাম জিতেছেন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
বড় আর ছোট ভাইয়ের মতো বেন কারেনও ঘরোয়া ক্যারিয়ার ইংল্যান্ডে শুরু করেছিলেন। তবে জাতীয় দল বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বাবার পথে হেঁটে জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২৮ বছর বয়সী এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান জিম্বাবুয়ের হয়ে এখন পর্যন্ত ৩টি টেস্ট ও ৬টি ওয়ানডে খেলেছেন। ১টি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরিতে করেছেন ৩৬৯ রান। বাংলাদেশে তিনি এবারই প্রথম এসেছেন। সিলেটে সময়টা তাঁর ভালোই কাটার কথা।
তবে ভারত ও পাকিস্তানে স্যাম ও টমের সময়টা ভালো কাটছে না। ২০২২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাওয়ার পর আইপিএলে স্যামের কদর বেড়ে গিয়েছিল। সেই বছর নিলামে স্যামকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে কিনেছিল প্রীতি জিনতার দল পাঞ্জাব কিংস, যা তাঁকে আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় করে তুলেছিল।
কিন্তু গত বছর থেকে ফর্ম হারাতে শুরু করেন স্যাম। বাদ পড়েন জাতীয় দল থেকে। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইংল্যান্ড দলেও তাঁর জায়গা হয়নি। আইপিএলেও স্যামের দামে অস্বাভাবিক পতন হয়েছে। সাড়ে ১৮ কোটি স্যামকে এবার মেগা নিলামে ২ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে পেয়ে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। আইপিএলে চেন্নাইয়ের প্রথম দুই ম্যাচে এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে খেলানোও হয়েছে। কিন্তু ভালো করতে না পারায় (ব্যাটিংয়ে ৪ ও ৮ রান, বোলিংয়ে নেই কোনো উইকেট) আপাতত বেঞ্চ গরম করতে হচ্ছে।
ফর্ম বিবেচনায় টম কারেন আছেন আরও বাজে অবস্থায়। ইংল্যান্ড জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন সেই ২০২১ সালে। পিএসএল ড্রাফট থেকে লাহোর কালান্দার্স এই বোলিং অলরাউন্ডারকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলারে (৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা) কিনলেও এখনো কোনো ম্যাচ খেলায়নি। লাহোরের স্কোয়াড এবার বিদেশি অলরাউন্ডারে ঠাসা—বাংলাদেশের রিশাদের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা, নামিবিয়ার ডেভিড ভিসা ও ইংল্যান্ডের টম কারেন।
রিশাদ ও রাজা দারুণ পারফর্ম করতে থাকায় তাঁদের ওপর আস্থা বেড়েছে লাহোর টিম ম্যানেজমেন্টের। ভিসা এক ম্যাচে খারাপ করার পর বাদ পড়েছেন। টম কারেন শিগগিরই খেলার সুযোগ পাবেন বলে মনে হয় না।
পাশাপাশি দেশ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে অবস্থান করলেও তিন ভাইয়ের শিগগিরই এক বিন্দুতে মেলা সম্ভব হবে বলেও মনে হয় না।