পছন্দের ওএলইডি টিভি কেনার মাধ্যমে ক্রেতাদের ঈদ আনন্দ দ্বিগুণ করতে ২৫ মার্চ রাজধানীর গুলশান–২-এ অবস্থিত র‍্যাংগস ইমার্টে বিশেষ ‘ওএলইডি ফেয়ার’ আয়োজনে যুক্ত হয়েছে স্যামসাং। ২০ মার্চ শুরু হওয়া ফেয়ারটি চলবে আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত। গত মঙ্গলবার র‍্যাংগস ইমার্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাং মিন জাং; ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর এবং প্রোডাক্ট প্ল্যানিংয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো.

শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে র‌্যাংগস ইমার্টের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিভিশনাল ডিরেক্টর ইয়ামিন শরীফ চৌধুরী, হেড অব বিজনেস মো. রাশেদুল ইসলাম; হেড অব প্রোডাক্ট রায়হান আহমেদ এবং হেড অব সেলস গোলাম আজম খান।

অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, ‘স্যামসাং সব সময় দেশজুড়ে এর ক্রেতাদের জন্য সেরা প্রযুক্তি আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমৃদ্ধ সিনেম্যাটিক অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে আমাদের ওএলইডি টিভিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি, এর গ্লেয়ার-ফ্রি প্রযুক্তি নিরবচ্ছিন্ন বিনোদন গ্রহণের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। ঈদের আনন্দে আমরা ওএলইডি প্রযুক্তিকে আরও সহজলভ্য করতে চাই, যেন আমাদের ক্রেতারা তাদের পরিবারের সঙ্গে দুর্দান্ত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারেন।’

ইয়ামিন শরীফ চৌধুরী বলেন, ‘র‌্যাংগস ইমার্ট সব সময় আধুনিক প্রযুক্তি ও মানুষের লাইফস্টাইলের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে কাজ করে। এ ফেয়ারের মাধ্যমে আমরা ক্রেতাদের জন্য শপিং অভিজ্ঞতাকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে চাই।’

এই ফেয়ার থেকে ক্রেতারা আকর্ষণীয় প্রমোশনাল অফারে স্যামসাংয়ের গ্লেয়ার-ফ্রি ডিসপ্লে, শতভাগ কালার ভলিউম ও ক্রিস্টাল-ক্লিয়ার ভিজ্যুয়ালের অত্যাধুনিক ওএলইডি টিভি কিনতে পারবেন।

ফেয়ারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো র‌্যাংগস ইমার্টের যেকোনো আউটলেট থেকে নির্দিষ্ট ওএলইডি টিভি কিনলে সঙ্গে বিনা মূল্যে একটি সাউন্ডবার পাবেন ক্রেতারা, যা তাঁদের ওএলইডি টিভির অসাধারণ ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এ ছাড়া ক্রেতাদের জন্য থাকছে র‍্যাফল ড্রতে অংশ নেওয়ার সুযোগ। র‍্যাফল ড্রর মাধ্যমে ফেয়ার শেষে তিনজন ভাগ্যবান বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। গ্র্যান্ড প্রাইজ হিসেবে বিজয়ীরা পাবেন স্যামসাং ৬৫ ইঞ্চি ওএলইডি টিভিসহ বিভিন্ন উপহার।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ড অব

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকের বন্ধুতালিকা ‘রিসেট’ করার ভাবনা ছিল জাকারবার্গের

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মেটার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মামলার বিচার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সোমবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শুনানিতে আদালতে উপস্থাপন করা হয় মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু ই–মেইল, যেখানে উঠে আসে এক সময় সবাইকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকা ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে বাধ্য করার এক অভিনব প্রস্তাব।

২০২২ সালে পাঠানো একটি ই–মেইলে জাকারবার্গ লেখেন, বন্ধু তৈরিতে দ্বিগুণ জোর। সবাইকে তাঁদের বন্ধুতালিকা (গ্রাফ) মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিশোর-তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় ফেসবুকের ব্যবহার কমছিল। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে নতুন কিছু ভাবনার অংশ হিসেবেই জাকারবার্গ ওই প্রস্তাব দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে মেটার অভ্যন্তরেই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। ফেসবুক বিভাগের প্রধান টম অ্যালিসন ই–মেইলের জবাবে লেখেন, আপনার প্রস্তাবিত প্রথম বিকল্পটি (বন্ধু সংযোগে জোর) আমার কাছে বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রামে বন্ধু সুবিধাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অকার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

জাকারবার্গ আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিলেন। ফেসবুককে বন্ধুভিত্তিক মাধ্যমের বদলে অনুসরণভিত্তিক (ফলোয়ার) মাধ্যমে রূপান্তর করার চিন্তা ছিল তাঁর। যদিও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে উঠে আসা এসব ভাবনা থেকে প্রযুক্তি মাধ্যমটি ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটতে চায়, তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।

মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ২০২০ সালে মেটার বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতা-বিরোধী মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিযোগীদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। এফটিসির ভাষ্য, সম্ভাবনাময় প্রতিযোগীরা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তখন মেটা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে কিনে নিয়ে সেই ‘হুমকি’ দূর করেছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনশীল মাধ্যমগুলোকে হুমকিস্বরূপ মনে করে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাবিরোধী একক আধিপত্য গড়ে তুলেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ