বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ পেল স্টার্টআপ কোম্পানি
Published: 27th, March 2025 GMT
স্টার্টআপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
স্টার্টআপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার ইউএস ডলার বা সমতূল্য বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে একটি মাত্র কোম্পানি গঠনের জন্য পাঠাতে পারবে। তবে বিদেশে বিনিয়োগের জন্য আবেদনকারীদের উদ্ভাবনী ধারণা থাকতে হবে। যা বিদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণসহ পরবর্তিতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও আয় নিয়ে আসতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্টার্টআপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদেশে কোম্পানি গঠনের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭ এর অধীনে টাকা পাঠাতে পারবে। নিবাসী প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে ব্যাংকে আবেদন করে বিদেশে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার জন্য রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যক্তি পর্যায়ে বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে একই পদ্ধতিতে বিদেশে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে, আবেদনকারীদের উদ্ভাবনী ধারণা থাকতে হবে, যা বিদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণসহ পরবর্তিতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও আয় নিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ছোট আকারের বিনিয়োগের পাশাপাশি, বাংলাদেশ ব্যাংক নিবাসী কোম্পানিগুলোকে তাদের নিজস্ব শেয়ার বা সিকিউরিটিজের সঙ্গে বিদেশি কোম্পানির শেয়ার সোয়াপের মাধ্যমে বিদেশে বিনিয়োগ সুযোগ দিয়েছে। এ পদ্ধতিতে বিদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নগদ অর্থের প্রয়োজন হবে না। এ পদ্ধতিতে বিদেশে বিনিয়োগ প্রস্তাবনা বিবেচনায় ক্ষেত্রে শেয়ার বা সিকিউরিটিজের সোয়াপ অনুপাত বিশ্বব্যাপী উত্তম চর্চার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।
ঢাকা/এনএফ/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট র টআপ র জন য ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় অভিযানে ১৬৫ বাংলাদেশি আটক
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের (জেআইএম) অভিযানে বাংলাদেশি ও বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬৫ জনই বাংলাদেশি।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম নিউ স্ট্রেট টাইমস।
এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বির একটি ব্যবসায়িক এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। ইমিগ্রেশন বিভাগের সদর দপ্তর এবং নেগেরি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন বিভাগের বিভিন্ন পদের ১৮৫ জন ইমিগ্রেশন অফিসারের একটি বাহিনী এবং জাতীয় নিবন্ধন বিভাগসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার সহায়তায় এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
প্রতিবেদন বলছে, আটক ৫০৬ জনের মধ্যে ৪৪৮ জন পুরুষ এবং ৫৮ জন নারী। আটক হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ১৬৫ জন বাংলাদেশি ছাড়াও নেপালের রয়েছেন ১২৪ জন। তবে আটক বাংলাদেশিদের সবাই পুরুষ। নারীদের মধ্যে ৪০ জন ইন্দোনেশিয়ান এবং বাকি ১৮ জন হলেন নেপালের নাগরিক।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক ওয়াইবিএইচজে দাতো জাকারিয়া বিন শাবান অভিযান পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই অভিযানে মোট ৮৯৫ জন ব্যক্তির ডকুমেন্টস পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৪৯ জন অভিবাসী নাগরিক এবং ১৪৬ জন স্থানীয় নাগরিক ছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৫০৬ জন অভিবাসী নাগরিককে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের সন্দেহে আটক করা হয়েছে। তাদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, পরিচয়পত্র না থাকা, পাসের শর্ত লঙ্ঘন, অতিরিক্ত সময় ধরে থাকা, অভিবাসন আইন লঙ্ঘন, মেয়াদহীন ভিসা ইত্যাদি অভিযোগে আটক করা হয় তাদের।
অভিযানের সময় অনেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেন বলে জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, যারা পালানোর চেষ্টা করেছিল তাদের মধ্যে একজন মায়ানমার এবং একজন নেপালি নাগরিক ছিল, যাদের দুজনকেই সাদা পোশাকের ইমিগ্রেশন অফিসাররা তাড়া করেছিল। এ সময় দুজন অভিবাসী পড়ে যান এবং সামান্য আঘাত পান। ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের চিকিৎসা দেন।
এ ছাড়া একজন গর্ভবতী ভারতীয় নাগরিক অসুস্থ বোধ করার পরে চিকিৎসার জন্য তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তিনি।
জাকারিয়া বলেন, অভিযান চালানো কয়েকটি কক্ষে অত্যন্ত ভিড় ছিল। একটি রুমে, পাঁচ বা ছয়জন থাকতো। কিছু কক্ষে আরও বেশি বাসিন্দা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরবর্তী তদন্তের জন্য তাদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।