চট্টগ্রামে ওয়াসার দুই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
Published: 27th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামে গ্রাহকদের পানির বিলের ২৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওয়াসার দুই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন সংস্থার উপ-সহকারী পরিচালক মেরিন আক্তার। আসামিরা হলেন- ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আজমির হোসেন অভি ও মিঠুন ঘোষ। অভি ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন শাহ হাফিজ মাস্টার বাড়ির আতিয়ার রহমানের ছেলে। মিঠুন ঘোষ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট খান মোহনা গ্রামের আলমপুর সেনের বাড়ির অরুণ কান্তি ঘোষের ছেলে।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, গ্রাহকের পানির বিল জমা দিলেও দুই আসামি পরস্পর যোগসাজশ করে ব্যাংকে জমা না দিয়ে ২৪ লাল ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে দুদক। এখন আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর আগে ২২ জানুয়ারি ওয়াসা তাদের আটক করে থানায় সোর্পদ করে। তাদের থানা পুলিশ ৫৪ ধারায় আটক করে আদালতে পাঠায়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গ্রাহকদের কাছ থেকে পানির বিলের টাকা আদায় করে ওয়াসার কম্পিউটার সিস্টেমে জমা দেখানো হয়। আদতে সে টাকা ওয়াসার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতেন তা দুই আসামি। প্রাথমিক তদন্তে ২৪ লাখ ৬৬ টাকার অনিয়ম শনাক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে চারটি ব্যাংকের জনতা ব্যাংকের কর্নেলহাট শাখার মাধ্যমে ৭৯ হাজার ৭৬৮ টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংক চৌধুরী হাট শাখার মাধ্যমে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৬৪ টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংক হালিশহর শাখার মাধ্যমে ৬২ হাজার ৯৮৫ টাকা, ওয়ান ব্যাংক চান্দগাও শাখার মাধ্যমে ২১ লাখ ৭ হাজার ৮৬২ টাকাসহ মোট ২৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭৯ টাকা সংগ্রহ করে জিম্মায় নেয় দুই আসামি। কিন্তু ব্যাংকের শাখায় পোস্টিং দেখিয়ে প্রকৃতপক্ষে ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাত করেন তারা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকের বন্ধুতালিকা ‘রিসেট’ করার ভাবনা ছিল জাকারবার্গের
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মেটার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মামলার বিচার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সোমবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শুনানিতে আদালতে উপস্থাপন করা হয় মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু ই–মেইল, যেখানে উঠে আসে এক সময় সবাইকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকা ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে বাধ্য করার এক অভিনব প্রস্তাব।
২০২২ সালে পাঠানো একটি ই–মেইলে জাকারবার্গ লেখেন, বন্ধু তৈরিতে দ্বিগুণ জোর। সবাইকে তাঁদের বন্ধুতালিকা (গ্রাফ) মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিশোর-তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় ফেসবুকের ব্যবহার কমছিল। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে নতুন কিছু ভাবনার অংশ হিসেবেই জাকারবার্গ ওই প্রস্তাব দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে মেটার অভ্যন্তরেই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। ফেসবুক বিভাগের প্রধান টম অ্যালিসন ই–মেইলের জবাবে লেখেন, আপনার প্রস্তাবিত প্রথম বিকল্পটি (বন্ধু সংযোগে জোর) আমার কাছে বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রামে বন্ধু সুবিধাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অকার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
জাকারবার্গ আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিলেন। ফেসবুককে বন্ধুভিত্তিক মাধ্যমের বদলে অনুসরণভিত্তিক (ফলোয়ার) মাধ্যমে রূপান্তর করার চিন্তা ছিল তাঁর। যদিও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে উঠে আসা এসব ভাবনা থেকে প্রযুক্তি মাধ্যমটি ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটতে চায়, তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ২০২০ সালে মেটার বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতা-বিরোধী মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিযোগীদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। এফটিসির ভাষ্য, সম্ভাবনাময় প্রতিযোগীরা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তখন মেটা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে কিনে নিয়ে সেই ‘হুমকি’ দূর করেছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনশীল মাধ্যমগুলোকে হুমকিস্বরূপ মনে করে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাবিরোধী একক আধিপত্য গড়ে তুলেছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস