সতর্কতার সঙ্গে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে তামিমকে
Published: 27th, March 2025 GMT
“তামিমের যেটা হলো, ও এটাকে নিতে পারছে না। সাইকোলজিক্যালি মানতে পারছে না যে এটা হবে সে কল্পনা করতে পারেনি। তবে এটার কিন্তু অনেক ইতিহাস আছে। অনেক খেলোয়াড় মাঠে খেলার সময় মারা গেছে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে” -তামিম ইকবালের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এমন তথ্য দিয়েছেন তামিমের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান প্রফেসর শাহাবুদ্দিন তালুকদার।
২৪ মার্চ বিকেএসপিতে হার্ট অ্যাটাকের পর তামিমকে ভর্তি করানো হয় সাভারের কেপিজে হাসপাতালে। সেখানে তাৎক্ষনিক হার্টে রিং পরানো হয়। অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে পরদিন ২৫ মার্চ তাকে আনা হয় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে। দুই দিন পর আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) তামিমের অবস্থা নিয়ে মেডিকেল বোর্ড প্রধান ব্রিফ করেন।
ইতোমধ্যে একজন কাউন্সিলরও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, “মানসিক অবস্থার জন্য আমরা একজন কাউন্সিলর ইনভলব করেছি। এটাকে কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়। ওর প্রশ্ন শুনবে, জিজ্ঞাসা শুনবে, ওর প্যানিক শুনবে, তারপর সেভাবে ওই কাউন্সিলর গাইড করবেন।’’
আরো পড়ুন:
তামিমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, চলছে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি
পরিবারের ইচ্ছায় ঢাকায় তামিমকে স্থানান্তর
তামিমকে সিসিইউ থেকে কেবিনে আনা হয়েছে। পরিবার বিদেশে নেওয়ার কথা বললেও আপাতত সেটার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। তবে এখন তাকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হবে। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে। বিশেষ করে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে।
শাহাবুদ্দিন বলেন, “আমাদের যে নির্দেশনা, এমন হার্ট অ্যাটাকের পর এসব রোগীদের খুবই সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তাদের এটা হওয়ার প্রবণতা আবার থাকতে পারে। ব্লক না হলেও হতে পারে। তাই ওকে অ্যাসেস করতে হবে। নিয়মিত ফলোআপে থাকতে হবে। লাইফ স্টাইল বদলাতে হবে, মোটিভেশন করতে হবে। ডায়েট, ডিসিপ্লিন ও ড্রাগস.
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ম ম ইকব ল অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ভৈরবে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সালিশ বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর-সুলেমানপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “একজন নিহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত ১
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু
নিহত মিজান (৪১) সুলেমানপুর গ্রামের ময়দুর মুন্সি বাড়ির রবিউল্লাহ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ডেকোরেটার কর্মী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে মৌটুপী গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। এ ঘটনায় ভবানীপুর গ্রামের বধুর গোষ্ঠীর নেতা বাদশা মিয়ার সঙ্গে সুলেমানপুর গ্রামের ময়দর মুন্সি গোষ্ঠীর মিজান মিয়ার গত বুধবার রাতে কথা কাটাকটি হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য আজ শুক্রবার সকালে সালিশ বৈঠক বসে।
সালিশ চলাকালে বাদশা মিয়ার লোকজন মিজান মিয়ার ওপর হামলা চালায়। এসময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে মিজানসহ অন্তত ৩১ জন আহত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মিজানকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, “গত মঙ্গলবার মৌটুপী গ্রামের সংঘর্ষের জেরে পার্শ্ববর্তী ভবানীপুর-সুলেমানপুর গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন।”
তিনি আরো বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/রুমন/মাসুদ