ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে। এতে ২ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫৯ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ভারতের বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড এ চাল সরবরাহ করবে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৪ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার।

আজ বৃহস্পতিবার দেশের খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করতে এ–বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

দুই সপ্তাহ আগে ১৪ মার্চ ভারতের এস পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকেও ৫০ হাজার টন নন বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছিল ক্রয় কমিটি। তখন প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছিল ৪২৯ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চালের আমদানি দাম একটু কম পড়ছে।

এক মাসের একটু বেশি আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি একই ধরনের চাল আমদানির দাম ছিল প্রতি টন ৪৩৪ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুর থেকেও চাল আমদানি করছে বাংলাদেশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ল আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে শেষ মুহূর্তের ঈদ প্রস্তুতি, বিপণী বিতানে কেনাকাটার ধুম

পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এরইমধ্যে বহু মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। আর অনেকেই রয়েছেন শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়। এরইমধ্যে অনেকটাই ফাকা হয়ে গেছে ঢাকা। তবে ঢাকার বাসিন্দাদের রাতভর কেনাকাটার ব্যস্ততায় কমতি নেই তাতে। চাঁদ রাতে ঢাকার একেবারে ভিন্ন এক চিত্র দেখা গেছে বিভিন্ন বিপণী বিতানে। 

রোববার রাত ৯টা থেকে মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউ মার্কেট, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, বেইলি রোড ও বিজয় সরণি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন মার্কেট, শপিং সেন্টার আর সড়ক সংলগ্ন বিপণী বিতানগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। 

বিজয় সরণি ও ধানমন্ডির একটি সড়কে কর্তব্যরত দুই ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, শহরের বাসিন্দারা গরমের কারণে রাতের সময়টাকেই মনে হচ্ছে কেনাকাটার জন্য বেছে নিয়েছেন। 

ধানমন্ডির দুটি অভিজাত শপিং মল এবং এলিফ্যান্ট রোডে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড়। দোকানগুলোতে বিক্রিও চলছিল অনেক। 

উত্তরা থেকে আসা ব্যবসায়ী রেদওয়ান আহমেদ জানান, ঈদের মূল কেনাকাটা শেষ। এই সময়টায় জুতা, স্যান্ডেল, প্রসাধনীর জন্যই মানুষ ভিড় করছে মার্কেটে। 

তিনি বলেন, অনেক বছর পর তুলনামূলক সহনশীল ঈদের বাজার। মানুষ কেনাকাটা করতে পারছে বেশ আনন্দে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দফায় দফায় চাঁদাবাজি, উচ্ছৃঙ্খলতা, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা এবার প্রায় নেই বললেই চলে। প্রশাসনের কাছ থেকে তারা সহায়তা পাচ্ছেন প্রত্যাশা মতোই। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকায় ক্রেতা-ব্যবসায়ী উভয় পক্ষ নিশ্চিন্ত। রাত যতই হোক তাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আগেও রাতে মানুষের কেনাকাটা চলত। তবে বিগত বছরগুলোতে নানা অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে মানুষের মনে দুঃচিন্তা থাকত।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) নজরুল সিলাম দোওনিক সমকালকে বলেন, রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রেক্ষাপট এবং প্রয়োজন অনুসারে করণীয় নির্ধারণ করছে পুলিশ। ঈদের সময় রাজধানীজুড়ে যে জনশুন্যতা সৃষ্টি হবে সেটা যেন অপরাধীদের উস্কে না দেয় সেদিক নজর রাখা হবে। বিশেষ করে যেসব ব্যাংকের ভল্টে বড় অংকের অর্থ মজুদ থাকে, জুয়েলারী দোকান এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তায় বিশেষ নির্দেশনা মতো কাজ শুরু হয়েছে। আবাসিক এলাকাগুলোতেও একইভাবে নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে চাই। আপনারা নিশ্চিন্তে ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন। পুলিশ জেগে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ