গত বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসবে সন্ধ্যা সুরি পরিচালিত সিনেমা ‘সন্তোষ’ প্রিমিয়ারের পর প্রশংসিত হয়। ৯৮ মিনিটের ক্রাইম-ড্রামা ঘরানার সিনেমাটি তৈরি হয়েছে যুক্তরাজ্য, ভারত, জার্মানি ও ফ্রান্সের যৌথ প্রযোজনায়। পরে যুক্তরাজ্য থেকে অস্কারেও মনোনীত হয়েছিল সিনেমাটি। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রশংসিত সিনেমাটি ভারতে মুক্তি পাচ্ছে না। পর্দায় পুলিশি নৃশংসতা দেখানো হয়েছে, তাই ছবিটি আটকে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সার্টিফিকেশন বোর্ড। খবর দ্য গার্ডিয়ানের
সিনেমাটি ভারতে মুক্তি দেওয়ার জন্য আবেদন করেন ব্রিটিশ নির্মাতা সন্ধ্যা সুরি। কিন্তু দেশটির সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন ছবিটির ছাড়পত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কারণ, ‘সন্তোষ’-এ ভারতীয় পুলিশকে নেতিবাচকভাবে পর্দায় তুলে ধরা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত তাঁর হৃদয় ভেঙে দিয়েছে বলে গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন সুরি।
উত্তর ভারতের এক নারী তার নিহত স্বামীর জায়গায় পুলিশের চাকরি পান। কাজে যোগ দেওয়ার পর সন্তোষ নামে সেই নারীর সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ হাজির হয়, তা নিয়েই ছবির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে।
‘সন্তোষ’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারী যন্ত্রের অভাবে মিয়ানমারে খালি হাতে উদ্ধার অভিযান
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর দুই দিন পেরিয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত ব্যক্তিদের বের করে আনতে দিনরাত এক করে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
কিন্তু বেশির ভাগ উদ্ধারকর্মীকে খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরাতে হচ্ছে। ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধারকাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এত বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ মিয়ানমারের নেই।
গত শুক্রবার ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মিয়ানমারে বহু ভবন ও স্থাপনা ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চল, দেশটির এক সময়ের রাজধানী মান্দালয়ের কাছে। প্রাচীন এই শহরে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বসবাস করেন। সেখানে অনেক ঐতিহাসিক মন্দির ও প্রাসাদ রয়েছে।
মান্দালয়ে ভূমিকম্পের পর বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের একজন ২৫ বছরের হতেত মিন। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘সেখানে অনেক ধ্বংসস্তূপ পড়ে আছে। কোনো উদ্ধারকারী দল আমাদের এখানে আসেনি।’
হতেত আরও বলেন, তাঁর স্বজনদের কয়েকজন একটি ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তিনি খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁদের বের করে আনার চেষ্টা করছেন।
মান্দালয়ের শহরতলি আমারাপুরা। সেখান থেকে একজন উদ্ধারকর্মী জানিয়েছেন, তিনি একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিচে চাপা পড়া ১৪০ বৌদ্ধভিক্ষুর কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
ওই উদ্ধারকর্মী বলেন, ‘আমরা তাদের সাহায্য করতে পারছি না। কারণ, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেওয়ার মতো লোকবল ও যন্ত্রপাতি আমাদের নেই। কিন্তু আমরা আশা ছাড়ছি না। আমরা কাজ বন্ধ করব না।’
চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ মিয়ানমারের প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ ভূমিকম্প দুর্গতদের উদ্ধারের সেখানে উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী বলেছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০–এর বেশি মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৩ হাজার ৪০০ জন। নিখোঁজ প্রায় ১৪০ জন। হতাহতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল নিয়ে ছুটছে প্রতিবেশী দেশগুলো৪ ঘণ্টা আগে