ব্রাজিল ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব ইতালির কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে দিতে চায় দেশটির কনফেডারেশন (সিবিএফ)। এর আগেও আনচেত্তিকে পাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে সিবিএফ।

সংবাদ মাধ্যম গ্লোবো দাবি করেছে, দরিভাল জুনিয়রের ভবিষ্যত বিষয়ে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেবেন সিবিএফ প্রেসিডেন্ট এডনাল্ড রদ্রিগুয়েজ। এরই মধ্যে কনফেডারেশন আনচেলত্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও জানানো হয়েছে।

এজেন্টের মাধ্যমে ব্রাজিলের দেওয়া প্রস্তাব শুনেছেন আনচেলত্তি। তবে জুলাইয়ের আগে নিজ থেকে রিয়াল মাদ্রিদের ডাগ আউট ছাড়বেন না তিনি। চূড়ান্ত আলোচনা যা হওয়ায়, জুলাইয়ে হবে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। সব ঠিক থাকলে ওই টুর্নামেন্টে লস ব্লাঙ্কোসদের ডাগ আউটে থাকবেন ইতালিয়ান বস। তার সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে আনচেলত্তির অধীনে ব্লাঙ্কোসরা খুব ভালো না খেলায় মৌসুম শেষে তাকে ছাঁটাই করা হতে পারে।

এর মধ্যেও কিন্তু আছে। সংবাদ মাধ্যম গোল জানিয়েছে, বায়ার লেবারকুসেনের জাবি আলোনসোকে কোচ হিসেবে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু তিনি যদি লেবারকুসেনে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগা অথবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতে তাহলে ২০২৬ সাল পর্যন্ত  আনচেলত্তির ওপরই ভরসা রাখবেন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।

গত বছর আবার চুক্তি নবায়নের সময় আনচেলত্তি বলেছিলেন, তিনি নিজ ইচ্ছায় কখনো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়েননি, ছাড়বেনও না। যার অর্থ চুক্তির মেয়াদ সম্পন্ন করতে চান তিনি। সব মিলিয়ে জুন-জুলাইয়ের পরও আনচেলত্তির সার্ভিস পাওয়া ব্রাজিলের জন্য নিশ্চিত নয়। তবে সেলেসাওরা এবার আনচেলত্তির জন্য জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায়।

জুনে আবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলের ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ আছে। সিবিএফ ততদিন দরিভালকে রাখতে চায় না। সেক্ষেত্রে নতুন কোন কোচ নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। অথবা অন্তবর্তীকালীন ভিত্তিতে নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল ব শ বক প ব ছ ই স ব এফ

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন পথনকশায় ১৪ মাসে ৬১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে

গ্যাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ত্রুটি) কমাতে পথনকশা তৈরি করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। ৭টি গ্যাস কোম্পানিকে ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত সিস্টেম লস কমানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে এ বিভাগ। বিভাগটি বলেছে, কোম্পানিগুলোকে এ সময়ের মধ্যে কমপক্ষে অর্ধেকের নিচে নামিয়ে আনতে হবে গ্যাসের সিস্টেম লস। কাজটি না পারলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ভোগ করতে হবে শাস্তি।

সচিবালয়ে আজ বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ পথনকশা চূড়ান্ত করা হয়। জ্বালানিসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা (এমডি) এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে যে পরিমাণ সিস্টেম লস হয়, তার আর্থিক মূল্য ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। আগামী বছরের জুনের মধ্যে পথনকশা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিস্টেম লস অর্ধেকে নেমে এলে অন্তত ৫০ কোটি মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে। বর্তমান বাজার মূল্যে এর পরিমাণ ৬১ হাজার কোটি টাকা।

দেশীয় কোম্পানি, আন্তর্জাতিক কোম্পানি ও চট্টগ্রামের মহেশখালীতে থাকা দুই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল থেকে মিটারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হয় গ্যাস ট্রান্সমিশন পিএলসি লিমিটেডে (জিটিসিএল)।

জিটিসিএল পরে মিটারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করে ছয় কোম্পানিকে। এগুলো হচ্ছে তিতাস, বাখরাবাদ, কর্ণফুলী, জালালাবাদ, সুন্দরবন ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি। এসব কোম্পানিই পরে গ্যাস সরবরাহ করে গ্রাহকদের। সিস্টেম লসের মধ্যে তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসেরই বেশি, যা সুন্দরবন গ্যাস ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাসের নেই বললেই চলে।

এখন থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে কোন কোম্পানি কোন মাসে সিস্টেম লস কতটা নামিয়ে আনবে, তা বেঁধে দেওয়া হয়েছে পথনকশায়। পথনকশা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না, তিন মাস পর তা আবার খতিয়ে দেখবেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

তিতাস গ্যাসের গত জানুয়ারি মাসে সিস্টেম লস ছিল ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে কোম্পানিটিকে এ হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশে এবং ডিসেম্বরে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। একইভাবে বাখরাবাদের জানুয়ারিতে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ সিস্টেম লস থাকলেও আগামী বছরের জানুয়ারি ও ডিসেম্বরেও কোম্পানিটিকে এ হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।

পথনকশায় সিস্টেম লস কমিয়ে আনার ব্যাপারে তিতাসের ৩৯১ ও বাখরাবাদের ১৩৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী গ্যাসে ২০০, জালালাবাদে ৬৪ এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্যাসে ৩৬ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সিস্টেম লস কমাতে সাতটি ভিজিল্যান্স দল গঠন করা হয়েছে। অবৈধ বিতরণ পাইপলাইন অপসারণ, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং বিচ্ছিন্ন করার পর এগুলো আবার পুনঃস্থাপিত হয়েছে কি না, সেগুলো সরেজমিন দেখবে দলগুলো। পুনঃস্থাপনের সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো ঠিকাদার জড়িত কি না, তা–ও চিহ্নিত করা হবে।

সূত্রগুলো জানায়, গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ২ মাসে ৭০ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর অবৈধ আবাসিক বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার। এ সময় ৯৬টি মোবাইল কোর্টসহ ও ১ হাজার ১৮৮টি মোবাইল কোর্ট ছাড়া অভিযান করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন মেসি
  • নিজের প্রতি সৎ থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চাই: মেসি 
  • ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে নিজের সঙ্গে ‘সৎ’ থাকতে চান মেসি
  • ট্রাম্পের শুল্কঝড়ে কমবে জ্বালানি তেলের চাহিদা: ওপেক
  • নতুন পথনকশায় ১৪ মাসে ৬১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে