Samakal:
2025-04-19@15:14:01 GMT

বাড়তি ফি ছাড়াই ঈদের টিকিট

Published: 27th, March 2025 GMT

বাড়তি ফি ছাড়াই ঈদের টিকিট

ঈদ মানেই আপন নীড়ে ফিরে যাওয়ার টান। ঈদুল ফিতর উদযাপনে দেশের সুপরিচিত অনলাইন টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম বিডিটিকিটস ডটকম বাস পরিষেবার বিশেষ অফার ঘোষণা করেছে।

যাত্রীদের ভোগান্তিহীন ঈদযাত্রা নিশ্চিতে বাড়তি চার্জ ছাড়াই ২০ লাখের বেশি টিকিট বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি। ফলে বাড়ি ফেরার টিকিট পেতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো, টিকিটের সংকট বা কালোবাজারির মুখোমুখি হতে হবে না।

উদ্যোক্তারা বলেন, ঈদে ঘরমুখী মানুষের জন্য বাসের টিকিট পাওয়া যেন সোনার হরিণ। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ থাকে কম। এমন সুযোগে কালোবাজারিতে বাড়তি দামে টিকিট বিক্রি হয়। এ টিকিট পেতে তীব্র গরমে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ভোগান্তি নিরসনে এমন সমস্যার সমাধানে ই-টিকিটিং প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করা হয়েছে দেশের ৯৯ শতাংশ দূরপাল্লার বাস সার্ভিস। ফলে দেশের যে কোনো প্রান্তের যাত্রায় টিকিট করা হয়েছে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।

বিডিটিকিটস প্ল্যাটফর্মের মূল অংশীজন প্রতিষ্ঠান আর ভেঞ্চারস পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী মাহবুব হাসান বলেন, বাড়ি ফেরার টিকিট কেনার সঙ্গে আমাদের প্ল্যাটফর্মে এখন যাত্রীরা রিটার্ন টিকিটের সুবিধা পাবেন। বাড়তি চার্জহীন ও বিশেষ ছাড়ে টিকিটের সুবিধা দেওয়া হবে। অনেকেই অগ্রিম রিটার্ন টিকিট বুক করছেন, যা যাত্রীসেবায় স্বস্তি দেবে। ঈদে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা নিশ্চিতে এখন দিনরাত কাজ করছি।

ঈদের বিশেষ ছাড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-খুলনা রুটের বাসের টিকিট বাড়তি চার্জ ছাড়া নির্ধারিত ভাড়ায় পাওয়া যাচ্ছে। সারাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে ঝামেলাহীন আর ঘরে বসেই মিলছে টিকিট কাটার সুযোগ। দিন হোক বা রাত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কয়েক মিনিটেই পাওয়া যাচ্ছে বাড়ি ফেরার টিকিট। পরিষেবা পেতে আগ্রহীরা বিডিটিকিটস অ্যাপে বা সাইটে গিয়ে তথ্য সুবিধা পাবেন। তাৎক্ষণিক সহায়তার প্রয়োজনে ১৬৪৬০ নম্বরে কল করা যাবে।

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকের বন্ধুতালিকা ‘রিসেট’ করার ভাবনা ছিল জাকারবার্গের

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মেটার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মামলার বিচার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সোমবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শুনানিতে আদালতে উপস্থাপন করা হয় মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু ই–মেইল, যেখানে উঠে আসে এক সময় সবাইকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকা ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে বাধ্য করার এক অভিনব প্রস্তাব।

২০২২ সালে পাঠানো একটি ই–মেইলে জাকারবার্গ লেখেন, বন্ধু তৈরিতে দ্বিগুণ জোর। সবাইকে তাঁদের বন্ধুতালিকা (গ্রাফ) মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিশোর-তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় ফেসবুকের ব্যবহার কমছিল। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে নতুন কিছু ভাবনার অংশ হিসেবেই জাকারবার্গ ওই প্রস্তাব দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে মেটার অভ্যন্তরেই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। ফেসবুক বিভাগের প্রধান টম অ্যালিসন ই–মেইলের জবাবে লেখেন, আপনার প্রস্তাবিত প্রথম বিকল্পটি (বন্ধু সংযোগে জোর) আমার কাছে বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রামে বন্ধু সুবিধাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অকার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

জাকারবার্গ আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিলেন। ফেসবুককে বন্ধুভিত্তিক মাধ্যমের বদলে অনুসরণভিত্তিক (ফলোয়ার) মাধ্যমে রূপান্তর করার চিন্তা ছিল তাঁর। যদিও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে উঠে আসা এসব ভাবনা থেকে প্রযুক্তি মাধ্যমটি ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটতে চায়, তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।

মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ২০২০ সালে মেটার বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতা-বিরোধী মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিযোগীদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। এফটিসির ভাষ্য, সম্ভাবনাময় প্রতিযোগীরা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তখন মেটা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে কিনে নিয়ে সেই ‘হুমকি’ দূর করেছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনশীল মাধ্যমগুলোকে হুমকিস্বরূপ মনে করে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাবিরোধী একক আধিপত্য গড়ে তুলেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ