প্রতিবেশী দেশ থেকে ৩০ শতাংশ দূষিত বায়ু আসে, আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা
Published: 27th, March 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আন্তসীমান্ত বায়ুদূষণ মোকাবিলায় কার্যকর আঞ্চলিক পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দূষিত বায়ুর ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসে। এ সমস্যার সমাধানে রাজনৈতিক আলোচনার গণ্ডি পেরিয়ে বাস্তব পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি।
উপদেষ্টা দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর কাঠমান্ডু রোডম্যাপ ও অন্যান্য সমঝোতার কথা উল্লেখ করে বলেন, এগুলো যথেষ্ট নয়। আরও জোরালো উদ্যোগ প্রয়োজন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে কলম্বিয়ার কার্টাগেনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দ্বিতীয় বৈশ্বিক সম্মেলনের ফাঁকে এক আয়োজনে ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোকে ‘ইটভাটামুক্ত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনার কথা জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এসব এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ থাকবে। ২০২৫ সালের মে মাস থেকে পুরোনো বাস ধাপে ধাপে তুলে দেওয়া হবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এটা বাস্তবায়ন করবে।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের বহুমাত্রিক বায়ুদূষণ সমস্যা মোকাবিলায় বায়ুমান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা ডব্লিউএইচওর অন্তর্বর্তীকালীন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই আইনি বিধিমালায় দূষণের জন্য দায়ী খাতগুলোর জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও জানান, ২০২৪ সালে চূড়ান্ত হওয়া জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন এত দিন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পিছিয়ে ছিল। এখন তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো, মানুষের দূষণজনিত ঝুঁকি কমানো। পরিষ্কার বায়ুর দিন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এটা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগিরই বাস্তবায়ন শুরু হবে। এ প্রকল্পের আওতায় নিয়ন্ত্রককাঠামো শক্তিশালী করা, আইন প্রয়োগ জোরদার করা, শিল্পকারখানায় দূষণ পর্যবেক্ষণব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং গণপরিবহন খাত আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, ধুলাবালু থেকে দূষণ রোধে ঢাকা শহরের খোলা সড়কগুলোয় সবুজায়নের উদ্যোগ এবং রাস্তা পরিষ্কারে আরও শ্রমিক নিয়োগ করা হবে। অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযানের ফলে ইতিমধ্যে বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এ অগ্রগতি ধরে রাখতে কঠোর নজরদারি ও খাতসমূহের আধুনিকায়ন জরুরি।
সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘আমি আশাবাদী। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রযুক্তি ও বিকল্প ব্যবস্থা আমাদের হাতে রয়েছে। শুধু প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন দরকার। বায়ুদূষণ শুধুই পরিবেশগত ইস্যু নয়। এটি মানবিক সংকট।’
সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীপর্যায়ের প্রতিনিধি, পরিবেশ-জ্বালানি খাতের নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক, স্থানীয় প্রশাসন, পরিবহন ও শিল্প খাতের বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব শ উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
দুই তারকার প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণার ফাঁদ
কদিন আগেই যাত্রা শুরু করেছে টালিউড অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত ও সৌরভ দাসের যৌথ প্রযোজনা সংস্থা হোয়াই সো সিরিয়াস ফিল্মস। সিনেমা থেকে সিরিজ, সিরিয়াল—খুব শিগগির কাজ শুরু করবে এই প্রযোজনা সংস্থা। তবে এরই মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটির নাম ব্যবহার করে প্রতারণা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ পেয়েছেন সৌরভ দাস। এরপরই সবাইকে সতর্ক করেছেন সৌরভ ও যীশু।
ফেসবুক স্টোরিতে সৌরভ দাস জানিয়েছেন, ভুয়া অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যেন কেউ যোগাযোগ না করে। যোগাযোগ করে প্রতারিত হলে হোয়াই সো সিরিয়াস ফিল্মস দায়ী থাকবে না।
বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি নাইনকে সৌরভ বলেন, ‘একই দিনে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে একই রকম নামে। তবে আমাদের প্রযোজক সংস্থার নাম হোয়াই সো সিরিয়াস ফিল্মস। আর অন্যদিকে ফেক অ্যাকাউন্টের নাম হোয়াই সো সিরিয়াস ফিল্ম। সবাইকে বিভ্রান্ত করতেই কাছাকাছি নাম রাখা হয়েছে। তাই সাধারণ মানুষকে অবগত করতেই নিজেদের হ্যান্ডল থেকে বিষয়টা পোস্ট করা হয়েছে।’
তারকাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে এর আগেও অনেক প্রতারণার খবর দেখা গেছে। তাই কিছুটা সাবধানতা অবলম্বনের জন্যই পোস্ট করেছেন যীশু ও সৌরভ।
উল্লেখ্য, চলতি ঈদে যীশু সেনগুপ্তকে দেখা গেছে বাংলাদেশের ‘বরবাদ’ সিনেমায়। মেহেদী হাসান পরিচালিত সিনেমাটির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন শাকিব খান ও ইধিকা পাল।