বাংলাদেশে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে আদানি
Published: 27th, March 2025 GMT
বাংলাদেশে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার। আদানি ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের পুরো সক্ষমতা অর্থাৎ ১৬০০ মেগাওয়াটই বাংলাদেশে সরবরাহ শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তরফ থেকে নিয়মিত বকেয়া পরিশোধ করতে শুরুর পরই আদানি এই উদ্যোগ নিয়েছে।
আরো পড়ুন:
সংখ্যালঘু নির্যাতনে ভারতকেই কালো তালিকায় ফেলার সুপারিশ যুক্তরাষ্ট্রে
আটচল্লিশে থেমে গেল নায়কের জীবন
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় গত বছর বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে আদানি পাওয়ার। অবশেষে চার মাস পর আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে আবারো পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি)।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেছেন, “আমরা নিয়মিতভাবে আদানিকে অর্থ পরিশোধ করছি এবং আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি।” তবে তিনি পরিশোধের পরিমাণ এবং অতীতের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে কি না তা নির্দিষ্ট করে বলেননি।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, আদানি দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়িয়েছে।
এদিকে এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর আদানি পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে, মুম্বাইতে ২% পর্যন্ত বেড়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত শেয়ারের দাম প্রায় ৫% কমেছে।
ইকোনামিক টাইমস বলছে, গ্রীষ্ম মৌসুমে বাংলাদেশজুড়ে গড় তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার আশপাশেই থাকে। এই অবস্থায় আদানির সরবরাহ পুনরুদ্ধার হওয়ায় তীব্র গ্রীষ্মের মাসগুলোতে বাংলাদেশে লোডশেডিং অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হবে।
এদিকে, বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এক সময়ে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়া বকেয়া বিল বর্তমানে ৮০০ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে তা পরিশোধ করবে বাংলাদেশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা আরও জানান, বিপিডিবি আদানির ঋণদাতাদের আশ্বস্ত করার জন্য গ্যারান্টিও দিয়েছে, যা কোম্পানির কার্যকরী মূলধন সংকটকে সহজ করবে।
আদানি গ্রুপের একজন মুখমাত্র তাৎক্ষণিকভাবে ইকোনোমিক টাইমসের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার কেবল বাংলাদেশের জন্য স্বস্তি নয়, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক মেরামতের জন্যও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ য ৎ সরবর হ সরবর হ শ র
এছাড়াও পড়ুন:
টাঙ্গাইলে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মধুপুর আদর্শ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মধুপুরে দাখিল পরীক্ষার একমাত্র কেন্দ্র হলো মধুপুর আদর্শ ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা। উপজেলা সদরের এই কেন্দ্রের অতিরিক্ত শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র হলো মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কলেজ বিভাগে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা চলমান অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে রাধানগর ফজিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. জাকির হোসেন তার শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করতে যান। এ সময় দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার মো. ইসমাইল হোসেন তাকে নকল সরবরাহ থেকে বিরত করে তাকে কেন্দ্র সচিবের কক্ষে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে মধুপুর থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া উপস্থিত হয়ে বিষয়টি অবগত হন এবং তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেন।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ওসির প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে বৈঠকে সন্তুষ্ট নন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, ‘আন্দোলন চলবে’
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় মধুপুর থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মধুপুর আদর্শ ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মজিদ জানান, পরীক্ষার কেন্দ্রে অনিয়মতান্ত্রিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে রাধানগর ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মধুপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মধুপুর থানা কর্তৃপক্ষ টাঙ্গাইলে আদালতে পাঠিয়েছে।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল কবীর জানান, মধুপুরে দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রে অসদুপায়ে সহযোগিতা করার অভিযোগে শিক্ষক জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ঢাকা/কাওছার/বকুল