বিকাশ, নগদ, রকেটে দিনে ৫০ হাজার টাকা পাঠানো যাবে
Published: 27th, March 2025 GMT
মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের লেনদেন সীমা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে গ্রাহকেরা দৈনিক ও মাস ভিত্তিতে আগের চেয়ে বেশি টাকা জমা, উত্তোলন ও স্থানান্তর করতে পারবেন। পাশাপাশি এসব হিসাবে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখা যাবে। আগে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা জমা রাখার সুযোগ ছিল। এ ছাড়া লেনদেন সংখ্যার সীমা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আজ এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে। ঈদের আগে গ্রাহকের লেনদেনের পরিমাণ বেশ বেড়ে গেছে, এমন পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজ নিজ বিবেচনায় লেনদেনের ক্ষেত্রে সীমার কম নির্ধারণ করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। এ নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
কোথায় কত বাড়লবাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ব্যক্তি হিসাবে আগে ৩০ হাজার টাকা জমা করা যেত, এখন তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হলো। একইভাবে প্রতি মাসে একজন গ্রাহক দুই লাখ টাকা জমা করতে পারতেন, তা বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ব্যক্তি হিসাবে আগে ২৫ হাজার টাকা উত্তোলন করা যেত, তা বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। একইভাবে প্রতি মাসে এজেন্ট থেকে আগে গ্রাহকেরা দেড় লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারতেন, তা বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়েছে।
পাশাপাশি একজন ব্যক্তি হিসাবধারী আরেকজন হিসাবধারীকে দিনে ২৫ হাজার টাকা পাঠাতে পারতেন, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রতি মাসে একজন হিসাবধারী তিন লাখ টাকা অন্য হিসাবধারীকে পাঠাতে পারবেন, আগে যা ছিল দুই লাখ টাকা। এক হিসাবে আগে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখা যেত, তা বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করা হয়েছে।
হাতে থাকা মুঠোফোন এখন আর্থিক লেনদেনের বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। যোগাযোগের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত হচ্ছে মুঠোফোন। বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো এমএফএস ১ মাসে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, অর্থাৎ দেশে মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা।
এসব লেনদেনে অনেক সময় কারও সহায়তার প্রয়োজন হচ্ছে না। কারণ, গ্রাহক নিজেই নিজের হিসাবে টাকা জমা করে অন্যকে পাঠানোর পাশাপাশি কেনাকাটাও করতে পারেন। যেমন মুঠোফোনে রিচার্জ, বিভিন্ন কেনাকাটা, হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া ও পরিষেবার বিল পরিশোধ, টিকিট ক্রয় ইত্যাদি। পাশাপাশি এখন অর্থ স্থানান্তর, প্রবাসী আয় গ্রহণ, সরকারি ভাতা ও বৃত্তি বিতরণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-বোনাস প্রদান এবং ব্যবসায়িক লেনদেনের বড় মাধ্যম হয়ে উঠছে এসব সেবা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, গত জানুয়ারিতে এসব সেবায় লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। এর আগের মাস ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে এসব সেবায় প্রথমবারের মতো লেনদেন এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০২৪ সালের মার্চে তা দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়ায়।
জানুয়ারিতে এমএফএস–সেবায় সব মিলিয়ে গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ৯৩ লাখ ২৯৯। এর মধ্যে সক্রিয় হিসাব ৮ কোটি ৮৫ লাখ। একজন ব্যক্তি একাধিক সেবা ব্যবহার করতে পারেন, তাই প্রকৃত হিসাবধারী ঠিক কতজন, তা অবশ্য জানা যায়নি। গ্রাহকসেবা দিতে সারা দেশে এজেন্ট রয়েছে ১৮ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৯টি। এমএফএস-সেবার শীর্ষে রয়েছে বিকাশ। তাদের নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা প্রায় আট কোটি। বিকাশে দিনে লেনদেন হয় প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। এরপর নগদে লেনদেন হচ্ছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। রোজা ও ঈদের চলতি মাসে লেনদেনে বড় উল্লম্ফন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাগদান সারলেন ঋতাভরী
মনোবিদ তথাগত চ্যাটার্জির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার পর অনেক দিন নীরব ছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। গত বছরের শেষের দিকে তিনি জানান, নতুন করে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
সেই সময়ে প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি ঋতাভরী। এরপর ছবি প্রকাশ করে ঘোষণা দেন— তার প্রেমিকের নাম সুমিত আরোরা। তারপর এ জুটির বিয়ের খবরও চাউর হয়। কিন্তু তা অস্বীকার করেন ঋতাভরী। এবার প্রেমিক সুমিতের সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেত্রী।
বাগদানের পর হবু বরের সঙ্গে ঋতাভরী
আরো পড়ুন:
আমি শাকিব খানকে চিনি না: লাবণী সরকার
প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা খোরপোশ নিচ্ছেন শ্রাবন্তী?
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সুমিতের সঙ্গে তোলা বেশ কিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঋতাভরী। এসব ছবির ক্যাপশনে বাগদানের ঘোষণা। তিনি লেখেন, “এবং আমি ‘হ্যাঁ’ বলেছি। কারণ আমাদের পরিকল্পনা একে অপরকে সারা জীবন বিরক্ত করার এবং ভালোবাসার। আমি ও আমার মিস্টার রাইটের বাগদান।”
এরপর থেকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। ভক্ত-অনুরাগীদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও নতুন জীবনের জন্য শুভকামানা জানাচ্ছেন।
ঋতাভরীর হবু বর সুমিত আরোরা বলিউডের ব্যবসাসফল সিনেমার সংলাপ রচয়িতা। এ তালিকায় রয়েছে শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’, শ্রদ্ধা কাপুরের ‘স্ত্রী’, সামান্থা রুথ প্রভুর ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’, কার্তিক আরিয়ানের ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’ প্রভৃতি।
‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে টেলিভিশনে আত্মপ্রকাশ করেন ঋতাভরী। ২০১১ সালে ‘তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি।
ঋতাভরী চক্রবর্তী
২০১২ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তবু বসন্ত’। ঋতাভরী অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘চতুষ্কোণ’, ‘বারুদ’, ‘পরী’, ‘শেষ থেকে শুরু’, ‘বহুরূপী’ প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত