তবে কি আনচেলত্তিই হতে যাচ্ছেন ব্রাজিলের কোচ?
Published: 27th, March 2025 GMT
দরিভাল জুনিয়রের অধীনে ব্রাজিল দল মোটেই সন্তোষজনক ফুটবল খেলছিল না। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে বুধবার তো (২৬ মার্চ) আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় ব্রাজিল। ব্যাপারটা ভালোভাবে নিচ্ছে না ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। এই ম্যাচ হারের ফলে খুব দ্রুতই প্রতিক্রিয়া দেখাতে যাচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৭ মার্চ) দরিভালের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে উড়ে যাওয়ার পর সিবিএফ সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস একটি জরুরী সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বৈঠকেই ব্রাজিলের কোচ দরিভলের ভবিষ্যত ঠিক করা হবে। আন্তর্জাতিক বিরতির পর এই ধরনের আলোচন রুটিংয়ের অংশ হলেও, বুয়েন্স আয়ার্সের পারফরম্যান্সের কারণে রদ্রিগেস কোচিং স্টাফের সঙ্গে দ্রুত সাক্ষাৎকার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যমগুলো দরিভালের কাছের এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে কোচ এখনও তার ভবিষ্যত নিয়ে কোনো জরুরি তথ্য পাননি। যদিও এই ৬২ বছর বয়সী কোচের বদলি হিসেবে সিবিএফের অভ্যন্তরে কয়েকটি নাম আলোচনা করা হচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদের ম্যানেজার কার্লো আনচেলত্তির নামটা আবার আসছে সামনে। তাছাড়া ফ্লামেঙ্গোর ফিলিপে লুইস এবং আল হিলালের বর্তমান পর্তুগিজ কোচ জর্জে জেসুসকেও বিবেচনা করা হচ্ছে ব্রাজিলের প্রধান কোচ পদে।
আরো পড়ুন:
৬৬ বছর পর আর্জেন্টিনার কাছে এতো বড় ব্যবধানে হারল ব্রাজিল
বড় হারের পর ক্ষমা চাইলেন ব্রাজিল অধিনায়ক
ফার্নান্দো ডিনিজের স্থলে দরিভাল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের। সাও পাওলোর কোচের পদ ছেড়ে আসা দরিভাল রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বকাপ বিজয়ীদের ভাগ্য ফিরিয়ে আনতে পারেননি। গত গ্রীষ্মে ব্রাজিল কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের বিপক্ষে হেরে বিদায় নেয়। মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে আত্মসমর্পণ করে রীতিমত।
ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইয়ে (কনমাবেল) অঞ্চলে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। শীর্ষ ৬টি দল ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করবে। এই আসরটি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন ব শ বক প দর ভ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিতে ভর্তিচ্ছুদের পাশে শিবির-ছাত্রদল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে শাখা ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলে নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুই শিফটে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে সংগঠন দুটির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সহযোগিতা কার্যক্রমে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শাখা শিবিরের নেতাকর্মীরা ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর, আম চত্বর, কিউব চত্বর, প্যারিস রোডসহ বিভিন্ন স্থানে সহয়তা বুথ স্থাপন করেছেন। এ বুধ থেকে তারা খাবার পানি সরবরাহ, ফার্স্ট এইড, মেডিসিন সরবরাহ, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা, শিক্ষা উপকরণ দেওয়াসহ আগত ভর্তিচ্ছুদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন।
আরো পড়ুন:
রাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বন্ধুর ফোনে পাঠাতে গিয়ে আটক
ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিল রাবি
ভর্তি পরীক্ষার্থী ফারহানা আক্তার বলেন, “আমি এই বিশাল ক্যাম্পাসে এসে একটু দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ছাত্রশিবিরের ভাইয়েরা যেভাবে সাহায্য করেছে, তাতে আমি সহজেই কেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরেছি। তাদের সহায়তায় আমি অনেক স্বস্তি পেয়েছি।”
আরেক পরীক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, “প্রথমে এতো বড় ক্যাম্পাসে এসে কিছুটা বিভ্রান্ত হই। শিবিরের দেওয়া সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা পেয়ে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। তাদের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।”
শাখা ছাত্রশিবিরের স্পোর্টস সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “পরীক্ষার্থীদের সুষ্ঠুভাবে ক্যাম্পাসে পৌঁছানো, সঠিক ভবনে পরীক্ষার হল খুঁজে পাওয়া, খাবার পানি সরবরাহ, ফার্স্ট এইড, মেডিসিন সরবরাহ, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও শিক্ষা উপকরণ দেওয়াসহ নানা রকম সাহায্য করেছে ছাত্রশিবির।”
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পয়েন্টে তারা তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করে আগত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সহযোগিতা করা হয়েছে। এছাড়াও, অভিভাবকদের বসার জন্য শেড, শিশুদের জন্য চকলেটসহ রিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছিল।”
অন্যদিকে, ভর্তিচ্ছুদের দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে ‘জরুরি বাইক সার্ভিস’ চালু করেছে রাবি শাখা ছাত্রদল।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছাতে বেশ খানিকটা সময় লাগে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের। অনেক সময় পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজ কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন না পরীক্ষার্থীরা। ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের এই সংকট কাটাতে ছাত্রদলের এই আয়োজনের প্রশংসা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
পরীক্ষা দিতে আসা এক শিক্ষার্থী আবির মাহমুদ বলেন, “তারা খুব ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছে। আমি একা প্রথম রাজশাহীতে আসছি, কিছুই চিনি না। ভাইদের বলার পর তারা আমাকে যে ভবনে পরীক্ষা, সেখানে নামিয়ে দিয়ে গেলেন। তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা কেন্দ্র চিনে না, তাদের জন্য এটা খুবই হেল্পফুল।”
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের বাইক সার্ভিসের বাইকগুলো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছে। এখানে সর্বমোট ১১টি বাইক কাজ করছে। বাইক সার্ভিসের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ছাত্রদলের কর্মী নাহিউল জীবন। এছাড়াও আমাদের মেডিকেল সেবা, ট্রাফিক সেবা, খাবার পানি, স্যালাইন, শিক্ষার্থীদের তথ্যসেবা,অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। রাবি ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে আছে।”
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল বা স্বেচ্ছাসেবী দল শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সহযোগিতায় কাজ করবে, ততক্ষণ আমি তাদের প্রশংসা করবো। তারা যে মিটিং মিছিল বাদ দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করছে, এটা সত্যি প্রশংসনীয়।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী