জাহিদুল ইসলামের রচনায় ঈদের নাটক ‘আধুনিক চোর’
Published: 27th, March 2025 GMT
আমাদের আশেপাশে বহু ধরনের চোর রয়েছে। আবার গৃহস্থও নানান কৌশল অবলম্বন করে চোরকে পাকড়াও করছে। চোরও কিন্তু বসে নেই। সেই চোরও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কৌশল তৈরি করছে কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় ঝুঁকিমুক্তভাবে চুরি করা যায়। ঠিক এমনই এক চোরের সন্ধান পাওয়া যায় সাংবাদিক ও নাট্যকার মো. জাহিদুল ইসলামের রচনা এবং নির্মাতা নাজনীন হাসান খানের পরিচালনায় ঈদের বিশেষ নাটক ‘আধুনিক চোর’ গল্পে।
‘আধুনিক চোর’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক স্বপন। আর সহযোগী চোরের ভূমিকায় রয়েছেন তার স্ত্রী আঁখি চৌধুরী। আরো অভিনয় করেছেন- কাজী রাজু, সায়কা আহমেদ, ফরিদ হোসেন, স্নিগ্ধা হোসেন, ঋকি রাফাত, এবি রশিদ প্রমুখ।
সাংবাদিক ও নাট্যকার জাহিদুল ইসলাম বলেন, “পৃথিবীতে সবকিছু যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তাহলে এই চুরিশিল্প কেন পিছিয়ে থাকবে। এমনই কনসেপ্ট নিয়ে নটবর লাল ও ডোরিস আধুনিক চুরির কৌশল অবলম্বন করে। কৌশলগত দিক দিয়ে নটবর লাল ও ডোরিস মনে করে তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ট চোর। যেখানে দেশ থেকে সিঁধেল চোর প্রায় হারিয়ে গেছে, সেখানে আধুনিক চুরির চিত্রটিই ফুটিয়ে তুলা হয়েছে বিভিন্ন নাটকীয়তার মাধ্যমে। নটবর লাল ও ডোরিসের জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে মজার এই নাটকের চিত্রনাট্য করেছি। আশা নাটকটি দর্শকদের ভালো লাগবে।”
আরো পড়ুন:
আনন্দের কথায় ‘ঈদ আনন্দ’
চার বছর পর একসঙ্গে আফজাল ও মৌ
পরিচালক নাজনীন হাসান খান বলেন, “যুগে যুগে সবকিছুই আধুনিক হয়, সে জায়গায় চোর কেন পিছিয়ে থাকবে। চোর তার চুরির ধরণ নিয়ে পরিবর্তন ঘটিয়ে আধুনিকতার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করে। গল্পটির কনসেপ্ট শুনে নির্মাণ করার জন্য আমি উদগ্রীব হয়ে যাই। অসাধারণ গল্প। আশা করি এই গল্পে দর্শক আনন্দ পাবে।”
আসছে ঈদ-উল-ফিতরের একটি বেসরকারি টিভিতে ‘আধুনিক চোর’ দেখা যাবে।
ঢাকা/রাহাত/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চিনি না, জানি না, এমন মানুষদের সঙ্গে খেয়েছি একথালায়
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়ার মহাকাশবিজ্ঞান বিভাগে পড়েছি। সেই সুবাদে মালয়েশিয়ার রোজা-ঈদ কাছ থেকে দেখা হয়েছে।
মালয়েশিয়াতে রোজার প্রথম দিন থেকেই আতশবাজি ফুটানো হয়। মসজিদে ইফতারের ব্যবস্থা থাকে। মালয়েশিয়ায় আমার প্রথম রোজা কেটেছিল করোনা-পরবর্তী সময়ে। তখন অবশ্য মসজিদে ইফতার হতো না। খাবার প্যাকেট করে দিয়ে দিত। একা একা ইফতার করতে খারাপ লাগত। পরিবারের অভাব বোধ করতাম। রোজার শেষ ১০ দিন আমার জন্য ছিল আরও কঠিন। কোনো কেনাকাটা নাই, দেশি পোশাক খুব বেশি পাওয়া যায় না। বাঙালি কমিউনিটি মাঝেমধ্যে ইফতারের আয়োজন করত, সেই সময়টা উপভোগ করতাম।
২০২৩ সালের রোজার সময়টা অনেক ভালো ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে ইফতার করতাম। বেশির ভাগ সময় ভাত, মুরগি অথবা গরুর মাংস দেওয়া হতো। সেগুলো আবার পাঁচজন একসঙ্গে খেতাম। এটা আমার কাছে অনেক মজার ছিল—চিনি না, জানি না, পরিচয় নেই অথচ এক থালায় বসে ইফতার করছি! ঈদের নামাজও বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে পড়েছি। এটা ছিল অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা। কারণ, সেবারই প্রথম ঈদের নামাজ মসজিদে পড়ি। বাসায় এসে রান্না করি। একা কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল না। বিরক্ত লাগছিল। দেরি না করে ল্যাবে চলে গেলাম। সেখানে কফি খাওয়া, জার্নাল লেখা, গবেষণা প্রবন্ধ পড়া একসঙ্গে চলল।
প্রথমবার যখন ঈদের সময়টা ল্যাবে কাটাই, একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিল। পরেরবার সবকিছু অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। আমার কাজের নির্দিষ্ট সময় ছিল না। কাজ করতে করতে অনেক সময় আট-নয় ঘণ্টা পার হয়ে যেত। আবার, মাঝেমধ্যে রাতেও থাকতাম। রোজার সময় বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকা হতো। আমি মূলত মহাকাশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস (স্পেস ওয়েদার ফোরকাস্ট) নিয়ে কাজ করতাম। সারা দেশের মানুষ যখন চাঁদ দেখা না–দেখার রোমাঞ্চে বুঁদ, তখন চাঁদের মতো আরও বহু গ্রহ-উপগ্রহের দুনিয়া নিয়ে গবেষণায় ডুবে থাকারও একটা আলাদা আনন্দ আছে।
বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) গবেষণা সহকারী সাদিয়া মোস্তফা