আর্নন্ডের সঙ্গে চুক্তির সমঝোতা রিয়ালের
Published: 27th, March 2025 GMT
মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্টে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেবেন লিভারপুলের ইংলিশ ফুলব্যাক ট্রেন্ট অ্যালেক্সজান্ডার আর্নল্ড। সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, চুক্তির বিষয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ও আর্নল্ড সমঝোতায় পৌঁছেছেন।
শুধু চুক্তি নয় জুনেই অগ্রিম ছাড়পত্রের মাধ্যমে আর্নল্ডকে রিয়াল মাদ্রিদে আনা যায় কিনা ওই চেষ্টাও করছে লস ব্লাঙ্কোস বোর্ড।
লিভারপুলের সঙ্গে চলতি মৌসুমের ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তি আছে আর্নল্ডের। চুক্তি নবায়ন না করলে নিয়ম অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে নতুন ক্লাবের সদস্য হবেন ইংলিশ এই ডিফেন্ডার। তবে জুনে ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেবে রিয়াল মাদ্রিদ। ওই টুর্নামেন্টের আগে ব্লাঙ্কোস বোর্ড তাকে দলে চায়।
লিভারপুল যাতে প্রিমিয়ার লিগ মৌসুম শেষ হলেই আর্নল্ডকে ছাড়পত্র দেয় ওই চেষ্টা করবে রিয়াল মাদ্রিদ। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ড রক স্টেডিয়ামে ১৮ জুন আল হিলালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে কার্লো আনচেলত্তির দল।
ক্লাব বিশ্বকাপের কারণে দলবদলের জন্য সংক্ষিপ্ত একটি সময় বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ক্লাবগুলো ১ থেকে ১০ জুনের মধ্যে দলে নতুন ফুটবলার সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সম্মত হতে হবে দুই ক্লাবের। রিয়াল মাদ্রিদ আর্নল্ডকে ওই সুযোগে দলে আগেভাগে যুক্ত করতে চায়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল
এছাড়াও পড়ুন:
নলছিটিতে সাব-রেজিস্ট্রারের ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি
নলছিটি উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদ জাহান মুনার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে টানা তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন উপজেলার সকল দলিল লেখক। তাদের অভিযোগ, সাব-রেজিস্ট্রার মুনা যোগদানের পর থেকেই দলিল লেখকদের কাছ থেকে শ্রেণিভেদে অতিরিক্ত কমিশনের টাকা আদায় করে আসছেন। এমনকি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাগজপত্র চেয়ে দলিল সম্পাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন তিনি।
দলিল লেখকরা আরও দাবি করেন, নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে পাঁচ দিন অফিস করার কথা থাকলেও সাব-রেজিস্ট্রার মুনা সপ্তাহে মাত্র দুই দিন উপস্থিত থাকেন এবং তাও আবার দুপুরে এসে বিকেলে অফিস থেকে চলে যান। গত ১৩ এপ্রিল এক দলিল লেখকের আইডি সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর থেকে তারা দলিল সম্পাদনে বিরত থাকার ঘোষণা দেন।
২০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ অনির্দিষ্টকালীন কর্মবিরতির ফলে নলছিটি উপজেলায় জমি ক্রয়-বিক্রয়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কয়েক হাজার জমির ক্রেতা-বিক্রেতা ভোগান্তিতে পড়েছেন এবং সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। প্রবাসী, দূরদূরান্ত থেকে আসা সেবা প্রত্যাশী ও স্থানীয়রা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন লিটন জানান, সাব-রেজিস্ট্রারের হয়রানিমূলক আচরণের প্রতিবাদে এ কর্মবিরতি চলছে এবং কোনো সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত তা চলবে।
অন্যদিকে,অভিযোগ অস্বীকার করে সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদ জাহান মুনা বলেন, এক দলিল লেখক এডিটকৃত ভোটার আইডি দিয়ে দলিল করতে চাওয়ায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। সেই কারণেই লেখকরা একজোট হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।
জেলা রেজিস্ট্রার মো. মহসিন জানান, এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।