স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ মাংস প্রাপ্তি মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। তবে দেশের অধিকাংশ স্থানীয় পোল্ট্রি বাজারে এখনো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগি জবাই করা হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি।

সম্প্রতি বাংলাশে কৃষি বিশ্বব্যিালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক ময়মনসিংহ সদরের স্থানীয় বাজারগুলোতে সাধারণভাবে জবাইকৃত মুরগির মাংসে টাইফয়েড (সালমোনেলা) ও ডায়রিয়া (ইকোলাই) রোগের জীবাণু পেয়েছেন। এছাড়াও বেশিরভাগ দোকান মালিক (৯৬.

১৫ শতাংশ) অসুস্থ মুরগি আলাদা রাখা বা মেরে ফেলার পরিবর্তে বিক্রি করে দেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

ময়মনসিংহ সদর ও এর আশেপাশের পোল্ট্রি মুরগির বাজারগুলোর অবস্থা পর্যেবক্ষণ, বায়োসিকিউরিটি ও পোল্ট্রি জবাইকরণ সম্পর্কে বিক্রেতাদের মনোভাব যাচাইকরণ এবং সেখানে বিক্রয়কৃত মাংসের গুণগতমান যাচাইয়ের জন্য বাকৃবির পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেনের নেতৃত্বে গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়। গবেষণাটি ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশ শাখা উদ্যোগে আয়োজিত ‘১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি সেমিনার-২০২৫’ এ উপস্থাপন করা হয়। 

ওই গবেষণায় দেখা গেছে, স্থানীয় বাজারে সাধারণভাবে জবাইকৃত মাংসে ক্ষতিকর ইকোলাই ও সালমোনেলা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উপস্থিতি রয়েছে, যেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় মাংসে এগুলো থাকার কথা না। এসব মাংসের নমুনায় সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ লগারিদম ৪.০২ থেকে ৫.৫৯ সিএফইউ/গ্রাম এবং ইকোলাই  ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ লগারিদম ৪.০১ থেকে ৫.৯৪ সিএফইউ/গ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাজারের নমুনায় মোট কার্যকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণও (টিভিসি) বেশি ছিল।

অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, গবেষণায় ময়মনসিংহ সদরের চরপাড়া বাজার, মিন্টু কলেজ বাজার, মেছুয়া বাজার, নতুন বাজার, সানকিপাড়া বাজার, কেওয়াটখালী  বাজার, শেষমোড় বাজার, সুতিয়াখালী বাজার, ভাবখালী বাজার, কে আর মার্কেট, শম্ভুগঞ্জ বাজার এবং গাছতলাসহ ১২টি স্থানীয় বাজারের পোল্ট্রি দোকানের তথ্য নেওয়া হয়। একটি সুনির্ষ্টি প্রশ্নাবলীর তালিকা অনুসরণ করে এ ১২টি বাজারের ২৪টি পোল্ট্রি দোকানের কর্মীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল।

তিনি আরো জানান, এসব বাজারে সাধারণভাবে জবাইকৃত এবং প্রসেসিং ইউনিটের পদ্ধতি অনুসরণ করে পোল্ট্রি ফার্মে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জবাইকৃত মোট ২৬টি মাংসের (উরু এবং বুকের মাংস) নমুনা এবং দুইটি পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। নমুনাগুলো বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল।

গবেষণায় উঠে আসা স্থানীয় বাজারের মুরগির দোকানগুলোর অবস্থা সম্পর্কে এ গবেষক বলেন, “গবেষণার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৮৪.৬২ শতাংশ দোকানে মুরগি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই, ৯২ শতাংশ দোকানে ময়লা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই এবং ৪৬.১৫ শতাংশ দোকানে পর্যাপ্ত আলো ছিল না। এছাড়াও, ৩০.৭৭ শতাংশ দোকানে মাংস কাটার জায়গা অস্বাস্থ্যকর ছিল এবং পরিকল্পিত বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা ছিল না। এ রকম পরিস্থিতি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি এবং দূষণের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে।”

স্বাস্থ্যকর মাংস প্রাপ্তির বিষয়ে অধ্যাপক ইলিয়াস বলেন, “বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারগুলোর অধিকাংশ পোল্ট্রি দোকানে অপর্যাপ্ত জায়গায় পাখিগুলোকে রাখা হয় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগি জবাই করা হয়, যা অত্যন্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নানা রোগ বিস্তারের কারণ হতে পারে। এটা সমাধানে স্থানীয় বাজারগুলোতে ক্ষুদ্র প্রসেসিং ইউনিট স্থাপনের মাধ্যমে ক্রেতাদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাংস পৌছে দেওয়া সম্ভব।” 

তিনি বলেন, “ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাজারগুলোতে ক্ষুদ্র প্রসেসিং ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা গেলে তা নিরাপদ মাংস সরবরাহ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি স্থানীয় পোল্ট্রি দোকানগুলো আরো লাভজনকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে। আর প্রসেসিং ইউনিটের মাংসে কোনো সালমোনেলা বা কলিফর্ম সনাক্ত করা যায়নি, যা ইঙ্গিত করে যে প্রসেসিং ইউনিট থেকে পাওয়া মাংস খাওয়ার জন্য নিরাপদ।”

তিনি আরো বলেন, “প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারের পোল্ট্রি দোকানীদের ক্ষুদ্র প্রসেসিং ইউনিট স্থাপনে উৎসাহিত করতে হবে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পোল্ট্রি মুরগি বিক্রি বন্ধ করতে হবে। বাজার থেকে মাংস কেনার সময় ক্রেতাদের সতর্ক হতে হবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জবাই করা মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স থ ন য় ব জ রগ ল ব স থ যসম ম স ব স থ যসম স ব স থ যকর র প রস স পর ম ণ র জন য পর ব শ ন র পদ ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে রাজস্ব তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতারের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। 

নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করতে এসব প্রকল্পের কাগজপত্রও অফিস থেকে গায়েব করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যাদের নামে প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, তারা দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তাদের বিচার চেয়েছেন।

উপজেলা পরিষদ রাজস্ব তহবিল ব্যবহার নির্দেশিকা ২০২০ অমান্য করে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নিয়মিত রাজস্ব তহবিল ও উদ্বৃত্ত রাজস্ব তহবিল থেকে সরকারি অর্থ ব্যয় দেখানো হয়েছে। তাছাড়া অধিকাংশ প্রকল্পের কোন ধরনের কাজ না করে এবং অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ লোপাট করা হয়।

সরকারি বিধি মতে, উপজেলা পরিষদ রাজস্ব তহবিল ব্যবহার নির্দেশিকা ২০২০ অনুযায়ী কী কী খাতে অর্থ ব্যয় করা যাবে তা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা আছে।

নিয়মানুযায়ী সরাসরি রাজস্ব তহবিল থেকে প্রকল্প গ্রহণ করার সুযোগ নেই। কিন্তু সাবেক নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে ব্যক্তিগত বিলাসিতা ও লুটপাটের উদ্দেশ্যে উপজেলা পরিষদ নির্দেশিকার ‘ক’ থেকে ‘ম’ এর বাইরে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করেছেন যা নিয়ম বহিভূর্ত।

তথ্য অধিকার আইনে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানাগেছে, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসের মাসিক সভায় পিআইসির মাধ্যমে ৮৫ লাখ টাকার ৫৯টি প্রকল্প, আরএফকিউ এর মাধ্যমে তিন কোটি ২২ লাখ টাকার ৩৯টি প্রকল্প ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ৯৯ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

আরএফকিউ প্রকল্পের মাধ্যমে অফিস মেরামত বাবদ ১০ লাখ, ডরমেটরি মেরামত বাবদ ৫লাখ, আবাসিক ভবন রং করা বাবদ সাড়ে ৮ লাখ, অফিস ভবনের গ্রিল স্থাপন ৫ লাখ টাকা, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনের টয়লেট নির্মাণ, গেইট নির্মাণ ও বাসা রং করার পৃথক দুটি প্রকল্পে ২০ লাখ টাকা, অফিস ভবন রং করার ১০ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্য বর্ধন ৮ লাখ টাকা, বৃক্ষরোপণ ও শাক-সবজির বাগান ৫ লাখ টাকা, পুকুরের সৌন্দর্য বর্ধন দুই ধাপে ২০ লাখ টাকা, জামে মসজিদ মেরামত ২ লাখ টাকা, অফিসার্স ক্লাব মেরামত ৫ লাখ টাকা এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনের টয়লেট মেরামত বাবদ ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়।

যদিও উপজেলা পরিষদ ম্যানুয়াল অনুযায়ী এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই। তারপরেও এসকল প্রকল্প সরেজমিন দেখতে গিয়ে পুকুর সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিষদের সীমানায় চুনকাম ছাড়া কোনকিছু চোখে পড়েনি।

এদিকে গত বছরের ৫ আগস্টের পর উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের চরশংকর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য প্রয়াত আব্দুল খালেকের ছেলে নয়ন মিয়া তার বাড়িতে একটি সাবমারসেবল পাম্প বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান ফরিদ মিয়ার কাছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব ও এডিপি খাতের পিআইসির আওতায় পাম্প নির্মাণের জন্য তার নামে ১ লাখ ২০হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু কাজ না করেই পুরো টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের নামেও সাবমারসেবল পাম্প বসানোর জন্য বরাদ্দ আসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। সেই টাকাও একইভাবে আত্মসাৎ করা হয়। পুরো ইউনিয়নে ৬টি প্রকল্পের মধ্যে কোনটিরও কাজ হয়নি। অথচ সুবিধাভোগিরা তাদের নামে টাকা বরাদ্দের বিষয়টি নিজেরাও জানেন না। 

প্রকল্পের সভাপতি ফরিদ মিয়া জানিয়েছেন, কাজ না করে প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের বিষয়ে তিনি অবগত নন। এমনটি হতে পারে তিনি বিশ্বাসও করছেন না। 

একই অবস্থা উপজেলার ৯ ইউনিয়নে পিআইসির মাধ্যমে নেয়া ৫৯টি প্রকল্পের। এসব প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ছিল ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রকল্পের সভাপতি অনেক ইউপি চেয়ারম্যানরাও জানেন না প্রকল্পের বিষয়ে।

রাজিবপুর ইউনিয়নের চরশংকর গ্রামে গিয়ে কথা হয় নয়ন মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, “প্রত্যেকের বাড়িতে কল আছে, আমার নেই। তাই আমি বিষয়টি ফরিদ চেয়ারম্যানের সাথে বলেছিলাম। তিনি আমার সকল কাগজপত্র নিয়েছেন। প্রায়ই সময় তাকে জিজ্ঞাসা করেছি কল কবে পাব? তিনি বলেছিলেন বরাদ্দ আসলে পাব। এখন শুনছি আমার নামে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এসেছে। কিন্তু আমি তা পাইনি। যারা আমার মত গরিবের হক মেরে খেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

একই গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, “কল তো দূরের কথা কাগজ জমা দেওয়ার পর কারো সাথে এ বিষয়ে কথা বলারও সুযোগ হয়নি। অপেক্ষায় ছিলাম হয়তো কল পাব। এখন লুটপাটের কথা শুনে অন্তত হলেও অপেক্ষার অবসান হয়েছে। ৫ আগস্টের পর মনে করেছিলাম দেশে অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ হবে। কিন্তু তা না হয়ে আরও বেড়েছে। আমরা আর ভালো হতে পারলাম কই? ছেলে-মেয়েদের রক্তে রাঙা এই নতুন দেশে প্রশাসনিক কর্মকতাদের কাছ এমন অনিয়ম প্রত্যাশিত নয়।”

স্থানীয় আবুল মুনসুর বলেন, “প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকার নয়-ছয় এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শুনছি আমাদের ইউনিয়নে ৬টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটিরও কাজ হয়নি। যারা প্রকল্পের নামে টাকা আত্মসাৎ করেছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।”

মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের সভাপতি ফরিদ মিয়া বলেন, “পিআইসির মাধ্যমে আমার ইউনিয়নে কোনো কাজ হয়নি। সেখানে টাকা তোলারতো প্রশ্নই ওঠে না। এখন শুনছি ৬টি প্রকল্পের নামে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু আমার কোনোভাবেই বিশ্বাস হচ্ছে না। এমনটি হয়ে থাকলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

তারুন্দিয়া ইউনিয়নে ৫টি প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া সাত লাখ টাকা। এরমধ্যে অফিস মেরামত ও ল্যাপটপ ক্রয়ে দেওয়া হয় আড়াই লাখ টাকা।

তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের সভাপতি মাহমুদ হাসান রানা বলেন, “৫টি প্রকল্পের মধ্যে ড্রেন নির্মাণ দুটি প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। কিন্তু ল্যাপটপ এবং অফিস মেরামতের বরাদ্দের বিষয়ে আমি অবগত নই।”

ঈশ্বরগঞ্জ এলজিইডির উপজেলা বর্তমান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, “প্রকল্পের নামে টাকা উত্তোলন হয়েছে। লোকজন এসে বর্তমান ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগও করেছেন শুনেছি। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য প্রকল্পের সভাপতিদেরকে তিনি চিঠিও দিয়েছেন। তবে আমি এসে আমার অফিসে প্রকল্পের কোনো কাগজপত্র পাইনি।”

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ বলেন, “আমি যোগদানের পর আত্মসাৎ করা প্রকল্প বাতিল করে নতুন প্রকল্প দিয়েছি। তারা কাজ না করে কীভাবে টাকা উত্তোলন করেছে সে বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে চেয়ারম্যানদেরকে নির্দেশনা দিয়েছি জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করার জন্য।”

তিনি আরও বলেন, “উপজেলা পরিষদের ভেতরে-বাইরে কী কাজ হয়েছে আপনারা তো নিজের চোখেই দেখছেন। আমার বলার কী আছে?”

ঈশ্বরগঞ্জ এলজিইিডির সাবেক ও বর্তমানে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা আয়েশা আখতার বলেন, “কোন প্রকল্প কী হয়েছে এ বিষয়ে পরে কথা বলব।” 

এ কথা বলে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। এরপর কয়েকবার চেষ্টা করেও তাঁর কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে বর্তমানে ঈশ্বরগঞ্জের সাবেক ও নান্দাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সারমিনা সাত্তার বলেন, ‘‘কাজ চলাকালীন সময়ে আমার বদলি হয়েছে। পরে প্রকল্পের কী হয়েছে না হয়েছে সেটা আমার জানার বিষয় নয়।”

প্রকল্প শেষ না হওয়ার আগে বিল প্রদানের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেটি করা আমার ভুল হয়েছে।”

ঢাকা/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোন ক্ষমতাবলে ১৩টি পত্রিকাকে শোকজ করল ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসন
  • কভার্ডভ্যান চুরির পর টুকরো টুকরো করেন তারা
  • একই শিরোনামে একই সংবাদ ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ
  • ঢাকাসহ দেশের কোথায় কোথায় বৃষ্টি হতে পারে আজ
  • ময়মনসিংহে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত
  • শহীদকে নিয়ে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
  • বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান
  • ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি
  • ময়মনসিংহে রাজস্ব তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ