নাটোরে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, বাবা-মেয়ে নিহত
Published: 27th, March 2025 GMT
নাটোরের লালপুরে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মেয়ে ও বাবা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পাবনা-বনপাড়া মহাসড়কের উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের গোধরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন বগুড়া সদর উপজেলার কৈপাড়া এলাকার শাহারিয়ার শাকিল (৩৫) ও তাঁর ২ বছরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। এ দুর্ঘটনায় শাহারিয়ারের স্ত্রী আয়শা আক্তার (২৬) ও গাড়িচালক আহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ জানায়, যশোর থেকে ছেড়ে আসা প্রাইভেট কারটি উপজেলার গোধরা এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। প্রাইভেট কারটি রাস্তার পাশের একটি বাবলাগাছে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শাকিল ও সুমাইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত অবস্থায় আয়শা হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন। প্রাইভেট কারের চালককে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এলে লাশ হস্তান্তরসহ আইনানুগ কার্যক্রম শুরু হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বনপ ড়
এছাড়াও পড়ুন:
রাজধানীর পথসভায় বক্তারা: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠন করা ছাড়া আট মাসে এ চুক্তি বাস্তবায়নে তেমন কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পথসভায় এ কথা বলেছেন বক্তারা।
আজ শনিবার রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কে এ সভা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অগ্রাধিকার তালিকায় রাখাসহ সাত দফা দাবিতে আজ দিনব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাস্তবায়ন আন্দোলন নামের সংগঠনটি। এর মধ্যে আছে ছয়টি পথসভা, প্রচারপত্র বিলি ও গণসংযোগ। এর অংশ হিসেবে সকালে বাহাদুর শাহ পার্কের সভাটি হয়।
আজকের সভায় বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন বন্দোবস্তের আওয়াজ তুলছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন বন্দোবস্তের বাস্তব রূপ দিতে হবে। আর এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে সরকারের কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা নেই।
সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ২৭ বছরে এই চুক্তির কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি, কোনো ধরনের মৌলিক বিষয় বাস্তবায়িত হয়নি। যারা চুক্তি করেছিল, তারাও করেনি। এখন যারা ক্ষমতায় বসেছে, তারাও করছে না।
রুহিন হোসেন বলেন, আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে পাহাড়ের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। পাহাড়িদের অধিকার রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশ শেষে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। এ সময় তাঁরা বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে বের হয়ে লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারীবাজার মহানগর দায়রা জজ আদালত, রায়সাহেব বাজার, তাঁতীবাজার এলাকায় সাত দফা কর্মসূচির প্রচারপত্র বিতরণ করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পক্ষে আজ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও প্রচারপত্র বিলির কর্মসূচি নেওয়া হয়