ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু সড়কে স্বস্তির ঈদযাত্রা
Published: 27th, March 2025 GMT
সড়ক পথে ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে যানজট না থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ।
এদিকে, বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীরা কয়েক ঘণ্টা ধরে বাসসহ গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছে। এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। এতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যাত্রীরা।
যমুনা সেতু টোল প্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন যমুনা সেতু পারাপার হয়। ঈদকে কেন্দ্র করে এ চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত ১২টা হতে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১ পর্যন্ত ৩৫ ঘণ্টায় ৪৭ হাজার ১৮০টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯০ টাকা।
আরো পড়ুন:
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট
মাগুরায় সড়কে হাতির আকস্মিক মৃত্যু
মহাসড়কের নগরজলফৈ, রাবনা, এলেঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদযাত্রায় টাঙ্গাইলের মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যা বাড়ছে। উত্তরবঙ্গগামী লেনে বাস, ব্যক্তিগত যানবাহনসহ অন্যান্য পরিবহনের চাপ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। যানবাহনের চাপ বাড়লেও বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিতে রয়েছে। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই পরিবহনগুলো চলাচল করছে স্বাভাবিক গতিতে। যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদে বাড়ি যেতে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আর চালকরা বলছেন, আগের ভাড়া নিয়ে যাত্রী তুলছেন গাড়িতে।
রাজিয়া বেগম নামে নারী বাসযাত্রী জানান, স্বাভাবিক সময়ে টাঙ্গাইল হতে নাটারের ভাড়া সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা। ঈদযাত্রায় সেই ভাড়া ৭০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। অপর যাত্রী আরিফ হোসেন জানান, ঈশ্বরদী যাওয়ার জন্য এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। ভাড়া দাবি করা হচ্ছে, দ্বিগুণের বেশি। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
রাসেল মিয়া নামের এক বাস চালক জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে খালি বাস ঢাকায় নিয়ে যেতে হয়। তাই ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। কখনো অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয় না।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, মহাসড়কে যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে আলাদা দুটি মোটর সাইকেলের লেন, ১৮টি টোল বুথ, মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজট নেই।
কালিহাতী সার্কেলের ইন্সপেক্টর মো.
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে প্রায় সাড়ে ৭০০ পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এরমধ্যে মোবাইল টিম, মোটরসাইকেল টিম দায়িত্ব রয়েছে। মহাসড়কে চারটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। মহাসড়কে বিকল যান অপসারণের জন্য ছয়টি রেকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
ঢাকা/কাওছার/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন য নজট ন ঈদয ত র পর বহন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মগবাজারে রেললাইনে আটকে গেল বাস, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা
ঢাকার মগবাজারে ট্রেন আসার আগ মুহূর্তে রেললাইনে আটকে যায় যাত্রীবাহী একটি বাস। ট্রেন আসার ঠিক আগ মুহূর্তে বাসটি সরানো সম্ভব হওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। অল্পের জন্য রক্ষা পান অর্ধশতাধিক যাত্রী।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মগবাজারের এফডিসি-হাতিরঝিল ক্রসিং থেকে আজমেরী গ্লোরী পরিবহনের একটি বাস মগবাজারের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় বাসটি রেললাইনে উঠতেই হঠাৎ আটকে যায়। চালক কিছু সময় চেষ্টা করেও সেটি সামনে বা পেছনের দিকে নিতে পারছিলেন না। একই সময় ঢাকা স্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গগামী একটি ব্রডগেজ ট্রেন আসার সাইরেনও শোনা যায়। অন্যদিকে রেললাইনের ওপর বাসটি আটকে যাওয়ায় গেটকিপার ব্যারিয়ারও ফেলতে পারছিলেন না। ওই সময় গেটকিপারকে বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে সবাইকে সর্তক করার চেষ্টা করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেন সাইরেন বাজাতে বাজাতে ছুটে আসছে। বাসচালক চেষ্টা করছেন বাসটি সরাতে। যাত্রীরা প্রাণভয়ে বাসের জানালা দিয়ে নামতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ট্রেন আসার ঠিক আগ মুহূর্তে কোনোরকমে বাসটি পেছনের দিকে নিতে সক্ষম হন চালক। এর ঠিক কয়েক সেকেন্ড পরেই রেলগেট পার হয়ে দ্রুত ছুটে যায় উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনটি। আশপাশের মানুষ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেন।
রিফাত নূর নামে একজন লিখেছেন, “মানুষের এতো বড় বিপদেও সাহায্য না করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ।”
কেউ কেউ বাসচালককেও দোষারোপ করছেন। আবার অনেকে গেটকিপারকে দায়ী করে মন্তব্য করেছেন। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটায় অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/রায়হান/ইভা